Posts

Showing posts from 2018

দংশন

অন্দরের দ্রোহের পাখিটি ত্রাণ গিলে মূর্ছা গেছে ভোরে৷ লহুর বিভেদে চাঁদের গহ্বর ছিঁড়ে কাঁটার প্রহার দংশন বিশ্বাসে৷ "পরিত্রাণায় সাধুনাং বিনাশায় চ্ দুষ্কৃতাম" সুরাহায় তুলোর আশ্বাস৷ ত্রাসের নিদ্রায় জেগে জেগে ওঠে প্রাণ৷ দুর্ভিক্ষের দুয়ার সমীপে৷ অন্ধকার দেওয়ালে সাজানো৷ ওরা যারা প্রশ্ন করে... জ্বালানো প্রদীপ শ্মশানে ছাইয়ের ব্যথা কতটুকু বোঝে?                   ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

নিশান

গলিজ ঝুলের লেজ গড়ে আর ঝোলে নিপুণ জালিকা দেখে পতঙ্গের টান মাকড়শার নিঃসঙ্গ কোঠর৷ প্রাত্যহিক ঝঞ্ঝাপুষ্ট বিরহী শ্রাবণ৷ অন্ধকার গৃহহীন কবে... মূক শুধু বুকের অধীন৷ অসাড় ক্ষতের স্রোতে বিদিশার গান নিভু নিভু মোমবাতি ঝড়ের নিশান৷ শিঙ্গালীলা নিভৃতে দাঁড়িয়ে                  মাঝ পথে প্রেতের প্রয়াণ৷                 ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

মোচন

শীতাতুর ঝিলের ওপরে নরম সোহাগটুকু রোদ অনুরাগি রাত জাগা দোসর গা ঘেষে আবেগেই কিছু লিখে যায়৷ উষ্ণতা নিবিড় হলে দূর থেকে ছোঁয়া৷ এটুকুই প্রাপ্তি শূন্যতার শেষ ডিসেম্বরে৷ স্বপ্ন দেশ, শহরতলি, আলোকবর্ষ প্রান্তে বড়দিন না কী বড় চাওয়া পাওয়া রাত নিভৃত স্পর্শটি ঠোঁট থেকে সুতোর তফাতে নিঃশ্বাসের আঘাতে নিহত সহস্রাব্দ বিগ্রহের পূজা হীন ফুল৷ ওই... পথে রজনী মোচনা ফের গো পথিক ঢুকে যাও, ঢুকে যাও হে পৃথার অন্ধকার ক্ষত মেরুর বরফ হাতে যে তোমায় দহন শেখাত৷                    ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

কেন্দ্রীয়

বৃত্তিয় ইগোর মালা কেন্দ্র বিপরীতে ঘুরতে ঘুরতে নিস্তেজ চন্দ্রানী ঝিলের দর্পনে প্রতিচ্ছবি দেখতে জেগে থাকবো... প্রতীক্ষা শেষের ক্ষণে বারিষ প্রলাপ৷ কথার কুয়াশা নয়, ইতিহাসে ভুল সীমাহীন ভেজা অভিমান তবুও সঠিক বৃক্ষ, অনুতাপহীন৷ ঈশ্বরী বিধান৷ যে ধূলা ওড়ায় পথে পথে পায়ে তারও কিছু লেগে থাকে৷ শীতের গভীর রাতে সমিধের তাপে ক্ষয় হোক, ক্ষয় হোক, দীন  তুষের সমীপে৷                ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡   

উমেদ

কতটা কথার পরে চিনে নেওয়া, পথ কতটা চেনার পরে ফেরা? যতটা গোপন শুধু ততটুকু টান বুকের গভীরে ঢুকে গরূঢ় উড়ান৷ জলের ভাটায় দূরে দূরে শূন্যতার প্রকোপ প্রণালী নীরন্ধ ঝাড়ের মাঝে মুঠো মুঠো পাঁজরের হাড়৷ শাঁসের পিপাসা শুধু, খোলায় বিরাগ৷ আবার নতুন কোন গাছ বিবিধ রঙের উপাসনা উতলা চোখের কী বা দোষ? কবিতা প্রকাশ শেষে পান্ডুলিপি ছেঁড়া৷ নীরবে কপাট খোলে, শোভিত কপিশ কাঁপা কাঁপা ঠোটের আড়ালে জমে আছে পুরান বন্দিশ৷ উমেদ পায়ের ছাপ দেখে জানালার রডে রডে শীত নেমে আসে দীর্ঘশ্বাস বরফে শোয়ানো৷ পুরোনো শপথে গাড়ি ফেরেনা কখনো৷                ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

হাফ পোট্রেট

কুয়াশা শ্বাপদ দাঁতে শ্বাসের নালীতে প্রতিটি কথার শেষে বুক চেপে থাকে৷ মানবী দ্বীপের মতো, দূরে.. আলিঙ্গন মাঝে দুটি শহর তফাৎ সাড়া না পেয়েই বুঝি ঘুমিয়ে পড়েছ? নিঃশ্বাসের বাষ্প কোন চোখের দেওয়ালে আঁকে আর মুছে ফেলে ঠোঁটের পোট্রেট৷ ঘুমের বাদামি চোখে মায়াবী প্রদেশ৷ হে রাতের সড়ক তোমার বন্ধ রেখো সমস্ত সিগন্যাল। তুষারপাতের ভোরে হলুদ আলোটি.. আগুন হঠাৎ আসে দু-হাত ছাড়াতে প্রতিটি শীতের রাতে ফাঁকা ব্যাগ গননা কঠিন। পলক নামানো চাঁদ মেঘের ব্ল্যাঙ্কেটে স্পর্শটুকু ঘুমোবার আগে যে দেশের ঘুম নেই, প্রতিক্ষায় বাঁচে৷ আবেগের জ্যাম ঠেলে বহুদূরগামী ছেড়েছে আমায়, আমি শহর ছাড়িনি৷ কাছে ডেকো, থামিও সময়.. ছেড়ে যাওয়া সব ট্রেন স্টেশনের নয়৷                 ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

ভেজা এলবাম

রাতের প্রতীকি কন্ঠ হাত তুলে হঠাৎ দুয়ারে এলে তার চোখ খুঁজে দেখি বাদামী গোধূলীপাখি ওই নিঃশব্দে সময় ভেজা কুয়াশায় ফোনের আড়ালে৷ কতখানি উষ্ণতা পারদে? আর একটু রাত জেগে থাকি? তুমিও রেণুর মত জেগে থাকো আমার ভেতরে৷ সকালে উঠেই যদি উঠোনের এক কোনে প্রজাপতি ঘুমায় নীরবে.. দু চারটে অলিভ পাতা শুকনো এলবামে বারিষনামার ভোরে উড়ে যাবে জানি৷ রেখাও বদল করে হাত,  কেউ শুধু পেতে বসে থাকে৷ কালিতে সম্পর্ক ছেঁড়ে, কলম বাহানা৷ ক্ষতেরা তুলোর মত৷ ভিজে গেলে চুপসে যেতে দেখি৷                  ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

দর্পন

ঠিকানা গরিব হলে ধোঁয়াকুণ্ড বিষাদ বিলাসী যে কেউ ঠোকর দিয়ে আস্ত গাছ ঝরাতেই পারে৷ ফুলের সম্বল বোঁটাখানি আলগা করতে নেই৷ ক'টা সূর্য খালি চোখে দেখি? হাতে গোনা, বাকিরা গ্রহের মতো  ইতি উতি ধার চেয়ে ফেরা৷ আয়না তো মনেরই রূপ অসাবধানে প্রতিবিম্ব ভাঙে৷ না পুড়েই নাক্ষত্রিক স্বপ্ন মুখোশে যেটুকু আলো জ্বলে তা দানেরই৷ বিজ্ঞ খুলি অভিনয়ে কী ভীষণ পটু! ইস্পাত না হলে দর্পনের ফিরে আসা জ্যোতি  ঝলসে দিতে জানে৷ না সে পৃথিবীর, না তোমার, না আমারও৷                   ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

আড়াল

শূন্যতার দম্ভ নিয়ে শ্লথের গতিতে স্বর্ণ ঈগলের চোখে দীনের চাহনি না পাওয়ার মরুভূমি... বালি৷ মরুর জোনাকী বেদ - বেদান্ত মাখিয়ে ওড়ে, তার জ্যোতিটুকু দেখি৷ ওখানে শেকড় শেষে পূর্ণতার জল সে বলে আগুন ছুঁয়ে দিলে ধ্বংস সুনিশ্চিত৷ কিছুটা দূরেই ভাল ঊষর মাটিতে বড় বারিষের টান৷ কখনও কখনও এসে ফোঁটা ঝরে যাক৷ মিলন সুলভ হলে অচিরেই শেষ৷ গভীর সাগরে তবু মাঝে মাঝে ডুব দিতে যাব৷ স্পর্শে নয়, গন্ধে নয়, উত্তাপে ভিজিও৷ সহস্র শতাব্দি শেষে বায়বীয় পুঁথির আড়ালে চুপি চুপি বুঝে যাবে কেউ তুমি আমি বহুকাল চিটে আছি জন্মদাগ যেন৷                    ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

স্ট্রাগল

পথের ঘর্ষনে ফুল অসহায় পাথরের ন্যায় ঘষে ঘষে দিকভ্রষ্ট দর্শনার্থী ভীড়ের লাইন ভুলে যাওয়া বন্ধু হাত আগামীর বিরোধী সতিন স্টেটাসে ইগোর জ্বালা, গৃহযোদ্ধা পূর্ণ তিক্ততায়৷ যেটাকে স্ট্রাগল বলো... চিতার ভেতরে আসলে তা বাঁচার উপায়৷ শুকনো মজ্জা, শূন্য হচ্ছে দেশ বহতা জলের মতো অর্ধমৃত শব নীতিহীন সঞ্জীবনী দেদার বিক্রয়৷ শৈশব-সম্রাট ছিল যারা... প্রেতের মতোই ঘুরে শিকারের খোঁজ দিন-দুপুরে মরূর রাস্তায়৷ অভাবে মানুষ বড় সস্তা হয়ে যায়৷                    ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

সময়

আবার দুর্বল করো সতস্ফুর্ত হিম! যে ধোয়া পেরিয়ে এসে উঠেছে সময়.. আকাশের হাতছানি নিজেরই ভেতর৷ ঘড়ির ঘুর্ণনে ওঠে শূন্যতায় পূর্ণিমার চাঁদ৷ ধৈর্যের বিকল্প শেষ৷ নিশানায় বিজেতার ধ্বজ৷ চোখে পড়ে ঝুরো বালি যতবার পেছনে তাকাই৷ সামনে তার প্রতিচ্ছবি, পাথর-ই বাঁচার অন্তরায়৷ বর্তমান মাঝেই দাড়িয়ে আয়নার এপিঠ থেকে ভবিষ্যত বেশি দূরে নয় ছোঁয়াটুকু অনুভব, ওপারের প্রবেশ নিষেধ৷                   ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

সিক্ত

ভাষার বাধ্যতা নয়, কুঁড়ি থেকে বোধের উদয় পেছনে নীলাভ পথ, তারও আগে  নতুন প্রণয়৷ ভোলাটাই প্রথা, ব্যথা জমে জমে ধূসর পাহাড় শব্দে স্বপ্ন, চোখে মন, প্রথম বন্ধনী৷ জল, যারা বয়ে গেছে অতীত কান্নায় আবেগ লালন করা হৃদয়েরই দায়৷ ভিজে থাকা সত্যি ভাল ভেতরে ভেতরে৷ পুকুরের মতোই বিষাদ ফাটল গভীর হয় জলাধার শুকিয়ে গেলেই৷                       ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

শক্তি সঞ্চয়

ঝাঁকুনি একটা কোন সময়ের নাম পরিশেষে হয় পাখি.. নয়তো মৃত্যু৷ দু-পায়ে শৃঙ্খল ভেঙে উঠে গেছে যে লেখা সিঁড়িতে... বেড়ালের পায়ে পায়ে কলমের দাগ৷ মূহুর্তে শতাব্দী নয়, তপস্যার বহু দিন পেরিয়ে এসেছ৷  তাতে কী? চল না কোন দ্বীপ্রহরে  উন্মাদের গোশালায় তোমার দু-পাতা বসে সৃষ্টিসুখ শুনি৷                        ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

ব্যালেন্স

শ্মশান ঘাটের ধারে পোড়া পোড়া গন্ধ শুঁকেছি, দেখছি কী ভাবে সব জ্বলেছে নির্যাস৷ সুস্থ মৃত্যু নয়, খুন৷  দলা দলা থুতু ফেলে পোষকের দাস৷ ভষ্মের যন্ত্রণা  থেকে দূরে পাড়ি লাক্সারি গাড়িতে৷ সেখানে জীবন৷ মৃত্যু? সেও বহু দূরে নয়৷ বিলাসের মোরগ লড়াই শেষে                চিতার চৌকাঠ গড়ে আসো৷ পার্কসার্কাস... সুগন্ধীত্রাস, শহীদ মিনার আজও আশির দশক! তারও আগে শূন্যতায় ব্যালেন্সের খেলা৷ ব্যালেন্স শেখেনা কেউ ব্যাঙ্ক ছাড়া৷ প্রতিটি নিসর্গ ঝড় ওঠে আর নিভে যায় সমান্তরালে৷ বমন করেছ লাভা, পেরেছ কী জ্বালতে আলো আজ ঊর্ণাজালে?                     ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

অতিক্রম

কুয়াশা-মৈথুন শেষে ছুঁড়ে ফেলি ক্ষোভ, বারুদের স্তুপ৷ ছিঁড়ে যাওয়া মাছরাঙা যেন এক আয়নার ভঙ্গুর রূপ৷ দেখতে..        দেখতে..             ঝাপসা নিজেরই স্বরূপ৷ ধূলোর পাহাড় ঠেলে আস্তে আস্তে গিলে নিচ্ছে রোমান সভ্যতা৷ নিরিবিলি ম্যানহাটন কিম্বা শূন্যতার দেশে আবিষ্কার নিজের অসীম৷ যতক্ষণ না ছুঁয়েছি ততটা জীবন৷  তোমাকে হারানো শুধু শীতের কুয়াশা রাতে ছিঁড়ে যাওয়া গরম চাদর৷                      ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

অপারগ

এভাবে কনুই ছোঁয়া.. পাঁজরের দু-ইঞ্চি গভীরে ধড়াশের অন্ত্যমিল বুঝতে পেরেছ কী? দাঁতে, ঠোটে কী ভীষণ সুনামির ঢেউ৷ পারদ..      পারদ... পলক নামিয়ে রেখে দুর্লভ উষ্ণতা জাপটে ধরে নিজেকেই হারানো কখনো৷ চাদরে কুয়াশা নামে, বর্ষা ও শীতের মতো অন্তরঙ্গ বালিশ জড়ানো৷ পলক ওঠালে জিভ কেন যে নপুংসক হয়?                   ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

ঘুমন্ত কান্নার দেশ

কলম্বাস বোঝেনি প্রতিটি দেশের ভেতর একটি মহাদেশ থাকে৷ যেখানে দিগন্ত রেখা নেই,  সমুদ্রের পাহাড়                      ফুঁপিয়ে বলছে...  থাক,      চাইলে বড় নিঃস্ব লাগে৷ গলিতে গলিতে গরিবের সারি, প্রতারিত৷ তাই, আয়নায় হাসির প্রতিচ্ছবি এঁকে লেপ মুড়ি দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে কান্না৷                  ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

পুনর্জন্ম

নিজেকে চিনতে পারছ কী?  দেখবে বলে গুমরে উঠছে আয়না৷ যে আকাশে অন্ধকার মুক্তির খোঁজে ডানা ঝাপটায়.. ইচ্ছেদের ইচ্ছামৃত্যু হয়.. পর্দার আড়ালে জমিয়ে রেখেছে কান্না৷ লিলিথের ভাগ্যে ডাইনি! ইভ-ই সত্তা? আকাশ পেরোতে গেলে নিন্দুকের অমরত্বই দরকার৷                    ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

হীরের আঙটিটা

উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত কেন? বাউল, ভোরাই যদি হয়.. সুর, তাল, লয়ে মিশে একাকার নদী... দু-মুঠো ছোলার চেয়ে পিৎজা উপকারী? যখন গীটার বাজে, ওপারের বাঁশিতে শূন্যতা৷ কোন বাঁশুরিওয়ালার ঠোঁটে সে গান পূর্ণতা পাক৷ তুচ্ছ কে? বুঝেছ? জলনিঃস্ব বালি?  না কী হীরের আঙটিটা৷ হীরে কোন সম্পর্কের বিলাসিতা হলে,  বালি ঘর বাঁধার সোপান৷               ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

নির্বিকার

ছন্দের মতো দুলতে দেখেছি দু-চার পা কাঠ ঠোকরার সংসার ভরা অলঙ্কার৷ সাপের সঙ্গে যুদ্ধ তবুও লড়তে হয়৷ লিখতে দেখেছি, কলম যেন, ফুরায় না৷ রাজার গদি প্রজার বেশে নিত্যদিন৷ কার কী ভাবে, কোনখানে চাই আশীর্বাদ মন্ত্র পাঠের শ্লোক গুলিও মুখস্তই ছন্দের মতো দুলছে তবুও ছন্দহীন সিন্দুক খুলে বিলিয়ে দিয়ে নির্বিকার৷ খুশির পলি জমায় প্রতি স্তরে৷ বাবারা সব ফ্যানের মতো ঘোরে৷ নিজের গায়ে হাওয়া টুকুও লাগায় না৷                 ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

সেফটি

রান্নায় মশলার মতো প্রেম, সযত্নে দু-হাতে পরিমান মতো  যতটা যা লাগে...  সুস্বাদু আবেগ চেখে রাখি৷ বাইরে গেলেই পা ঢেকে নিও, চারিদিকে যা উত্তাপ.. সেফটি মাস্ট৷ আহার গ্রহন করে             পরিস্কার, তুলে রেখো সঠিক সময়ে৷ সম্পর্ক হোক বা এঁটো  শুকিয়ে গেলেই বড্ড কষ্ট হয়৷                      ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

কবিখোঁজ

ওল্টাতে ওল্টাতে পৌছে গেলাম মন্দিরে৷ শঙ্খ ঘোষের বাজনায় আমি উচ্চস্বরে গলা মেলাতে মেলাতে ভূমধ্য সাগরে... ডুবছি      ভাসছি            জল খেলছি,                     উঠতে চাইছি না তো! ভুলে গেছি কিছুক্ষণ আগে নিরাশার দোকানে জয় গোস্বামী খুজতে গিয়ে ভুসিমালের গন্ধ শুঁকেছি৷ ও প্রান্তের ক্ষিধে বলল, বই আর কেউ খায়না৷ কবিতা তো নয়ই৷                    ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

দেনা

ভেতর থেকে ডাক এসেছে, উঠতে হবে৷ স্তুতির কাছে মৃত্যু গুলোও মোমের মতন ভোরের মানে রাত ও দিনের এক আলাপন৷ ম্যাচিস জ্বেলে ঘন্টা কয়েক দেখতে হবে৷ ব্যাক্টেরিয়ার উস্কানো চাঁদ, খিদেও প্রচুর গিলতে গিলতে হাটছি সামনে পৌছে যাব৷ নিখুঁত পায়ে একটা দুটো পদক্ষেপও জুড়তে পারে অন্ধকারের আধ ভাঙা সুর৷ পেট্রোলে আগ আর কিছু না, কথার সমান হিমের পাহাড় জ্বলছে তবু গর্জাবেনা৷ নিজের কাছেই নিজের এমন মস্ত দেনা দিন-প্রতিদিন উগরে গেলেও শেষ হবেনা৷                  ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

স্ব-বিদ্বেষ

যেটুকু নিচের ছিল, আস্তে আস্তে উঠে যাচ্ছে চুল৷ গান্ধীর লাঠির দৈর্ঘ ছোট হতে হতে লুপ্তপ্রায়৷ তেইশে জানুয়ারিও হাত তুলে দিল্লি দেখাচ্ছে না৷ টবের পেছনে গর্তে রোয়া বুনো গোলাপের ফুল৷ হা পিত্যেস..         স্ব-বিদ্বেষ                  ভেতর ভেতর বীর্য চুঁয়ে চুঁয়ে...                 প্যান্ট ভেজালেও গর্জন হচ্ছে না৷ মরুভূমিতে সভ্যতা খুজতে খুজতে যেদিন নাক শুকিয়ে যাবে...                         দেশ পুড়লেও গন্ধ ছাড়বে না৷                       ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

মোড়ক

ঘুমিয়ে পড়েছি যেন মাথা রেখে বিষণ্ণ সাগরে৷ যেখানে বাঁচার মত ভেসে থাকা কুটোটুকু নেই৷ বিস্তির্ণ উপত্যকায় ব্যর্থতার পলি স্তরে স্তরে৷ সম্মুখে প্রবাহ, তার চরে চরে দর্শনার্থী, ভিড়৷ মৌনতার গর্ভে জমা দশকের ব্যথার প্রলেপ উঠে দেখে কিছু দূরে বিক্রিবাটা দেদার পনির৷ কে ওরা উল্লাস করে স্বপ্নে দেখে বিদেশি মোড়ক? রঙিন ছাতায় ঢেকে ছিদ্র দিয়ে ভিজে যায় জলে.. কোষাগারে স্ফিত রাজা-রাণীদের মিটে যায় শখ৷ লঘু কাজে রকমারি তৈরি করা খাবার ওভ্যেস মজ্জাহীন আবরণ, নিষিদ্ধ আকাশ জঙ্ঘাতলে৷ অন্ধকার কিছু নয়, জাপটে ধরা কুয়াশা বিশেষ৷ গন্ধ শুঁকে ফিরে আসি বর্ষীয়ান দু-কাঠার ঘরে গোলাপ না হোক তবু কলমের মুকুলও তো ধরে৷                         ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

অতিক্রম

অতিক্রম করে আসি শিশিরের বিন্দুগুলি ঘুম ভাঙা পাখির ডানায়৷ আয়না দেখে মুখোশ গলিয়ে রওনা যেখানে ধোঁয়ার পাশে প্রেম চকচকে ভাতের নাম ভালবাসা৷ তাও... ধাতব পথের ক্রীজে দৌড়োতে দৌড়োতে  রঙ ঠোঁটে হেসে চলে দিন৷                 ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

পুরুষ

ঢেলে দিতে হয় জ্বলন্ত যা কিছু? এমনই ধাতব পাত.. টুঁ-শব্দটুকুও নেই৷ যতই মাড়িয়ে যাও গন্ধমাদনের বুক বিশল্যকরণি ঠিক ওখানে গোপন৷ যতটা পাথর ঠিক ততটা নরমও৷ যে আদি, যে অন্তে... হে দেব করুণা নয়, নীলকন্ঠী স্বরূপ ধারণ ক্ষমতা অক্ষুণ্ণ রেখো৷ প্রয়োজনে খুঁটিরাও জরিপ করেছে তার হাতও৷ (তাও) তুমি যদি মৃত্যু হও, অন্ধকারে ঘড়ি দেখে যাব৷                        ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

প্রসাদ

দুপাশে মনের বাগান ছাড়িয়ে  মধ্যে গতে বাঁধা ট্র্যাকে                           সবেগে এগিয়ে যাচ্ছি৷ দূর থেকে দেখে নেওয়া সারস পাখিটি আনন্দে কুড়োচ্ছে প্রেম৷ জানলা খোলা, ধাক্কা দিচ্ছে হাওয়া৷  পেছন ঘুরেই যেই ফেলে আসা বাগানটিকে দেখি.. যন্ত্রের গতিতে যত তেজ..  তারও চেয়ে শান্তির প্রসাদ ওই সারসের ছিল৷                     ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

দৃষ্টি

প্রতিবার রাহু গ্রাস করে৷ নিভতে নিভতে জ্বলে ওঠা সময় সাপেক্ষ৷ অন্তক্ষরা গ্রন্থি চিনতে বিলম্ব না হয় যেন৷ ওগরানো জলের রং সবাই চিনুক৷ স্রোতের মতই দিন ফেরেনা কখনো৷ বৈভবের কবর আসলে মৃত খনি ঠিক ঠাক খোঁড়াই হয়নি৷                ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

বিবর্ণ

নিংড়ানো ঝিলের ধারে,               জলহীন নিঃস্বার দুয়ারে                           পরিযায়ী পাখিরা আসেনা৷ অভাগা হাঁড়ির মতো সেখানে খাবার পর খড় কুটো কিছুই কী বাঁচে?  গড়াতে গড়াতে জৈষ্ঠে চাকায় ক্ষয়ের দাগ, কঙ্কালের কাঠামোটি ধুঁকতে থাকে পিচের ওপর৷ সে রাস্তায় উত্তম সুচিত্রা গায়নি                                      "এই পথ যদি..."  ভয়... ভয়...                   শেষ হয়ে গেলে! ধীবর প্রজাতি জানে               গঙ্গার কোথায় মাছ,                             কচ্ছপের ঝাঁক৷                                   এ ঝিলের সৌন্দর্য কোথায়? অথচ কখনো কেউ প্রেম চোখে বারিষের অপেক্ষা করেনি৷  ঈশ্বরও কৃপন বড়, দু-ফোঁটা বৃষ্টির ছোঁয়া নেই৷ মেরামত হয়নি বহুদিন৷ ভাঙা চোরা দালানের গায়ে পাথর বসাবে সেই কারিগর কই? এভাবেই প্রতিদিন ঝুরো ঝুরো ইট-গুড়ো, পলেস্তারা খসে৷  বিবর্ণ দেওয়ালে পূজো যেন কোন বাউলের গান৷                         ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

খেয়ালী কীট

তুচ্ছ কেন্নো ভেবে গুটিয়ে নিয়েছি বন্ধ চোখে স্বপ্ন ঘুমেরই ভেতরে সাপের ফনার ফোঁস, অস্তিত্ব ঘেঁটেছে৷ চাঁদ ছুঁতে পাখি হয়ে ওড়াই যথেষ্ট নয়৷ জন্ম বন্ধ্যা যেন ফসল-ও ফলেনা ছিদ্র আছে, পাত্র ভরেনি কখনো৷ দু-চারটে দুর্বার মতো জন্ম নিচ্ছে কিছু! বিজ্ঞান, উড়ানে প্রিয় অপার বিস্ময়৷ যেদিন জন্মাব ঘুরে, চয়েস পাঠিও.. ভিনগ্রহে প্রাণভরে শিশির কুড়াব৷               ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

সম্পর্ক

আবেগের জলগুলি, বিভিন্ন গ্রন্থির দান৷ বিষধর সাপের কামড়? তারও প্রেম পাহাড় সমান৷ জিভে জিভে স্বাদের বদল৷                           নোনা জলে আর একটু নুন... ঢিল ছুঁড়ে উচ্চতা মাপার আগেই                                         পাহাড় শেষ হয়ে যায়৷ প্রকৃতি বিরূপ হলে ঝড়ের আভাস৷                               ইচ্ছামৃত্যু না কী জিজীবিষা! গিঁটের বাঁধন ভুল-এ                      সূতোয় আমৃত্যু ত্রাস৷ পরিবর্তন ধ্রুবক হলে...                 বিপ্লব যে পথে আসে, সম্পর্ক হাসে না৷                        ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

প্রতিফলন

সাপ ঠিকই খুজে নেয় কোথায় পদ্মের চাষ৷ পায়ে হাঁটে লাল মাটি, কম তার পড়েনা আকাশ৷ গন্ধ.. গন্ধ..              নাক বিশেষে জ্বালায়                                        অথবা জুড়ায়৷ মেঘের বুনন আলগা হলে                                    বজ্রপাত, বৃষ্টিপাত, ভয়৷ অগ্রাহ্য কাদার ছিটে ধুয়ে ফেলে বিচার, সময়৷ প্রজাপতি..            প্রজাপতি..                      কখনো সময় পেলে                                             ব্রহ্মা রূপে এসো৷ শিউলি শিউলি ভোরের আবীরে                                চেনা চেনা শিশিরের ঘ্রাণ৷ এমনই প্রতিফলন.. চন্দ্রালোকে হীরের সমান৷ শরৎ শরৎ মেঘ..                 তুমি মধ্যভাগে                                     বকুল সাজিও৷ সুপুরি গাছের কাছে ঝুরো ঝুরো অন্ধকার চেনা৷ যেভাবে গ্রহণ নামে, চাষিদের আবেগ নেভেনা৷                         ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

গুচ্ছ কথা (১)

১) বীরেন্দ্র ভদ্রের ডাক, মহালয়া, ছেড়ে আসা ধূলোর গন্ধটা  শুকানো প্রদীপ৷ জমিদার বাড়ি, গ্রাম.. ছেলেবেলা..  অভিমানী সবুজ সময়৷ আজ এক বুক জলে নেমে যাদের তর্পন করি, তাঁরাও উৎসর্গ নেয়না৷ ২) সে কেন আমায় সংখ্যাতত্ত্ব শেখাল না!! ঝুরি নামে, কিছু সংখ্যা বিনিময়৷  মাটি ছোঁয়া ঝুরির বিনয়৷ পাথুরে জমিতে উচ্চতাও ছোট হয়ে যায়৷ অর্জন, অর্পন বড়ই সহজ ভোরের আবীরে তাই সংখ্যাতত্ত্ব মেশেনি কখনো৷                       ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

এষণ

সমতল থেকে ডাক, চুম্বক... চুম্বক... আকর্ষন করো, বিপরীত মেরূ দূরের নক্ষত্র৷ ভাঙতে হবে হে স্থবীর.. জমাট কুহক৷ ফ্লাইং কিসের বার্তা ঠোঁটেই সমাপ্ত৷ ধর্ম, বর্ণ, গন্ধ জানতে ল্যাবে...                    বিক্রিয়ার ছ্যাকাও তো ছোঁয়া৷ পদার্থ শরীর মাত্র, রসায়ন গোপন সাম্রাজ্য৷ দ্রাব্যের দরবারে হে সাম্রাজ্ঞী                 দাঁড়িয়েছে গোধূলীর সম্রাট কীলক৷                    ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

সোনার বুদবুদ

কোরালের প্রতিচ্ছবি উঠেছে আকাশে৷ দুই নীল, মাঝে এক স্থবির ত্রিকোণ৷ বিস্তর ফারাক আছে মার্বেল ও টাইলসে৷ প্রথম সিঁড়িতে রাখা ধান, দূর্বা, সিঁদুরের টিপ৷ ওপারের ক্ষেত্রফলে জরিপ এমন... ছুঁয়ে দেখে ফিরে যাবে, সে পথ-ও নিশ্চিত৷ এ জন্মের বিল্বপত্রে পূজো দেব সুদ৷ আসল ভেতরে থাক, ভালবাসা ঋণ... স্বপ্নে শোঁকা গন্ধ, না কী.. সোনার বুদবুদ!! তালুর ভেতর লেখা কী নাম, অজানা৷ ওপরের পৃষ্ঠরেখা আদপে মলিন৷ বালিশে লুকানো ডাক মাটিও শোনেনা৷ অলিন্দ উলঙ্গ রাখা সামুদ্রিক ঘরে৷ যে জলে মেশান আছে শুক্তির সুবাস৷ হরপ্পা সবুজ হবে প্রজাপতি বরে? জেগে থাকে মৃতের নিঃশ্বাস,                              গহীনে সে আলো দেখে যাবে৷ অন্তরে সে এক সত্তা, জ্যোৎস্নার ভেতরে ঘুমাবে৷                     ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

উত্থান

মরশুমি ঝড়ের ধাক্কা, খন্ড খন্ড কোমরের হাড়৷ শাদা ঘরে জেগে থাকে ফেলে আসা পতন-পাহাড়৷ ভেতরে লুকান কুয়ো,              কখনো ওঠেনি মুঠো জল৷                              বন্ধ্যা, মায়োপিয়া চোখ৷                                শুকনো কিছু ফুলের স্তবক৷                মরূঝড়, খালি আস্তাবল৷ যুদ্ধ, না কী শব্দকোষ প্রিয়? ডুবে যাও         ডুবে যাও               স্কুবাডাইভ-এ দেখে এস                          গুপ্ত ধন, রঙিন সভ্যতা৷ প্রতিটি নতুন ঢেউয়ে ত্রুটি ধোওয়া সামুদ্রিক প্রথা৷ অনাবাদী মন্ত্র শুনে চলমান পাথরের দিন৷ কবিতা কফিন থেকে তুলে আনে মৃত ক্লোরোফিল৷                         ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

স্ব-সন্ধান

জ্বলজ্যান্ত ভাবনাগুলো ঘুমিয়ে পড়েছে৷ যেভাবে দিগন্তরেখা ছোঁয়ার প্রয়াসে পাখিদের ডানার স্খলন৷ উড়তে উড়তে হৃদয় বিস্মৃতি, ঘিরে ধরে বোলতার ঝাঁক আসন্ন যুদ্ধের শিবিরে৷ শুনতে পাইনা শুধু নাভির নিনাদ, বারুদের গন্ধ শুঁকি নিয়ম মাফিক৷ শতাব্দীর ঘাম, ডিপ্রেশন৷ পুনর্জন্ম নিতে মোমবাতি জ্বালিয়ে রাখতে হয়৷ বন্যা শেষে বেঁচে ফিরে                            যেভাবে নতুন ঘর তোলে৷ ঢুকে যাও...          ঢুকে যাও...                        খুঁজে নাও নাভির ভেতর বিস্তীর্ণ ব্রহ্মাণ্ড যেখানে নিঃশব্দে ঘোরে৷                      ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡