Posts

Showing posts from June, 2020

ঢেউ

সমস্ত ভিজিয়ে দাও                 ঠোঁটে ঠোঁটে ছিঁড়ে দাও জামা... সে সব আদুরে বকা আজও কোনো স্মৃতিঘরে জমা৷ এত কাছাকাছি আসা—  যেন কোনো             অান্তরিক প্রকৃতির ঢেউ তোমার মতন করে এত কাছে আসেওনি কেউ আমার মতন করে এত ভাল বাসেও না কেউ...

খোঁজ

কেটে যাচ্ছি, হেটে যাচ্ছি দৌড়ে যাচ্ছি জালের অন্দরে হাঁপানি জড়িয়ে এলে কতদিন যুদ্ধ চলতে পারে? আমাদের যুদ্ধক্ষেত্র পথ আর ঘর অস্ত্রকে ঢুকিয়ে রাখি বাণীর ভিতর যাত্রাটুকু পাওয়া, আর শত্রু বলতে শোক অভ্যাসের ঘরে থাকে জীবনের চরিত্র বাহক এই'ই ভাবছি, ছিঁড়ে যাচ্ছি, জুড়ে যাচ্ছি শক্ত করছি খোঁজ— নিজের'ই ভেতরে এক পিতাকেই জন্ম দিচ্ছি রোজ৷

তূণ

ক্ষমা করো, ক্ষমা করো আমাকে হে কৌতুহলী মন গোপন দুয়ার থেকে তুলে আনে বিরহ কথন যে যার বাঁকের মত যায় নদীর ভিতরে নদী জল দিয়ে বালিকে লুকায় কতখানি অপরাধ জমা রাখে সাধাসিধে তূণ অবসাদ ঘিরে এলে সতের'ই জুন স্মৃতির ভেতর থেকে টেনে আনে পুরোনো আগুন৷

ফাঁদ

কিছু কি হারিয়ে গেছে? হেসে ফেলছে মূক ব্যথার নিষেক স্থিতি কেউ তো শুনুক আমাদের পাশাপাশি ঘর পাশাপাশি অচেনা শহর অভিভূত দৃষ্টির আড়ালে গূঢ় অন্তর্দহন ক্ষতচিহ্নে ক্রমাগত ভাবনার ঘায়ে ঘায়ে খাদ বিষাদের মৌনজালে মর্মবিদারণ মত্যুও এমনই এক নিবৃত্তির ফাঁদ জীবন ফস্কে যাওয়া শ্যাওলার মতো অবসাদ৷

চোখ

বেঁচে আছ  বেঁচে আছি মশার ডিমের মতো চোখ ঘুমের আড়াল থেকে মানুষের মৃত্যু দেখা হোক৷ প্রাকৃত দুর্যোগ যেন আনকোরা প্রেমিকার গ্রীবা সামান্য লেহন করে যথেচ্ছ সম্ভোগ বেঁচে আছ  বেঁচে আছি? মশার ডিমের মতো চোখ

সোনালী সোরেন

কতটা চুলোয় গেছি— চুল থেকে নেমে যায় চোখ পাশাপাশি বসে ছিল হৃদয়ের বিরহ ভক্ষক৷ সাক্ষাতের সাক্ষী থাকে বারিষি দুপুর মনের সন্তুরে জমা শ্রোতাহীন শূন্যতার ঝড় পাশে বসে নেমে যায় নিঃশ্বাসের স্তর মাটি ও পাতার গন্ধে পত্রঝরা গাছ চোখের মণিতে প্রিয় ঋতুমতি নদীর বাতাস খোলসে গুটিয়ে রাখি বিহঙ্গের অলেখ্য কবিতা গূঢ় অনুভব, আত্মপ্রতারণা, মৃদু শব্দব্যয় সে দিনের উহ্যগান জীবনের সীমিত অধ্যায়৷ অমলতাসের তলে আমাদের স্বপ্ন লেনদেন বিমূঢ় অরন্যটিকে ডানা দিয়েছিল ছেড়ে আসা সোনালী সোরেন৷

মরীচিকাবন

বর্ধমান লোকালের কাঠখোট্টা বেদী লিওনার্দো ভিঞ্চি এক অদৃশ্য আবহে সময়কে ক্যানভাস ভেবে এঁকে যাচ্ছে অজস্র দর্শন আমাদের দেখা— ঠিক কোনো এক পিশাচ প্রহরে  দংশনের সূত্রপাত কল্পনাশহরে উদগ্র, ভ্রমণ করে গোপন স্তম্ভন শ্যামলী ঠোঁটের তেজে খেয়েছিল মরীচিকাবন৷ স্তিমিত আগুন থেকে ফুলকিটুকু চিনে নিয়েছিলে ভাষার সাঙাত, যার দূরাভাষে ঘাত প্রতিঘাত— কিঞ্চিত মূহুর্তটির জন্ম দিল আমাদের সংযত দহন সেই শেষ, শেষ ট্রেন দরজায় অন্তিম সাক্ষাৎ জীবনের খানা খন্দে এখনও স্থবির হয়ে বসে আছে ইরা দেবনাথ৷

বিচ্ছেদ

কিছু পূর্বাভাস ছিল, আর ছিল কিঞ্চিত বিরোধ প্রতিটি ধ্বংসের নিচে জমা থাকে নিরাকার ক্ষোভ ত্যাগী মোম নীরবে বিদ্রোহি কে কার উমান দিয়ে তুলে নেবে বিজয়ী মুসকান প্রতিটি ওজরে ঢাকা ফাটলের ধ্বণি বুনেটি শিথিল, পাখি থেকে যায় অবয়ব ওড়ে— ঝড় ওঠে, ধাক্কা দেয় ঠোঁটগুলি কাঁপে তবু কোনো শব্দ নেই বিচ্ছেদ সংলাপে

বিপথ

নিবিড় শিল্পের মতো জ্যোৎস্না ঝরা স্রোত সে আমায় সঙ্গ দিয়েছিল বিমুগ্ধ শ্রোতার ধ্যানে মধুমতী নদীর সঙ্গীতে ভাসমান হৃদয় চমকালো ইন্দ্রিয় বেকুব হলে স্বপ্ন দেখে বিকল বেতার বহুকাল অন্ধকার গ্যালফিমিয়া বীথিকার নুয়ে পড়া পথে ডাকে উলঙ্গ বেদিনী শাড়ির ভেতর কত বিস্ময়ের ঢঙ গোপন গন্ধের ডানা শুঁকে নিতে নিতে ক্ষণিক বিরামে— লম্পট পথের যোগ সাথে আনে বিরহ প্রবল সহজীবনের কোনো পথ নেই জানি প্রৌঢ়ের শিবিরে স্মৃতিরা এমনই মায়াজল— স্পর্শ পেলে নড়ে ওঠে হৃদবৃক্ষখানি৷