Posts

Showing posts from April, 2018

শ্মশান থেকে পালিয়ে

শ্মশানে উঠেছে মালবিকা,                             আলোকিত বিপন্ন গুহায়৷ ঝলসানো সংসারে আগুনের তাপ ছোঁয়া নিপুণা রমণী প্রতিটি প্রহরে মূর্ছা যায়৷  দিনে রাতে অসম বিভেদ, বাকল উপড়ে বেজে ওঠা বীণা থেকে ওঠে হার্দিক গর্জন৷                               ক্ষয় চাপা হৃদয় ক্রন্দন৷ হঠাৎই উড়েছে মালবিকা চিতা ঠেলে ছাই - কালি মেখে৷ আকাশে রোদের দেখা আজ৷  উড়ে যাও জিজীবিষা ধরে,                                ছুটুক পেছনে বরকন্দাজ৷                       ✍ প্রভাত ঘোষ. ⚡

স্ত্রৈণ

ক্ষতি নেই কুড়ুল তোলার নৈশ ভোজে, হৃদয় মশাল দুর্গমতা ডিঙ্গতে শেখায়৷ দ্বিধাহীন ভয়ের আভাস দৈব সম, আদর সুবাস প্রাত্যহিক-ই আগুন নেভায়৷ সে আমার উজাড় বুকের মৌন পাখি সাগর সফেন সমুদ্রতে নাবিক যখন.. মেঘেদের উঁচিয়ে আঙুল স্ত্রৈণ বায়ু জোয়ার আনুক, স্বপ্ন মেখে নিজের মতন৷ শরতের শিউলি ফুলের ঘ্রাণ মাখা শৈলীতে তৃণের বক্ষ জুড়ে পুলক বাহার৷ ভোর খোলা কোকিল কূহুর ধৌত প্রেমে সোহাগ মুকুট উচ্চ শিরে জাহাজ নামায়৷                   ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

অভিমুখী ( লিমেরিক )

জীবনের লঞ্ছ ছোটে অভিমুখে নতুনের সন্ধানে৷ বাঁচার রসদ দুর্বার গতি বৈশাখ বয়ে আনে৷ বাসন্তি সুর, গন্ধ শেষে সহজাত ঘুর্ণন ওভ্যেসে খসা তারা ভুলে আগামীকে দেখি অতীতের খন্ডনে৷                   ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

প্রহরশেষে

Image
আমার বিকেলটুকু তোমার ছোঁয়ায় আটকে থাক৷ প্রত্যন্ত প্রহরশেষে পড়ন্ত রোদকে আলতো ছুঁয়ে দুজনে সময় ভুলে হাঁটতে হাঁটতে ফেরি-লঞ্চঘাট৷ শহর ব্যস্ততা মাখে,  আদুরে বাতাস থেকে দূরে৷ প্রেমিকা দেখিনি আমি, গঙ্গার হাওয়াই ছুঁয়ে গেছে৷ নদীতে মাঝির দল, নৌকায় জীবন ভাসা, ঢেউ.. সন্ধের জোয়ার ছাড়া ওদের খবর রাখেনা কেউ৷ ফিরছি অতীতে যেন, লুকান মাটির বুক খুঁড়ে.. অচেনা মনের ক্ষত এমন সময় ভাল লাগে৷ কবে যে কোথায় কোন পাওনা গণ্ডা, গরমিল আছে.. সন্ধ্যায় হিসেবি মন পুরান সেসব খাতা খোলে৷ ফুরফুরে বাতাসে জাগে স্মৃতির কবরে শোয়া বীজ৷ আবহাওয়ায়, আকাশে বাতাস মেশার কথা ছিল৷ শুকানো বালির বুকে কবেইবা বেড়ে ওঠে গাছ? ক্যাকটাস উঠেছে কোনো, কখনো কখনো কাঁটা বেঁধে৷ রাত্রের লঞ্চের শেষ সাইরেনে ঘুম ভাঙে পাড়ে বসে আবার ফিরতে হবে ঊর্ণাজাল বাঁধা শহরের বুকে৷                        ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡                                                     

নপুংসক

উত্তপ্ত রডের ফলা বিঁধে রক্তাক্ত যোনীর বুকে উঠে আসা রক্ত দিয়ে বারুদের স্তুপ গড়া হোক৷ নপুংসক রাষ্ট্রের ধ্বজায় বিদ্রোহি ইঞ্জেকশন মারো৷              জাগো মৃত সংবিধান, জাগো৷ রাস্তায় রাস্তায় ভারতের লাশ গুনে নির্বাক ক'দিন থাকা যায়?       ধর্ষকপ্রহরী মহামানবের গুহাতে লুকায়৷ ইন্টারনেটে সুখের খোঁজ, হাতল ছুঁড়ছে হাত৷      ধর্ষক নগ্নতা মাপে ভারতমাতার বুকে...               ক্যানসার, কামের অসুখে৷ তবু যারা সয়ে যায় ক্ষয়...                        কতখানি মানুষ, সংশয়৷                 ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

সংযোজন

                  যে কালবৈশাখী ঝড়ে বাতি নিভে যাওয়া অন্ধকারের পরোয়া না করা তেজস্বী উদ্যমে হাত ধরে দূর মহাকাশ পাড়ি দিতে হওনি পিছপা...                     সেই স্পর্শে রন্ধ্রে রন্ধ্রে উন্মুক্ত তুফান তুলে ভালবাসা মিশিয়ে দিয়েছি রক্তের প্রতিটি কণায় কণায়৷                    আমার কবিতা হয়ে ওঠা শব্দের অক্ষরে সংযোজন হয়েছে এঞ্জেল৷                  নির্বাক সমুদ্র ঢেউ তুলে যেভাবে বালির বুকে ছাপ ফেলে যায়...    ঠিক সেভাবেই ভালবাসা লিখে ফেলি কবিতায়৷ সময়ে দৃষ্টান্ত উঠে আসে৷ বিশ্বাস আসন্ন ফল৷      সোপান মঞ্জিল চেনে৷ স্পন্দন আমৃত্যু, অনর্গল৷                           ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡          

রেনকোট

আমৃত্যু প্রাচীন জল বয়ে যেভাবে সমুদ্র হয় নদী... শুকনো পাতার ঝরা শেষে,                             নতুন মুকুল ফোটে গাছে৷ শেষের পরেও এক শুরু আসে, কচি ঘাসে দূর্বার তেজস্বী ধারা৷ পুরান শেকড় ছাড়ে নতুনের বুকে...                              বর্ম যেন, অক্ষয়ী পাহারা৷ মাথার ওপর জমা মেঘ, তবু পথে ছুটে যেতে হয়৷ ছাতায় শিক্ষার নাম লেখা,                                  রেনকোট নয়া পরিচয়৷                       ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

ঈশ্বরবন্দী

ধর্ম থেকে বর্ম উঠে                    মৃত শেকড়ের শিরে চন্দ্রবিন্দু বসে৷ আসিফা, বিদিশা, রাধার রেচনে অনায়াসে তরবারি ক্রীড়া৷ বিধর্মী মাংসল যোনী যেন ঠিক কোন                                      শক্তি প্রদর্শনী ক্রীড়াঙ্গন৷ রামায়নজ্ঞানহীন ভক্ত হনুমান থেঁতো করে                                           নির্জনে নিষ্পাপ মুখ৷ পাথর সমুদ্র বাঁধে'না আর... জুড়েনা সাগর,                                  বিবেকে বিভেদ গেঁথে যায়৷ ত্রিশুল কাপড়ে বাঁধে স্বর,           আল্লার বান্দায় আনকোরা যোনী খুঁজে                                         প্রাণভরে মসজিদে খায়৷ লজ্জার সমুদ্রে গীতা, কোরাণের সামুহিক ক্ষয়৷ ধর্ষনঝড়ে উল্লাসি যারা, তারা কেউ সমাজের নয়৷ মৃত রাজা৷ রাজনীতি, ক্ষমতার বিষম লড়াই৷ টর্চ জ্বেলে সূর্যকে দেখার প্রতিভাও                                            মূর্খতার-ই পরিচয়৷          রাঙা হয় কূটনীতি ধর্মাবীর মেখে৷              ঈশ্বর ধর্মীয় অস্ত্রাগারে বন্দী৷ তাকেই মারব বলে লেখনীর অস্ত্রতে শান দি(ই)৷                          ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

বৃষ্টির রং লাল

টিপটিপ বৃষ্টির বারিষনামার বুকে নাম লেখা ছিল আমিনার৷               মাংসল টমেটোর রং ধুয়ে    বয়েছিল ধর্মিয় হিংসার নদী৷                            মেঘের হুঙ্কার পথে পথে৷           পশু থেকে ধার করে, বিবেকের  বিধর্মী প্রহারে...     ঈশ্বরীয় কান্না ঢেকে আসে৷ বৃষ্টির রং তবু লাল নয়৷ হয়তো বা ছিল,                      অন্ধকার কবেই বা রং চিনেছে? ওঁত পেতে ঝোপে বসা মশালের ঝাক          ভিজেছিল মাথা থেকে, আগুন নেভেনি৷ ক্ষণিক দূরেই এক ভালোবাসাঘর৷                 বর্ষার ছোঁয়াতে মুকুল ফুটেছে,                                  আদর মাখান কিছু বাকি৷ প্রেমিকার কাঁধ থেকে নেমে আসা প্রেমিকের ঠোট, হঠাৎ থমকে যায়৷          ফুরফুরে হাওয়া থেমে হিংসার লু ছুটে আসে৷ গণগর্জনে প্রেমিকা কেমন পাথর হয়ে যায়!!! পেট্রোলে পোড়ান দেহ যেন এক                                        গরম পিৎজার মতো৷ বৃষ্টিভেজা রাত জানে আধখাওয়া দগদগে ক্ষত৷ সেদিন বৃষ্টির নামে পরোয়ানা জারি হয়েছিল৷                      ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

বারিষনামা

নিকানো ব্যাল্কনি ভরা শুকনো আবেগ                    ঝড়ের রাতের কোন কবর জাগায়৷ শরিকেরা ঘিরে ধরে এমন সময়৷                    স্মৃতিপটে সমুদ্রও বোবা হয়ে যায়৷               অলস বারিষনামা, ফেলে আসা চিঠি  আদতে রোদন করে সব কাজ ফেলে৷               কে কোন শহর পথে ভিজে চলে যাই  শেষের পাতায় শুধু কবিতাই মেলে৷ মাটির ভাপের গন্ধ দেশিয় সুগন্ধি, প্রিয় ফুল         ঘুমানো কফিন থেকে হঠাৎ বেরিয়ে... তোমার বুকের মাঝে একাকী মুহূর্তদের ভুল                ঘ্রাণের তুফানে ওড়ে সীমানা পেরিয়ে৷                      ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

তৃষ্ণা

গন্ধের নেশায় আদরিণী মথ                                   সাগরের তটে রাখে ছাপ৷ তৃষ্ণার গহ্বরে চুমু যেন জল,                                  স্বর্গ পথে উঠে আসে আঁচ৷ অথৈ বানে ভাসছে শহর, উদ্বেগ সমান দুই প্রান্তে৷ গলা ছোঁয়া প্রেয়সী দোসর৷                                     ধীর গতি, আঁধারে একান্তে৷ বশ্যতা স্বীকার করে মন,                                 যন্ত্রণা ক্ষইছে ক্রমে ক্রমে৷ খুলে রাখা হৃদয় তোরণ                                  মিশে যাবে অন্তিম সংযমে৷                        ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

বিষবাষ্প

খবরে খবরে যুদ্ধ ওড়ে, আগুনের ফুলকির মতো৷ গৃহস্থে রোদন ফেঁপে ওঠে,                                   বিষবাষ্প ওগরানো ক্ষত৷ জ্বলন্ত শিখায় পোড়ে বই, শিক্ষার নিয়তি ছাই!!! বারুদে চাপানো আছে মই,                                        অযাচিত ঘৃণার লড়াই৷ উন্নতি শিখর ছোঁবে কবে? লন্ডনে দাঙ্গাও হয়? শিখছি বিশদ পরিসরে...                                    এরা তো গন্ডির নয়৷ ক্ষমতা মাথায় উঠে গেলে,                                 ঝেড়ে ফেল অযাচিত ঝুল৷ পেছন বাঁচানো দায় হলে,                                 সকলেই বুঝে নিও সুদ৷                    ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

মফস্বলের রাত

মেঘের ভেতর ডুব সাঁতারে কাব্য শানায় কে? সন্ধে বেলার বৃষ্টি যাদের আদর করেছে৷ চঞ্চু বাড়ায় শুষতে ফিনিক্স সান্ধ্যকালীন জল, ব্যাস্ত তখন ভিজতে জীবন, আমার মফস্বল৷ উষ্ণ গাছের গা ধুয়ে যায়, লক্ষ ফোঁটার তীর৷ ক্লান্তি মোছা হাওয়ার পরেই একমুঠো স্বস্তি৷ অন্ধ বাউল স্পন্দিত সব ছন্দ সাজায় বেশ, গন্ধি বকুল আতর মেশায় রন্ধ্রতে প্রত্যেক৷ ঝড়ের সাথে মন উড়ে যায়, যুদ্ধ আমার নয়৷ এক এক ফোঁটায় শান্তি মাপার সন্ধানী প্রত্যয়৷ ঠান্ডা বাতাস সন্ধি বাঁধে, উচ্চ - নীচের জাত... জঙ্গলে ওই আগুন ঘেরা ধামসা - মাদল রাত৷ সাঁওতালি গান, চঞ্চলা মন, হৃদয় ছোটে দূর... সুরের নেশায় জাত খোয়ানোও মঞ্জুর বন্ধু৷ কে কোন জাতের ছাপ মেরে যায়! ইলেক্সনের মন.. সুর ভেজা রাত, তাড়ি, শালবন, সন্ধির ইন্ধন৷                        ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

ধোঁয়াশেষে

গঙ্গার বুকে ভাসা পোড়া কাঠে লেখা থাকে ধোঁয়া ঢাকা বহু নাম৷ আনকোরা ধার ব্লেড, মুন্ডনে... সিঁথি কাদে, কেউ ভাবে পরিনাম৷ আনকোরা প্রাণটিও দিশাহীন, কোলে উঠে হাসে, নেই ভ্রুক্ষেপ৷ ক্ষত জমে, মাপ কমে পরিধীর৷ খোয়া গেছে কি যে ধন জানা নেই৷ কেউ হবে একা পথে গুমনাম৷ ত্রিকোণমিতির মত সমাধান৷ জীবনের ঝড়ে উঠে দাঁড়াবেই, উজ্বল বিধাতার প্রতিদান৷ কাঠফাটা রোদ্দুরে হাঁটা পথ, দিকে দিকে ভীড় বাড়ে আগাছার৷ এমনিও বাড়ে, নেই মালি যার, ওরা, যারা মাটি পায় উর্বর৷ কেউ তালগাছ কেউ বট হয়ে সস্নেহে হাত ধরে আগামীর৷ ওরা জানে কত ঝড় ধোঁয়াশেষে কান্নার রাতে ঢাকা সমাধীর৷         ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

পুরুষ

জমা হয় গরম বাতাস সন্ধির ব্যর্থ প্রয়াস৷ ট্রেন জানে নিজস্ব কোন ট্র্যাক৷ সঁজারুর কাঁটার ওপর মাঝিদের শান্ত সফর৷ বোড়ে চেস-এ অক্ষম, চালে এক৷ তবু সে'ই রক্ষা কবচ, ধীর স্থির, ব্যস্ত মগজ৷ ইচ্ছেরা হেঁটে গেছে বহু দূর৷ হাল ধরে সন্ধ্যা প্রদীপ, পাড় ভাঙে বহতা নদীর৷ সন্ধ্যায় ঠেক ছাড়ে বন্ধুর৷ ওরা চায় একটু আরাম, ফাঁকা দিন, ক্লাবের ক্যারম৷ লাল চা'এ, সিগারেটে সুখটান৷ সপ্তাহ শেষের পরেই, কাজ শেষে ফেরাও ঘরেই৷ যদি পায় স্বস্তির সন্ধান৷ প্রতিদিন, ব্যাস্ত মেশিন.. ক্লান্তির নামও প্রাচীন৷ ক্ষণিকের নিজস্বতাও ঢের৷ ওরা নাকি শক্ত, লোহার, জীবনের কঠিন প্রহার সয়ে চলা ধর্মই পুরুষের৷                   ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

যুদ্ধ (‌‍১)

Image
কাঁটাতার শেষে ক'টা ধড় আছে পড়ে৷ মজলিশে বসে, শান্তির সভা, ধর্মের চিঠি ওড়ে৷ গোধূলির বেলা কফিনের রং চেনে। ঢিপঢিপ বুক মায়েদের দুধ অশোকচক্র গোনে৷ হিন্দুর বউ সিঁথি খালি রাখে, ত্যাগে৷ বিধবার স্মৃতি ছত্রিশ ছাতি৷ ছিবড়ের মতো লাগে৷ দেশ রক্ষায় শাঁখা বলি যায় ঢের। দেশপ্রেম ভরা সৈনিক যারা, ক্ষত বয় যুদ্ধের৷ দাঙ্গার নামে লুঠ চলে দিনে, ভয়... টুপি পরা মুখ, বারুদের স্তুপ৷ ওরা পৃথিবীর নয়৷ আড়াইয়ের কাট, আগুনের হাট, চুপ... রক্তের স্রোত, শিকারীর ওঁত, ঈশ্বর বাটে সুখ৷ ধরা পড়ে যারা মেপে বাটখারা, জাত... শেষ সম্বল পদাতিক দল নিষ্ক্রিয়, দেখে ত্রাস৷ গরীবের চাকা একশত টাকা দিনে, ওরা জানে ক্ষয়, যুদ্ধের ভয়৷ রাজনীতি দেখে সিন-এ৷ ব্যবসায়ী শ্রেণী কান পেতে শুনি কাঁদে, বাজারের ধোঁয়া, খালি পেটে শোয়া৷ ধ্বংসের সংবাদে৷ স্বদেশের ভূমি শ্মশানের জমি, মা'ও... ধড়হীন শিশু, নিশ্চুপ যিশু, অক্ষম বিধাতাও৷ যারা সিরিয়ায় বৃথা মারা যায়, লাশ... পৃথিবীর কেউ এসো দেখে যাও কাকে বলে সন্ত্রাস৷                       ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

প্রেমিকার ঘর

প্রকৃতির মাঝে এক প্রেমিকার ঘর, যুদ্ধের মাটি ফেলে শান্তির পথে৷ দুচাকার গতি ধীর, খুনসুটিঝড়... দুজনার ভেসে চলা আবেগের স্রোতে৷ যন্ত্রের নেই "শোর", ধোঁয়া-কালি হীন৷ দু-পাশের গাছ থেকে নেমে আসা বায়ু ছুঁয়ে যায় বুক থেকে প্রেমিকার চুল৷ সুগন্ধী কিছু নেই শহরের কাছে৷ গ্রাম গ্রাম গন্ধটা বহুকাল ছাড়া.. স্বপ্নের হাট খুলে কেউ কেউ আসে৷ শহরের বুকে যেন ধ্বংসের তাড়া, তার ঘর, পাড়া শুধু প্রেম নিয়ে বাঁচে৷ গোলাপের জাম, আম উঠোনের পাশে, ঘর বাড়ি নীল, যেন মাপা গভীরতা... সাগরের মত দুই উচ্ছল জীব৷ তারই মাঝে আকাশের আন্তরীকতা৷ এরা থাক নেচে, বেঁচে ঠিক এভাবেই, আমি মাঝে মাঝে এসে ঘ্রাণ নিয়ে যাব৷ চঞ্চলা ঘুড়ি না হারায় যেন খেই... কোথাও তো উড়বার ডানা খুঁজে পাব৷             ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

যুদ্ধশেষে

Image
যুদ্ধের ঠিক পরে ট্রেন থেকে নেমে দেখি কঙ্কাল অবশেষ৷ ঘরবাড়ি, স্তব্ধতা, পরিবেশ... মানুষের যন্ত্রণা গুণছে কে? ওরা, যারা ভাত চায়, পথে নামে অঙ্গারপথে হাটে রাতদিন৷ সন্ধানী হিসেবের গরমিল... চুপপ্রেমী চিঠি লেখে নীল খামে৷ তেষ্টায় প্রাণ ঢালা সরবতে শিশুদের গলা ভেজা ধর্মই৷ মানবতা বাঁচাতে তো লড়বই, দেশ যদি বেঁচে যায় কোনমতে। গলি গলি বিধাতার চিৎকার... ক্ষয় হোক, নিভে যাক ঈশ্বর৷ আরও এক যুগ হোক প্রস্তর৷ শান্তির পৃথিবীটা দরকার৷ রক্তের হানাহানি, বোমা নেই, হৃদয়ের ধর্মও ধ্বজাহীন... খিদেটাই পুরোহিত বা মুমিন৷ দু-বেলায় ভাত তবু জুটবেই৷         ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡