Posts

Showing posts from August, 2017

বাবাজী কা ঠুল্লু

Image
নাচে - গানে, বক্সিঙে সেরা, ধর্মের ধ্বজা বেচে খাও৷ নিষ্পাপ নারীর শরীরে কামনার বিষ ঢেলে যাও৷ অন্ধের জয়জয়কার, ভক্তেরা সঙ্খ্যায় কোটি, ধর্মের বুলির আড়ালে ধর্ষিত হয় সন্ততি৷ তা বলে কী ফাঁসি দেওয়া যায়? তাও যদি নামে থাকে রাম৷ কারাগারে ঢুকে যাবে ঠিক, কিছু নির্বোধের প্রনাম৷ মাথায় বেঁধেছ লাল শালু, নিজেকে ভেবেছ ভগবান৷ ভক্তিকে দুর্বল জ্ঞানে দিয়েছ চরম প্রতিদান৷ তুমি নাকি দেশ সেবা কর? সত্যি! তা তো ভাল বেশ৷ চক্রান্ত? সে তো জানে যোনী,  কে প্রবেশ, কে অনুপ্রবেশ৷                      ✍ প্রভাত..🌠

সন্ধানী

Image
উড়ে গেছে পুরান সে চিঠি, ভরে গেছে কবিতার খাতা, শহরের ব্যস্ততা শেষে, ঘুম ভেঙে আসে নীরবতা৷ জানালায় বৃষ্টির ছাঁট, মন ভেজে একা ঘরে শুয়ে৷ জ্বর, তবু গীটারটা বাজে, সে বেটা যে বড় একগুঁয়ে৷ খাবারেও রুচি নেই আজ, দিন কাটে প্যারাসিটামলে, শরীরটা চায় সেই ছোঁয়া, গন্ধ তোমার আঁচলের৷ যদিও কাছেই আছে কেউ, ভ্রুক্ষেপে পর বোঝে সে৷ বৃষ্টির জলে ওঠা ঢেউ, কবিতায় ভালবেসেছে৷ আমার আমিটা বড় একা, পাহাড় সমুদ্রে ঘুরি তাই৷ হয়তো বা হয়ে যাবে দেখা, সন্ধানী শেষ ঠিকানায়৷                          ✍ প্রভাত..🌠

তিক্ততা ভুলে

Image
সন্ধেবেলা, একলা ছাদে, মেঘ উড়ে যায় বৃষ্টি নেই৷ চাঁদের আলো আদর করে, ঠোঁটে তোমার কিসটি নেই৷ তারাগুলোও মিটমিটিয়ে ডাক দিয়েছে তার দেশে, হয়তো কোথাও আমার মতই একলা, হতাশ, কাঁদছে সে৷ ঘুরে বেড়ায়, উড়ে বেড়ায়, কাব্য লেখে মনখানি৷ সেও হয়তো আদর চায়, আমার মতই, ঠিক জানি৷ কোথাও কোন দূর প্রদেশে, বাদলা দিনে জানলা খুলে, ডাকছে আমায়৷ ঠিকানা নেই, বাতাস তুই দে না বলে৷ নয়তো আমায় চলনা নিয়ে, কিচ্ছু তাকে না জানিয়ে, ঘন্টাখানেক কাটাইনা আজ একসাথে৷ আমায় দেখে চমকে যাবে, ছুট্টে এসে হুমড়ি খাবে, জড়িয়ে ধরে ভিজব দুজন রাস্তাতে৷ উঠুক না ঝড়, আসুক প্রলয়৷ পেরিয়ে যাব মৃত্যু বলয়৷ যাকনা চলে শহুরে এই ব্যস্ততা৷ একলা দিনের সঙ্গী হব৷ জড়িয়ে বুকের গন্ধ নেব৷ উড়িয়ে দেব মনের যত তিক্ততা৷                      ✍ প্রভাত..🌠

রেল লাইনের ধার

Image
ফেলে আসা কিছু অপ্রকাশিত গল্প, লাইন পারের ঝুপড়ি ঘরেই লেখা৷ সময়খানি সত্যিই ছিল অল্প, খুব বেশি কিছু হয়নি পড়ে দেখা৷ শিশু কোলে এক যৌবনা কালো মেয়ে, নিস্তব্ধ সে রেল লাইনের ধার, টাকা উড়ে যায় যুবতী শরীর ছুঁয়ে, বুকে লেগে থাকে জমাট অন্ধকার৷ ঝোপ থেকে ডাকে অর্ধনারীশ্বর, কম টাকাতে সেও তো কিছু বেচে৷ রঙ বদলায় নিষিদ্ধ শহর, মানুষ বিচারে আমরাও একপেশে৷ কিছু চাপা পড়ে, কিছু ছিঁড়ে খায় হায়না, মৃত্যুর পর কেউ করে না শোক৷ ছোঁয়া যায় যাকে, ভালবাসা তবু যায়না, তাদেরও তো কিছু গল্প লেখা হোক৷৷                   ✍ প্রভাত..🌠

ধর্ষক বলছি

Image
আধভেজা গলায় বেসামাল হয়ে দেখি, ক্ষুধার্থ হায়নার মত৷ সমক্ষে শিকার, ঝাঁপিয়ে পড়ি৷ ছিঁড়ে-খুড়ে, নিংড়ে খাই৷ শিকার ডানা ঝাপটায়৷  তাড়নায় করি রক্তাক্ত, রাতের আঁধারে৷  বিজেতা আমি, এবার সার্থক৷ আমি? ধর্ষক৷ বয়স বিচারে মুক্ত, নামতা ভুলে যাই৷ হতেই পারে সাত থেকে সত্তর৷ আমার একটাই জাত৷ ধর্ম-বর্ণের উর্দ্ধে আমার মন৷  হোক না বোরখা কিংবা শাড়ি, শুধু রাস্তাটা নির্জন৷ হাতে মুঠোফোন, ফ্রী তে দেখি যা কিছু গোপন৷ হেরোইন শুঁকে খুঁজি হিরোইন৷ রিস্কায় চড়ে দেখি বিদেশি শরীরের পিয়ানো৷ ভেতরে আমারো জ্বলে সুপ্ত ভলক্যানো৷ ক্ষোভ, যন্ত্রণাগুলো ঠিকরে বের হয়৷  ছোটে ধূমকেতু, ওঠে প্রলয়৷ আমি সর্বত্রই, যেমন আল্লা, ঈশ্বর, গড৷ আমার অস্ত্র ব্লেড, জং ধরা রড৷ মানুষেরই মাঝে বিকারগ্রস্থ সত্তা,  যাতে আচ্ছন্ন দিনমজুর থেকে মালিক, নেতা, থেকে অভিনেতা, ছাত্র কিংবা শিক্ষক৷ আমি? ধর্ষক৷                   ✍ প্রভাত..🌠

চোখ

Image
চোখ মোছা হয়ে গেছে? তবে চোখের কোণে ওটা কি? ধূলো উড়ছে না তো কোথাও৷ তবে? কোন বিষে জ্বলে গেছে হৃদয়? অলিন্দ ভরছে কেন ঘৃণায়? বিশ্লেষন করো৷ যন্ত্রণাকে৷  উঠে এসো, বেঁচে দেখ৷ আমি হাত বাড়িয়েছি৷ বারে বারে, অন্ধকারে  পথ হারিয়েছে ভূমি৷ হয়তো আবার  একটা ভুল পথ৷ ভুল সিদ্ধান্ত৷  চোখ খুলে দেখ, মজবুত কর শিরদাঁড়া৷ দিশাহীন নিরাশাই ডাকে মরুভূমি৷ ওরা কে? স্বার্থের তাড়নায়, ক্ষমতার লালসায় বিভ্রান্তির আলোতে দেখায় স্বপ্ন৷ বেছেছিলে যাকে, কতখানি বুঝেছ? নির্বোধের জোয়ার ঠেলে সত্যকে খুঁজেছ? ভেবে দেখ, পড়ে দেখ ইতিহাস৷ জিতেছে তারাই যারা বিশ্লেষন করেছে৷                     ✍ প্রভাত..🌠

ধর্ষক

Image
চাই আর একটা রাত, সঙ্গে দু পেগ পেটে৷ আমি জন্তু হয়ে যাই৷ হ্যা, আমি ধর্ষক৷  ঘেন্না করে না আমার  ওই শিশুটাকেও রক্তাক্ত করতে৷  হয়ত শুনেছ নর পিশাচের গল্প,  দেখেছ? আমায় দেখ৷ তফাৎ নেই কোন৷ এখন আবার ইন্টারনেট ফ্রী৷  কত সাইট! এক নাগালে লক্ষ লক্ষ চলচ্চিত্র৷ গলায় দু ঢোক গিলে যখন দেখি, আমারও ইচ্ছে করে৷ ভুলে যাই নিজের বোনটাও  পথে একলা বের হয়, এরকমই কোন জনহীন রাস্তায়৷ আমি বয়স দেখিনা, সত্তরের বৃদ্ধাকেও ছাড়িনা৷ যেমন রাতের আঁধারে ক্ষুধার্থ হায়না... সব শেষে যুদ্ধ জয়ের যশ৷ হ্যা আমি ধর্ষক৷ তাবলে ভেবনা মূর্খ৷ যেমন রিক্সা চালাই, তেমনি শিক্ষা ছড়াই৷ কখনো রাতের আঁধারে বাইরে, কখনো বা স্কুলের  ফাঁকা  ক্লাসরুমে৷ আমি সর্বত্রই, যেমন ভগবান, আল্লা, গড৷ আমার অস্ত্র জং ধরা রড৷ আইন? তার দন্ড ভাঙা, তাই বারে বারে, ক্ষেতে খামারে, জেগে ওঠে শখ৷ হ্যা, আমি ধর্ষক৷                   ✍ প্রভাত..🌠

ইস্টেশন

Image
একলা ধূ ধূ ইস্টেশনে বৃষ্টি শুরু টুপটাপ৷ মন উড়ে যায় পাগল হাওয়ায়, চা ও চলে এক দু কাপ৷ আধভেজা ঘর, সামনে পুকুর, পানকৌড়ি দিচ্ছে ডুব, বাঁধন ছিঁড়ে হাওয়ায় উড়ে ইচ্ছে করে ভিজতে খুব৷ এ তো আমার চেনা বাতাস! ফুরফুরে সেই গাঙ্গেয়৷ ঐ যে দূরে বাজছে বাউল, ডাক দিলে কী শুনবে ও? সঙ্গহীনা? ঠাঁয় দাড়ায়ে কাঁদছ কি তাই মালগাড়ি? আমায় দেখ৷ একলা, তবু থাকতে খুশি খুব পারি৷ লাইন পারেই সারি সারি আকাশ ছোঁয়া ডাবের গাছ, ওই দেখ কারা রোমান্স করে! এটা তো আবার ভাদ্রমাস৷ হাজার হাজার টনের বোঝা বইছ তুমি রেল লাইন, ঠাঁয় দাঁড়িয়ে কর্তব্যে, হৃদয় তোমার স্বপ্নহীন৷ জীর্ণ কাপড়, ফলের মাসি, বাদলা দিনে ঝাপ ফেলে৷ দরিদ্র, তাই বৃষ্টি মাথায় চা ওয়ালা ফের সুর তোলে৷ অনেক কিছুই শিখিয়ে দিল, ভিজিয়ে গেল শহুরে মন, আমার মতই একলা সে এক নাম না জানা ইস্টেশন৷                      ✍ প্রভাত..🌠

স্বাধীনতা

Image
রাষ্ট্রীয় গান রাজপথে শোভা পায়, যন্ত্রণাগুলো ঝুপড়ি ঘরেই বন্দী৷ অন্ধকারেও কিছু মুখ চেনা যায়, লাল সিগন্যাল ঠিক করে দেয় কোন দিক৷ ফুটপাথে কিছু ছেঁড়া কাপড়ের লোক, উচ্ছিষ্টেই খুঁজে পায় স্বাধীনতা৷ তাদেরও তো কিছু গল্প লেখা হোক, ভুলে গেছে যাকে শহরের ব্যস্ততা৷ রড ঢুকে যাওয়া  ক্ষত  বিক্ষত যোনি, নারীর পিঠের দগদগে কালসিটে, ভোট খুঁজে খায় সুযোগ সন্ধানি, প্রতিদিন কিছু ক্ষত জমে হাইকোর্টে৷ বুড়ো চশমাও রাজনীতি করে যায়, ধর্মের ধারে ভাগ করে যায় দেশ৷ ফাঁসিকাঠে ঝোলা কার পড়েছিল দায়? রক্তেরা তবু রেখে গেছে কিছু রেশ৷ দেশপ্রেমিকের যন্ত্রণা ভরা কথা ইতিহাসগুলো বলে যায় কানে কানে, কারা দিয়ে গেছে প্রকৃতই স্বাধীনতা সত্যতা নির্বাক কারাগার জানে৷                  ✍ প্রভাত..🌠

বিকৃতকামিনী

Image
মা, আজ আমি খুব ভাল আছি জানো, কবরের ভেতর কী নিদারুণ নিস্তব্ধতা!! পৃথিবীর যত কোলাহল থেকে মুক্তি৷ তোমার বিকৃতকামী নতুন স্বামী আর রক্তাক্ত করেনা আমায়৷ মা, সত্যিই আমি খুব ভাল আছি জানো৷ আচ্ছা মা, আমার সেদিনের যন্ত্রণা ভরা চিৎকার তোমার কানে আসেনি? আমার চোখের জলে চাদর ভিজেছে, তোমার মন ভেজেনি মা? আমার সদ্য ফোটা চোখ দেখেছিল ওই শরীর সুখের খেলা৷ যেদিন আমি তোমার পাশেই শুয়ে, যন্ত্রণায় কাতরে উঠেছি সূঁচবিদ্ধ হয়ে, বারে বারে ডেকে উঠেছি, মা.... সাড়া দাওনি৷ মৃত্যু নাকি বড় যন্ত্রণাদায়ক? তবে আমার ওই কয়েক মাসের জীবন  এই মৃত্যু থেকে হাজার গুনে দুর্বিষহ ছিল৷ তুমি যদি হও সমাজে নারীর নিদর্শন, পরজন্মে আর নারী হব না মা॥                     ✍ প্রভাত..🌠

আন্তরিক

Image
জড়িয়ে পড়েছে মন৷ মুঠোফোনে, ওপাশের স্বরে৷ অতীতে যেন জ্যোতিষি কিছু লিখে রেখে গেছে শিয়রে৷ সঙ্গীত থেকে গীত নিয়ে, কবি ছাড়া লিখি যদি কবিতা, স্বপ্নও ভালবাসে পুরু ঠোঁটে সাদাকালো ছবিটা৷ উঁকি দেওয়া রোদ শীত মেখে জানলার কাঁচে, তোমার গন্ধ ভাসে পাহাড়ের আনাচে কানাচে৷ রাজবাড়ি থাকুক না সাক্ষী, বাঁধভাঙা প্রথম আদরের, চার চোখে পড়ে নিও মন, যা কিছু আবেগ গভীরের৷ বেশ রাতে সুর ছাড়া কথা, শেষ তবু হয়নি তো গল্প, ফোন শেষে চিনচিনে ব্যথা, রেশ তবু থেকে গেছে অল্প৷ সুন্দর চোখে যায় ফুরিয়ে, সে যে আছে হৃদয়েই বন্দী, পলাশ ফুলের মায়া ছাড়িয়ে, শুধু ভালবাসাতেই মন দিই৷ গ্রাম যদি উঠে আসে শহরে? হৃদয়েই করে সংকল্প৷ সুর গুলো বেঁধে নেব গীটারে, ফেলে রেখে হাজার বিকল্প৷                           ✍ প্রভাত..🌠

আত্মহনন

Image
শিক্ষা করেছে আত্মহনন, দেখ স্বর্ণমুকুট এঁটেছে মুখে কুলুপ৷ জ্বলছে শ্মশানে রাজ্যের অভিশাপও, স্বৈরাচারী সামনে আছে, চুপ৷ বইয়ের মলাট উড়ছে ঝাঁটার তলে, চপের ঠোঙায় সাহিত্য পায় শোভা৷ পেটখারাপের শিল্প ঢেকুর তোলে, মূর্খ করে সবুজ জনসভা৷ রবীন্দ্রনাথ, বিদ্যাসাগর মিছেই গড়ল সমাজ শিক্ষাধারার স্তম্ভে৷ উন্নতি চাপা লন্ডনের নিচেই, রাজ্য বাঁচে মিথ্যা স্বপ্নদম্ভে৷ নিভেছে আলো সাম্রাজ্যে অপমানের ঝড়ে, মায়ের আঁচলে আগুন জ্বেলেছে মাটির মিরজাফরে৷                          ✍ প্রভাত..🌠

নন্দিনী

Image
তোমার ভাষায় সেই গ্রাম্য সুরের ছোঁয়া, তবু ভাষার দৃঢ়তা, জ্ঞানের স্পষ্টতা, আমার শহুরে বাবুয়ানাকে হার মানায়৷ তুমি মাষ্টার্স, আমি সামান্য গ্র্যাজুয়েট৷ না, অহঙ্কারটি নেই৷  নেই আমার "সংসার" কবিতার নারী চরিত্রটির ছোঁয়া৷  যতটুকু বুঝেছি তুমি অল্পেই খুশি৷ যেমনটি আমিও৷ যুক্তিবোধ, অধ্যাবসায় সবেতেই আমায় ছাড়িয়ে গিয়েছ৷ অনেক নারী চরিত্র দেখেছি জীবনে যারা সম্পর্কের ভিত গড়ে মাসিক অঙ্কটা কষে৷ তুমি তো আবার এ বিষয়ে নিপুণা, পার্থক্য শুধু ভিতের গাঁথনে৷ ভালবাসা কী ঠিক আছে? দুজনে একটু ভাল থাকার কিছু প্রচেষ্টা মাত্র৷ ভাবনায় মিলের প্রাচুর্য তো বীজগণিতের সমতুল্যতাকেও হার মানায়, সেটাও আবার তুমি আমার থেকে ভালই জান৷ আচ্ছা, গীটারের সুর কি পাটিগণিতের সাথে মেশে? যেমন আমার কবিতা তোমার আবৃত্তির সুরে মিশতে চায়৷ কখনো যদি সত্যিই মিশে যায়, আমার শহুরে ব্ল্যাকবোর্ড থেকে  অশান্তির ক্যালকুলাস মুছে  দু-দন্ড গ্রাম্য শান্তি দিও নন্দিনী৷                  ✍ প্রভাত..🌠

ফ্রেন্ডশিপ ডে

Image
হদয়ের টানে জীবনের বানে আঁকড়ে ধরা কিছু হাত, নিঃশব্দের কোন বৈঠকখানা, কৃতকর্মের অনুতাপ৷ সাক্ষিরা আজও খোলেনি তো মুখ, কত অভিমান করে গেছে, সময়ের তালে ভেঙে দিয়ে মান চায়ের আসরে বসেছে৷ দূরত্বে তবু কাটেনি তো সুর, ফোনে গলা শুনে বলে তুই!! নদীর দু পাড়ে জমে থাকা কথা, বোঝে শুধু এক বন্ধুই৷ ফিরে পাওয়া স্মৃতি, সাইকেল গতি, বিকেলে পাড়ার মোড়ে ঠেক, সূর্যও যদি ওঠে অসময়ে, এ সম্পর্ক নয় ফেক৷ হঠাৎ দেখাতে গলায় জড়ানো স্বতস্ফুর্ত আবেগে, সত্যি কি আজ খুব প্রয়োজন একটাই ফ্রেন্ডশিপ ডে?                         ✍ প্রভাত...🌠

ত্রাণ

Image
ডুব দিয়ে ফুলে ওঠে দেহ, জলে ভাসে হলদেটে শাড়ী, রাত্রের বাঁধভাঙা বানে উড়ে গেছে জোনাকি বাহারি৷ জীবনের খড়কুটো কিছু নিশব্দের বালুকায়, অসহায় ত্রাণের খাবার পৌছেছে ভুল ঠিকানায়৷ গুপ্তচরের কোন চিঠি গোপনে বন্দী যেন খামে, বৃদ্ধ, শিশুর যত ক্ষিধে জমা রাজনীতির গুদামে৷ রাজনীতি কানকাটা জানি, চুরি করা বড়লোকি প্রথা, বিবেকের গলা কেটে খুন, লাশঘরে পঁচে মানবতা৷ বুক ফাটা কান্নার সুরে চোখ করে আপনের খোঁজ, তবুও তো ক্ষিধের আগুনে ভাল লাগে ত্রাণে খাওয়া ভোজ৷ মৃত্যুটা বাস্তব জানি, তারও চেয়ে বাস্তব ক্ষিধে, লাশ খাওয়া শকুনেরা ডাকে জমা ধানক্ষেতের বালিতে৷ চোখ তুলে দেখি চারপাশে, বিবেকেই হায়নার বাস, কত শিশু বৃথাই মরেছে, রাজনীতি জানে ইতিহাস৷                          ✍ প্রভাত...🌠

বিষাক্ত

Image
সার্জারি রুমে ঢেকে মুখ কতদিন করবে আড়াল? ছিঁড়ে যাবে ঠিক কোনদিন ভুয়ো মুখোশের বেড়াজাল৷ দেবতার ভনিতা না করে যদি দুটো ভিখ চেয়ে নিতে, ভরে যেত শ্রদ্ধার ফুল মরণোত্তর সমাধিতে৷ সূঁচ ফোঁটা মৃত খুকু ব্যথায় দেখেছে মহাকাল, কিভাবে সংশা পায় ডাক্তার নামে জঞ্জাল? কবরের মাটি ফুঁড়ে কেউ বলে গেল সমাজকে ধিক্, অর্থের ভারে আজ চুপ খাঁকি চামড়ার পদাতিক৷ সংরক্ষন করা ধারা ডাক্তার গড়ছে হাজারো, সংবিধানের পাতা ছিঁড়ে সমাজকে বিষ দিতে পারো৷ কে রাখে খবর কোন্ মা অস্ফুটে করে হাহাকার, কত আর মারবে শিশু সমাজের বিষ ডাক্তার?                        ✍ প্রভাত...🌠