Posts

Showing posts from November, 2018

শক্তি সঞ্চয়

ঝাঁকুনি একটা কোন সময়ের নাম পরিশেষে হয় পাখি.. নয়তো মৃত্যু৷ দু-পায়ে শৃঙ্খল ভেঙে উঠে গেছে যে লেখা সিঁড়িতে... বেড়ালের পায়ে পায়ে কলমের দাগ৷ মূহুর্তে শতাব্দী নয়, তপস্যার বহু দিন পেরিয়ে এসেছ৷  তাতে কী? চল না কোন দ্বীপ্রহরে  উন্মাদের গোশালায় তোমার দু-পাতা বসে সৃষ্টিসুখ শুনি৷                        ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

ব্যালেন্স

শ্মশান ঘাটের ধারে পোড়া পোড়া গন্ধ শুঁকেছি, দেখছি কী ভাবে সব জ্বলেছে নির্যাস৷ সুস্থ মৃত্যু নয়, খুন৷  দলা দলা থুতু ফেলে পোষকের দাস৷ ভষ্মের যন্ত্রণা  থেকে দূরে পাড়ি লাক্সারি গাড়িতে৷ সেখানে জীবন৷ মৃত্যু? সেও বহু দূরে নয়৷ বিলাসের মোরগ লড়াই শেষে                চিতার চৌকাঠ গড়ে আসো৷ পার্কসার্কাস... সুগন্ধীত্রাস, শহীদ মিনার আজও আশির দশক! তারও আগে শূন্যতায় ব্যালেন্সের খেলা৷ ব্যালেন্স শেখেনা কেউ ব্যাঙ্ক ছাড়া৷ প্রতিটি নিসর্গ ঝড় ওঠে আর নিভে যায় সমান্তরালে৷ বমন করেছ লাভা, পেরেছ কী জ্বালতে আলো আজ ঊর্ণাজালে?                     ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

অতিক্রম

কুয়াশা-মৈথুন শেষে ছুঁড়ে ফেলি ক্ষোভ, বারুদের স্তুপ৷ ছিঁড়ে যাওয়া মাছরাঙা যেন এক আয়নার ভঙ্গুর রূপ৷ দেখতে..        দেখতে..             ঝাপসা নিজেরই স্বরূপ৷ ধূলোর পাহাড় ঠেলে আস্তে আস্তে গিলে নিচ্ছে রোমান সভ্যতা৷ নিরিবিলি ম্যানহাটন কিম্বা শূন্যতার দেশে আবিষ্কার নিজের অসীম৷ যতক্ষণ না ছুঁয়েছি ততটা জীবন৷  তোমাকে হারানো শুধু শীতের কুয়াশা রাতে ছিঁড়ে যাওয়া গরম চাদর৷                      ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

অপারগ

এভাবে কনুই ছোঁয়া.. পাঁজরের দু-ইঞ্চি গভীরে ধড়াশের অন্ত্যমিল বুঝতে পেরেছ কী? দাঁতে, ঠোটে কী ভীষণ সুনামির ঢেউ৷ পারদ..      পারদ... পলক নামিয়ে রেখে দুর্লভ উষ্ণতা জাপটে ধরে নিজেকেই হারানো কখনো৷ চাদরে কুয়াশা নামে, বর্ষা ও শীতের মতো অন্তরঙ্গ বালিশ জড়ানো৷ পলক ওঠালে জিভ কেন যে নপুংসক হয়?                   ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

ঘুমন্ত কান্নার দেশ

কলম্বাস বোঝেনি প্রতিটি দেশের ভেতর একটি মহাদেশ থাকে৷ যেখানে দিগন্ত রেখা নেই,  সমুদ্রের পাহাড়                      ফুঁপিয়ে বলছে...  থাক,      চাইলে বড় নিঃস্ব লাগে৷ গলিতে গলিতে গরিবের সারি, প্রতারিত৷ তাই, আয়নায় হাসির প্রতিচ্ছবি এঁকে লেপ মুড়ি দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে কান্না৷                  ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

পুনর্জন্ম

নিজেকে চিনতে পারছ কী?  দেখবে বলে গুমরে উঠছে আয়না৷ যে আকাশে অন্ধকার মুক্তির খোঁজে ডানা ঝাপটায়.. ইচ্ছেদের ইচ্ছামৃত্যু হয়.. পর্দার আড়ালে জমিয়ে রেখেছে কান্না৷ লিলিথের ভাগ্যে ডাইনি! ইভ-ই সত্তা? আকাশ পেরোতে গেলে নিন্দুকের অমরত্বই দরকার৷                    ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

হীরের আঙটিটা

উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত কেন? বাউল, ভোরাই যদি হয়.. সুর, তাল, লয়ে মিশে একাকার নদী... দু-মুঠো ছোলার চেয়ে পিৎজা উপকারী? যখন গীটার বাজে, ওপারের বাঁশিতে শূন্যতা৷ কোন বাঁশুরিওয়ালার ঠোঁটে সে গান পূর্ণতা পাক৷ তুচ্ছ কে? বুঝেছ? জলনিঃস্ব বালি?  না কী হীরের আঙটিটা৷ হীরে কোন সম্পর্কের বিলাসিতা হলে,  বালি ঘর বাঁধার সোপান৷               ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

নির্বিকার

ছন্দের মতো দুলতে দেখেছি দু-চার পা কাঠ ঠোকরার সংসার ভরা অলঙ্কার৷ সাপের সঙ্গে যুদ্ধ তবুও লড়তে হয়৷ লিখতে দেখেছি, কলম যেন, ফুরায় না৷ রাজার গদি প্রজার বেশে নিত্যদিন৷ কার কী ভাবে, কোনখানে চাই আশীর্বাদ মন্ত্র পাঠের শ্লোক গুলিও মুখস্তই ছন্দের মতো দুলছে তবুও ছন্দহীন সিন্দুক খুলে বিলিয়ে দিয়ে নির্বিকার৷ খুশির পলি জমায় প্রতি স্তরে৷ বাবারা সব ফ্যানের মতো ঘোরে৷ নিজের গায়ে হাওয়া টুকুও লাগায় না৷                 ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

সেফটি

রান্নায় মশলার মতো প্রেম, সযত্নে দু-হাতে পরিমান মতো  যতটা যা লাগে...  সুস্বাদু আবেগ চেখে রাখি৷ বাইরে গেলেই পা ঢেকে নিও, চারিদিকে যা উত্তাপ.. সেফটি মাস্ট৷ আহার গ্রহন করে             পরিস্কার, তুলে রেখো সঠিক সময়ে৷ সম্পর্ক হোক বা এঁটো  শুকিয়ে গেলেই বড্ড কষ্ট হয়৷                      ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

কবিখোঁজ

ওল্টাতে ওল্টাতে পৌছে গেলাম মন্দিরে৷ শঙ্খ ঘোষের বাজনায় আমি উচ্চস্বরে গলা মেলাতে মেলাতে ভূমধ্য সাগরে... ডুবছি      ভাসছি            জল খেলছি,                     উঠতে চাইছি না তো! ভুলে গেছি কিছুক্ষণ আগে নিরাশার দোকানে জয় গোস্বামী খুজতে গিয়ে ভুসিমালের গন্ধ শুঁকেছি৷ ও প্রান্তের ক্ষিধে বলল, বই আর কেউ খায়না৷ কবিতা তো নয়ই৷                    ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡