Posts

Showing posts from March, 2021

ঔদ্ধত্ত্বের শিখায়

হঠাৎ মৃত্যুর দিনে দুটো ফুল হাতে যারা আসেনি কখনো... ভয়ঙ্কর সুনামির পূর্বাভাস জানার পরেও যারা সাবধান করেনি সেদিন...  ছটফট করতে থাকা যন্ত্রণার দিনে যারা কথার মলমটুকু লাগাতে আসেনি... এ লেখা তাদের কাছে যাক৷ উড়ে গেল ঘর আর পুড়েছিল অন্ধের সংসার.. কে কতটা ভার তুলে নিতে এসেছিল সেই দিন? অথবা কিঞ্চিত দুটো পরিযায়ী মেঘ হয়ে সামান্য বৃষ্টির ছিঁটে দিয়েছিল নিদাঘ প্রান্তরে? যে ছিল সে আজও আছে পাশাপাশি হাত ধরে৷ তলিয়ে যেতাম, ঠিক সে সময় তুলে এনেছিল এক নারকীয় কূপ থেকে ফুলের বাগানে৷ প্রতিটি রাতের চোখে লেখা আছে তারই শুভনাম৷ ভালোবাসা বুকে নিয়ে তার'ই কথা লিখতে এলাম...                                                      — প্রভাত ঘোষ এই সূত্রে অদিতি সরকারের এই লেখাটি লিখতে বড় ইচ্ছে করল— "পুরুষের ভালোবাসা পাওয়াও সাধনার বিষয়। দেহদানের পরেই যে-নারী ব'লে পুরুষের ভালোবাসা পেয়েছি, সে নির্বোধ; পুরুষের বিশ্বাস ছুঁয়েই দেহ ছুঁতে হয়... শরীর তো বেশ্যাও দেয়।"

বসন্ত

Image
  'কখনো যাব না' বলে থেমে আজও থাকেনি উড়ান৷ বাতাসের সাথে শোঁ শোঁ করে এগোনোর যাত্রাপথ মলিন হয়নি কখনোই পশ্চাতে বারুদ আছে বলে৷       বেড়িয়ে এসেছ বুড়ি? বহুকাল না দেখায় অচেনা লেগেছে কোনো রং? এ মনের চোখ খুলে শ্বাসের দরজা ঠেলে বেলি ফুলে ডুবিয়েছ প্রাণ?         সহস্র অঘ্রাণ যেন তোমারই অপেক্ষায় আস্তে আস্তে বৃদ্ধ হয়ে গেল আর তুমি তাকে চেয়েও দেখলে না৷ চৈত্র শেষে কচি শাল - পলাশের ফুল প্রেমিকার মতো এসে চুলের কিনার ধরে গালে ঠেকে দিয়ে যায় চুম্বনের নতুন সমাস৷ সমস্ত জগত জুড়ে ভালোবাসা তোমারই তো বাস৷ আর আমি আজীবন সন্যাসে জড়াব বলে রূদ্রাক্ষের মালা নিয়ে বসি৷        অবুঝের চোখে কত রং এই বসন্ত দিয়েছে৷ শুনিয়েছে একতার গান, হে প্রেম, মহান৷ এতটা মহান যে— চরণের চিহ্নটুকু নেই তবু চারিদিক ঘিরে ছড়িয়ে রয়েছ মানবের প্রতিটি কোণায়৷ যে যার যাত্রার পথ ভালবেসে নিজে খুঁজে নেয়৷             যতই এগিয়ে যাই গ্রাম থেকে গ্রামান্তর সুরভির টানে, যে পথ হাঁটিনি আমি আগে কোনো মিথ্যা অভিমানে৷ হৃদয়ের পথ চেনা যায় জড়তার নাগ পাশ সরিয়ে বেরোলে... এ জীবন জ্যান্ত হয় ফি-বছর বসন্তের কোলে৷ © প্রভাত ঘোষ

নিমেষ

যাচ্ছে নিমেষ সময় ভেঙে দেখছে না কি একটু থেমে— বুকের নরম ছটফটালো ভীষণ পরিত্যাগে মেঘের যদি হৃদয় ভাঙে কণ্ঠ দিয়ে কষ্ট নামে জানলা থেকে হাত ছুঁতে চায় ফেরার অসম্ভবে ভেতর ভেতর জড়িয়ে ধোরো বৃষ্টি নামার আগে মনের ভেতর টুকরো ডানা মরার আগে ঝাপটালো না! দোষ কী জলের যখন ঘরেই ঝড়ের আসা যাওয়া হঠাৎ চোখে প্রেম নামিয়ে অন্ধকারে ঠোঁট বাড়িয়ে রাতের হাওয়া ফের যদি আজ ছোঁয়ার কথা ভাবে আমায় ভেবে জড়িয়ে ধোরো বৃষ্টি নামার আগে © প্রভাত ঘোষ

প্রেম পিরামিড (২০)

হঠাৎ মৃত্যুর দিনে দুটো ফুল হাতে যারা আসেনি কখনো... ভয়ঙ্কর সুনামির পূর্বাভাস জানার পরেও যারা সাবধান করেনি সেদিন...  ছটফট করতে থাকা যন্ত্রণার দিনে যারা কথার মলমটুকু লাগাতে আসেনি... এ লেখা তাদের কাছে যাক৷ উড়ে গেল ঘর আর পুড়েছিল অন্ধের সংসার.. কে কতটা ভার তুলে নিতে এসেছিল সেই দিন? অথবা কিঞ্চিত দুটো পরিযায়ী মেঘ হয়ে সামান্য বৃষ্টির ছিঁটে দিয়েছিল নিদাঘ প্রান্তরে? যে ছিল সে আজও আছে পাশাপাশি হাত ধরে৷ তলিয়ে যেতাম, ঠিক সে সময় তুলে এনেছিল এক নারকীয় কূপ থেকে ফুলের বাগানে৷ প্রতিটি রাতের চোখে লেখা আছে তারই শুভনাম৷ ভালোবাসা বুকে নিয়ে তার'ই কথা লিখতে এলাম...                                                             — প্রভাত ঘোষ

অনুবাদ

   অলঙ্কার রিক্ত হলে বাঁশি ভেঙে ছড়ায় বিদ্যুৎ... আফশোষ নেই, শুধু নিত্যদিন ভাঙার যন্ত্রণা৷ জরুরি ছিল না, জরুরি ছিল না৷ অসমাপ্ত সন্ধ্যা পূর্ণ হয়ে যাবে আজ নয় কাল, কোনো কোনো হাত ভালোবাসলে মন ভুলে যায় বিরহী খেয়াল, শাপিত জামানা... জরুরি ছিল না, খুব জরুরি ছিল না৷        হৃদয়ের উপন্যাসে অনাহুত জটিলতা ভীড় করে আসে বলে অনুবাদ ছোট হওয়া ভালো৷ তিলে তিলে গড়ে ওঠা মেঘপূঞ্জ ভেঙে পড়লে নেমে আসে জল, এসব চলিত কথা কার'ই বা অজানা... তবু জরুরি ছিলনা, এত জরুরি ছিল না৷ ছুঁড়ে ফেললে রাগ আর ভাঙলে আবেগ, ভিতরি জুবান থেকে টেনে আনে নিরাশার খেদ৷ দূরের আগুন দেখে অন্ধকার ভেবে নেয় ভালবাসা, নয়তো প্রেমিক নদীর পাশাপাশি বসে দু-হাতে মিলন হলে একসাথে জীবনসঙ্গম করা যায়৷ আলিঙ্গন করলে কত পুড়তে হয় মধুবনে— সে রূপ চেনেনি বলে পেলো বিশ্বাসের নজরানা৷ জরুরি ছিল না, বোধহয় জরুরি ছিল না৷       ক্ষোভের'ও আয়না হয়, প্রতিদিন মেলে ধরলে ধীরে ধীরে জ্বলে যায় সবুজ দ্বীপের মহাদেশ, ঈশ্বরের প্রেমাংশ হনন করেও চেহারায় কিছু অনুতাপ— টুকরো'ও ছিল না৷ চাঁদের'ও বিচার হয়, নিভে যায় সময়ের ফের-এ৷ বিচার জরুরি, তবু এমন নির্মম কোপ! জরুরি ছিল না, খুব জরুর