অনুবাদ
অলঙ্কার রিক্ত হলে বাঁশি ভেঙে ছড়ায় বিদ্যুৎ... আফশোষ নেই, শুধু নিত্যদিন ভাঙার যন্ত্রণা৷ জরুরি ছিল না, জরুরি ছিল না৷ অসমাপ্ত সন্ধ্যা পূর্ণ হয়ে যাবে আজ নয় কাল, কোনো কোনো হাত ভালোবাসলে মন ভুলে যায় বিরহী খেয়াল, শাপিত জামানা... জরুরি ছিল না, খুব জরুরি ছিল না৷
হৃদয়ের উপন্যাসে অনাহুত জটিলতা ভীড় করে আসে বলে অনুবাদ ছোট হওয়া ভালো৷ তিলে তিলে গড়ে ওঠা মেঘপূঞ্জ ভেঙে পড়লে নেমে আসে জল, এসব চলিত কথা কার'ই বা অজানা... তবু জরুরি ছিলনা, এত জরুরি ছিল না৷
ছুঁড়ে ফেললে রাগ আর ভাঙলে আবেগ, ভিতরি জুবান থেকে টেনে আনে নিরাশার খেদ৷ দূরের আগুন দেখে অন্ধকার ভেবে নেয় ভালবাসা, নয়তো প্রেমিক নদীর পাশাপাশি বসে দু-হাতে মিলন হলে একসাথে জীবনসঙ্গম করা যায়৷ আলিঙ্গন করলে কত পুড়তে হয় মধুবনে— সে রূপ চেনেনি বলে পেলো বিশ্বাসের নজরানা৷ জরুরি ছিল না, বোধহয় জরুরি ছিল না৷
ক্ষোভের'ও আয়না হয়, প্রতিদিন মেলে ধরলে ধীরে ধীরে জ্বলে যায় সবুজ দ্বীপের মহাদেশ, ঈশ্বরের প্রেমাংশ হনন করেও চেহারায় কিছু অনুতাপ— টুকরো'ও ছিল না৷ চাঁদের'ও বিচার হয়, নিভে যায় সময়ের ফের-এ৷ বিচার জরুরি, তবু এমন নির্মম কোপ! জরুরি ছিল না, খুব জরুরি ছিল না৷
© প্রভাত ঘোষ
Comments
Post a Comment
Your Valuable Response and Comment would Inspire to Write Better..