Posts

Showing posts from October, 2018

দেনা

ভেতর থেকে ডাক এসেছে, উঠতে হবে৷ স্তুতির কাছে মৃত্যু গুলোও মোমের মতন ভোরের মানে রাত ও দিনের এক আলাপন৷ ম্যাচিস জ্বেলে ঘন্টা কয়েক দেখতে হবে৷ ব্যাক্টেরিয়ার উস্কানো চাঁদ, খিদেও প্রচুর গিলতে গিলতে হাটছি সামনে পৌছে যাব৷ নিখুঁত পায়ে একটা দুটো পদক্ষেপও জুড়তে পারে অন্ধকারের আধ ভাঙা সুর৷ পেট্রোলে আগ আর কিছু না, কথার সমান হিমের পাহাড় জ্বলছে তবু গর্জাবেনা৷ নিজের কাছেই নিজের এমন মস্ত দেনা দিন-প্রতিদিন উগরে গেলেও শেষ হবেনা৷                  ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

স্ব-বিদ্বেষ

যেটুকু নিচের ছিল, আস্তে আস্তে উঠে যাচ্ছে চুল৷ গান্ধীর লাঠির দৈর্ঘ ছোট হতে হতে লুপ্তপ্রায়৷ তেইশে জানুয়ারিও হাত তুলে দিল্লি দেখাচ্ছে না৷ টবের পেছনে গর্তে রোয়া বুনো গোলাপের ফুল৷ হা পিত্যেস..         স্ব-বিদ্বেষ                  ভেতর ভেতর বীর্য চুঁয়ে চুঁয়ে...                 প্যান্ট ভেজালেও গর্জন হচ্ছে না৷ মরুভূমিতে সভ্যতা খুজতে খুজতে যেদিন নাক শুকিয়ে যাবে...                         দেশ পুড়লেও গন্ধ ছাড়বে না৷                       ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

মোড়ক

ঘুমিয়ে পড়েছি যেন মাথা রেখে বিষণ্ণ সাগরে৷ যেখানে বাঁচার মত ভেসে থাকা কুটোটুকু নেই৷ বিস্তির্ণ উপত্যকায় ব্যর্থতার পলি স্তরে স্তরে৷ সম্মুখে প্রবাহ, তার চরে চরে দর্শনার্থী, ভিড়৷ মৌনতার গর্ভে জমা দশকের ব্যথার প্রলেপ উঠে দেখে কিছু দূরে বিক্রিবাটা দেদার পনির৷ কে ওরা উল্লাস করে স্বপ্নে দেখে বিদেশি মোড়ক? রঙিন ছাতায় ঢেকে ছিদ্র দিয়ে ভিজে যায় জলে.. কোষাগারে স্ফিত রাজা-রাণীদের মিটে যায় শখ৷ লঘু কাজে রকমারি তৈরি করা খাবার ওভ্যেস মজ্জাহীন আবরণ, নিষিদ্ধ আকাশ জঙ্ঘাতলে৷ অন্ধকার কিছু নয়, জাপটে ধরা কুয়াশা বিশেষ৷ গন্ধ শুঁকে ফিরে আসি বর্ষীয়ান দু-কাঠার ঘরে গোলাপ না হোক তবু কলমের মুকুলও তো ধরে৷                         ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

অতিক্রম

অতিক্রম করে আসি শিশিরের বিন্দুগুলি ঘুম ভাঙা পাখির ডানায়৷ আয়না দেখে মুখোশ গলিয়ে রওনা যেখানে ধোঁয়ার পাশে প্রেম চকচকে ভাতের নাম ভালবাসা৷ তাও... ধাতব পথের ক্রীজে দৌড়োতে দৌড়োতে  রঙ ঠোঁটে হেসে চলে দিন৷                 ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

পুরুষ

ঢেলে দিতে হয় জ্বলন্ত যা কিছু? এমনই ধাতব পাত.. টুঁ-শব্দটুকুও নেই৷ যতই মাড়িয়ে যাও গন্ধমাদনের বুক বিশল্যকরণি ঠিক ওখানে গোপন৷ যতটা পাথর ঠিক ততটা নরমও৷ যে আদি, যে অন্তে... হে দেব করুণা নয়, নীলকন্ঠী স্বরূপ ধারণ ক্ষমতা অক্ষুণ্ণ রেখো৷ প্রয়োজনে খুঁটিরাও জরিপ করেছে তার হাতও৷ (তাও) তুমি যদি মৃত্যু হও, অন্ধকারে ঘড়ি দেখে যাব৷                        ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

প্রসাদ

দুপাশে মনের বাগান ছাড়িয়ে  মধ্যে গতে বাঁধা ট্র্যাকে                           সবেগে এগিয়ে যাচ্ছি৷ দূর থেকে দেখে নেওয়া সারস পাখিটি আনন্দে কুড়োচ্ছে প্রেম৷ জানলা খোলা, ধাক্কা দিচ্ছে হাওয়া৷  পেছন ঘুরেই যেই ফেলে আসা বাগানটিকে দেখি.. যন্ত্রের গতিতে যত তেজ..  তারও চেয়ে শান্তির প্রসাদ ওই সারসের ছিল৷                     ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

দৃষ্টি

প্রতিবার রাহু গ্রাস করে৷ নিভতে নিভতে জ্বলে ওঠা সময় সাপেক্ষ৷ অন্তক্ষরা গ্রন্থি চিনতে বিলম্ব না হয় যেন৷ ওগরানো জলের রং সবাই চিনুক৷ স্রোতের মতই দিন ফেরেনা কখনো৷ বৈভবের কবর আসলে মৃত খনি ঠিক ঠাক খোঁড়াই হয়নি৷                ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

বিবর্ণ

নিংড়ানো ঝিলের ধারে,               জলহীন নিঃস্বার দুয়ারে                           পরিযায়ী পাখিরা আসেনা৷ অভাগা হাঁড়ির মতো সেখানে খাবার পর খড় কুটো কিছুই কী বাঁচে?  গড়াতে গড়াতে জৈষ্ঠে চাকায় ক্ষয়ের দাগ, কঙ্কালের কাঠামোটি ধুঁকতে থাকে পিচের ওপর৷ সে রাস্তায় উত্তম সুচিত্রা গায়নি                                      "এই পথ যদি..."  ভয়... ভয়...                   শেষ হয়ে গেলে! ধীবর প্রজাতি জানে               গঙ্গার কোথায় মাছ,                             কচ্ছপের ঝাঁক৷                                   এ ঝিলের সৌন্দর্য কোথায়? অথচ কখনো কেউ প্রেম চোখে বারিষের অপেক্ষা করেনি৷  ঈশ্বরও কৃপন বড়, দু-ফোঁটা বৃষ্টির ছোঁয়া নেই৷ মেরামত হয়নি বহুদিন৷ ভাঙা চোরা দালানের গায়ে পাথর বসাবে সেই কারিগর কই? এভাবেই প্রতিদিন ঝুরো ঝুরো ইট-গুড়ো, পলেস্তারা খসে৷  বিবর্ণ দেওয়ালে পূজো যেন কোন বাউলের গান৷                         ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

খেয়ালী কীট

তুচ্ছ কেন্নো ভেবে গুটিয়ে নিয়েছি বন্ধ চোখে স্বপ্ন ঘুমেরই ভেতরে সাপের ফনার ফোঁস, অস্তিত্ব ঘেঁটেছে৷ চাঁদ ছুঁতে পাখি হয়ে ওড়াই যথেষ্ট নয়৷ জন্ম বন্ধ্যা যেন ফসল-ও ফলেনা ছিদ্র আছে, পাত্র ভরেনি কখনো৷ দু-চারটে দুর্বার মতো জন্ম নিচ্ছে কিছু! বিজ্ঞান, উড়ানে প্রিয় অপার বিস্ময়৷ যেদিন জন্মাব ঘুরে, চয়েস পাঠিও.. ভিনগ্রহে প্রাণভরে শিশির কুড়াব৷               ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

সম্পর্ক

আবেগের জলগুলি, বিভিন্ন গ্রন্থির দান৷ বিষধর সাপের কামড়? তারও প্রেম পাহাড় সমান৷ জিভে জিভে স্বাদের বদল৷                           নোনা জলে আর একটু নুন... ঢিল ছুঁড়ে উচ্চতা মাপার আগেই                                         পাহাড় শেষ হয়ে যায়৷ প্রকৃতি বিরূপ হলে ঝড়ের আভাস৷                               ইচ্ছামৃত্যু না কী জিজীবিষা! গিঁটের বাঁধন ভুল-এ                      সূতোয় আমৃত্যু ত্রাস৷ পরিবর্তন ধ্রুবক হলে...                 বিপ্লব যে পথে আসে, সম্পর্ক হাসে না৷                        ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

প্রতিফলন

সাপ ঠিকই খুজে নেয় কোথায় পদ্মের চাষ৷ পায়ে হাঁটে লাল মাটি, কম তার পড়েনা আকাশ৷ গন্ধ.. গন্ধ..              নাক বিশেষে জ্বালায়                                        অথবা জুড়ায়৷ মেঘের বুনন আলগা হলে                                    বজ্রপাত, বৃষ্টিপাত, ভয়৷ অগ্রাহ্য কাদার ছিটে ধুয়ে ফেলে বিচার, সময়৷ প্রজাপতি..            প্রজাপতি..                      কখনো সময় পেলে                                             ব্রহ্মা রূপে এসো৷ শিউলি শিউলি ভোরের আবীরে                                চেনা চেনা শিশিরের ঘ্রাণ৷ এমনই প্রতিফলন.. চন্দ্রালোকে হীরের সমান৷ শরৎ শরৎ মেঘ..                 তুমি মধ্যভাগে                                     বকুল সাজিও৷ সুপুরি গাছের কাছে ঝুরো ঝুরো অন্ধকার চেনা৷ যেভাবে গ্রহণ নামে, চাষিদের আবেগ নেভেনা৷                         ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

গুচ্ছ কথা (১)

১) বীরেন্দ্র ভদ্রের ডাক, মহালয়া, ছেড়ে আসা ধূলোর গন্ধটা  শুকানো প্রদীপ৷ জমিদার বাড়ি, গ্রাম.. ছেলেবেলা..  অভিমানী সবুজ সময়৷ আজ এক বুক জলে নেমে যাদের তর্পন করি, তাঁরাও উৎসর্গ নেয়না৷ ২) সে কেন আমায় সংখ্যাতত্ত্ব শেখাল না!! ঝুরি নামে, কিছু সংখ্যা বিনিময়৷  মাটি ছোঁয়া ঝুরির বিনয়৷ পাথুরে জমিতে উচ্চতাও ছোট হয়ে যায়৷ অর্জন, অর্পন বড়ই সহজ ভোরের আবীরে তাই সংখ্যাতত্ত্ব মেশেনি কখনো৷                       ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

এষণ

সমতল থেকে ডাক, চুম্বক... চুম্বক... আকর্ষন করো, বিপরীত মেরূ দূরের নক্ষত্র৷ ভাঙতে হবে হে স্থবীর.. জমাট কুহক৷ ফ্লাইং কিসের বার্তা ঠোঁটেই সমাপ্ত৷ ধর্ম, বর্ণ, গন্ধ জানতে ল্যাবে...                    বিক্রিয়ার ছ্যাকাও তো ছোঁয়া৷ পদার্থ শরীর মাত্র, রসায়ন গোপন সাম্রাজ্য৷ দ্রাব্যের দরবারে হে সাম্রাজ্ঞী                 দাঁড়িয়েছে গোধূলীর সম্রাট কীলক৷                    ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

সোনার বুদবুদ

কোরালের প্রতিচ্ছবি উঠেছে আকাশে৷ দুই নীল, মাঝে এক স্থবির ত্রিকোণ৷ বিস্তর ফারাক আছে মার্বেল ও টাইলসে৷ প্রথম সিঁড়িতে রাখা ধান, দূর্বা, সিঁদুরের টিপ৷ ওপারের ক্ষেত্রফলে জরিপ এমন... ছুঁয়ে দেখে ফিরে যাবে, সে পথ-ও নিশ্চিত৷ এ জন্মের বিল্বপত্রে পূজো দেব সুদ৷ আসল ভেতরে থাক, ভালবাসা ঋণ... স্বপ্নে শোঁকা গন্ধ, না কী.. সোনার বুদবুদ!! তালুর ভেতর লেখা কী নাম, অজানা৷ ওপরের পৃষ্ঠরেখা আদপে মলিন৷ বালিশে লুকানো ডাক মাটিও শোনেনা৷ অলিন্দ উলঙ্গ রাখা সামুদ্রিক ঘরে৷ যে জলে মেশান আছে শুক্তির সুবাস৷ হরপ্পা সবুজ হবে প্রজাপতি বরে? জেগে থাকে মৃতের নিঃশ্বাস,                              গহীনে সে আলো দেখে যাবে৷ অন্তরে সে এক সত্তা, জ্যোৎস্নার ভেতরে ঘুমাবে৷                     ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡