Posts

Showing posts from June, 2019

অধঃস্তন

কাঁচের ভেতরে এক ক্রমশই অধঃস্তন শিকারীর ছায়া খুঁড়ে চলে প্রাচীন বিষাদ৷ আলো ও আঁধার যেন আমি ও আমারই মাঝে বিবাদের উল্টো কোনো পিঠ৷ মৃত্যুর পূর্বেই বুঝি মৃত্যুকুণ্ডে প্রবেশ করেছি! হায় আলো! হায় ধন! উন্মুক্ত আকাশ ছেড়ে বোতলের গর্ভে নিলে স্থান৷ যে আলো জ্বেলেছ অন্ধকার থেকে মুক্তির আশায়.. তারই তলে মৃত্যুগর্ভ প্রায় ত্যাগের রাস্তায় লোভ পথিক হলেই..                                     বিশ্ব শান্তিগন্ধে পৃক্ত হবে৷

পুরুষ

পুরুষ ঝড়ের সন্ধ্যার শেষে দাঁড়িয়ে রয়েছে, মাঝে মাঝে মাথা নেড়ে অস্তিত্বের হাওয়া দিয়ে যায়৷ আড়ম্বরহীন এক জীবনের ধারা, তোমাকেই স্বস্তি দেবে বলে৷ প্রচণ্ড দহনের দিনে খুঁজে দেখো, যথাস্থানে দাঁড়িয়ে রয়েছে কাঠিন্যের তালগাছ রূপে৷  অভিমানী বোঝেনা সে ক্ষয়৷ কে ছায়া বিলোবে তাকে যার পথে হাঁটে না সময়?  দোষ দিয়ে যাও হে পথিক... যুগে যুগে দাবি করো যাকে, সে মাথায় বারিষ থামায়৷ হয়তো হারাবে তবু হারেনা কখনো সে পুরুষ, তার প্রত্যয়৷

বারিষনামা #১০

বিরহী দিনে আজ তর্ক থাক কে ছিল কার ভুলে অন্ধকার গরিমাহীন সাক্ষি ব্যালকনি খুচরো পাপ জমানো মেঘ বড় দূর্ণীবার উষ্ণ ঋণ৷ ঠোঁটের আলপনা শরীরময় সমূহ কল্পনা স্বার্থহীন নিদ্রা শেষ নরম কার্ণিশে ঝড়ের ভয় বাঁচার ভঙ্গিমা অর্বাচীন মৃত্যুদেশ৷ বিরহ ফিরে আসে আকাঙ্খায় হারানো পথে যার পায়ের ছাপ ইতিহাসের বন্ধনীর ধোঁয়া অন্তরায় দ্যোতনা পত্রের ভালই থাক ছত্রাকের৷ বিস্মৃতির মতো শান্তি কই? নতুন পুড়ে যায় তার্কিকের গ্রন্থকার বারিষ গ্রাস করে সমূহ বই জলের ভার বড় নিগ্রহের শূন্যতার৷

শিরদাঁড়া

নমনীয়, উদার বিচারে                        স্হায়ীত্বে দাঁড়াও শিরদাঁড়া প্রেক্ষাপট খুলে দেখ নিরীহের মৃত্যুর ইঁদারা৷ ভার চোখে ছাদ খোঁজে মেঘ                                      কার কাঁধে বারিষ ঝরায়? প্রতিটি বিভেদ থেকে শুরু হয় সাম্রাজ্যের ক্ষয়৷ ধূলার আদর্শ যার, তার শেষ লিখেছে সময়৷ আহত চোখের কাছে অশ্রুটির আমারও তো দায়৷ বিষের পিতাও বিষ, শিক্ষা থেকে মুছে দাও ভয়৷ সহ্যের সোপান ভাঙো, প্রলয়ের এসেছে সময়৷ সংগ্রামের সম্মুখীন হলে অহংকার ঔদ্ধত্য হারায়৷

ঠিকানা

সে পথের পিছুটান অদৃষ্টের কোলে ফেলে এসে ঘাস হীন নর্দমার জলে ডুবে ডুবে নীরব তৃষ্ণায় নিজেরই চোখের জল পান করে; তবু তার ফিরে যাওয়া মানা৷ জীবনের প্রয়োজনে বয়ে যায় নদী সে'ও তার ঠিকানা জানে না৷ যে দেশ আমার ছিল,এখন অতীতে ভাঙা দূরবীনে দেখি মেঘলা আকাশ ভুলের পৃষ্ঠায়৷ ক্যানভাসকে জীবনের আঁকা উল্টো পিঠ মনে হয়৷ পঙ্গুর বিবশ খিদে ঘষে—ঘষে—ঘষে... কোনক্রমে টেনে যাওয়া ব্রহ্মাণ্ডের ভার মৃত্যুর চেয়েও বড় দরিদ্র, বিনয়ী পাখিরা পুড়েছে দূর-ভিক্ষের সময়৷ চিৎকারের কণ্ঠ জাগা মানা৷ হাওয়ার মতই তার স্বাদ নিতে আসি আকুতির পিপাসা মেটে না৷ যে দেশ আমার নয়, ছিল বা কখনো কুড়ে ঘর, মাটির দাওয়ায় অথবা বটের তলে সুশ্রুষার মাদুর বিছিয়ে ফড়িঙের গান শোনা যায়৷ মাঝে মাঝে ভুলে থাকা বিরহের মেয়াদী দাওয়াই৷ বহুদিন জ্বলেনি প্রদীপ পুকুর পাড়ের ধারে অশ্বত্থের তলে৷ সান্ধ্য স্নানে ভেজা আঁচলের খুট ধরে কোনো মেয়ে বাড়িতে ফেরেনা৷ কামনার কড়িকাঠে শরীর মিটিয়ে চলে দেনা৷ দূর কোন নৈরাজ্যের রাতে শ্মশানের পটভূমি, রাষ্ট্রের আঘাতে সিঁথির বিয়োগে পুড়ে যাচ্ছে মন্দাকিনী৷ আমার বইয়ের জ্ঞান সে আগুন নেভাতে পারেনি৷ শৈশব ও বিরহের মাঝে      

বারিষবৃত্তে

অতিথি বারিষে নাম লেখা নেই যার নেভেনি জ্বলার আগে, বিশারদ সে'ই৷ রাতের চৌকাঠ থেকে বনলতা ডাক বিষণ্ণ ডানায় ফেরে জীবনানন্দতে৷ মেঘের সহস্র চোখ প্রতিক্রিয়াময় উড়ালপুলের তরী সন্ধ্যের ব্রুনেই৷ জানলা আঁকড়ে অভিসারের সময় বিরহ যে ফিরে যাবে, বাল্যকাল নেই৷ আলোটি জ্বলার চেয়ে নিভে থাক, বেশ৷ প্রগলভ অন্ধকার, প্রহসন নেই৷ আহত বুকের জলে ধোঁয়ার প্রবেশ... শোক তার প্রতিভাষ লিখে রাখবেই৷ জেগে থাকা ভাল হত, নিহতের আগে ঘুম সেই বিষ যার জীবন বৃত্তেই বারিষনামার খাতা ভাসিয়ে প্রয়াগে বৃষ্টি এলে ভেজেনা এমন কেউ নেই৷

মৃত্যুর বাগানে

কুয়াশার যুবতী আবেগে ক্ষরণ সঞ্চয়ী ঢেউ           প্রসাধনী জোয়ার-দোলায়.. বিশ্বাস খণ্ডন হলে চা'ও মুখ ঢাকে পেয়ালায়৷ বিকারে ধরেছে যাকে, উড়ন্ত মৌচাক তুলসী পাতার বুকে ক্ষয়৷ আমৃত্যু বধির, সে তো জন্মদায়ি নয়৷ মৃত্যু যার লিপ্সা, অভিলাষী বিভ্রমের গতিপথে ওড়ে.. যেভাবে যুবতী পাখি ঝাঁপ দিতে অন্ধকার খোঁজে৷ জাঙ্গাল ভাঙার আগে ভাবো ম্রিয়মাণ প্রতিকার বিস্মৃতি প্রদোষে যদি মড়া জাগে সমগ্র বাংলার৷