ঠিকানা

সে পথের পিছুটান অদৃষ্টের কোলে
ফেলে এসে ঘাস হীন নর্দমার জলে
ডুবে ডুবে নীরব তৃষ্ণায়
নিজেরই চোখের জল পান করে;
তবু তার ফিরে যাওয়া মানা৷

জীবনের প্রয়োজনে বয়ে যায় নদী
সে'ও তার ঠিকানা জানে না৷

যে দেশ আমার ছিল,এখন অতীতে
ভাঙা দূরবীনে দেখি মেঘলা আকাশ
ভুলের পৃষ্ঠায়৷
ক্যানভাসকে জীবনের আঁকা উল্টো পিঠ মনে হয়৷

পঙ্গুর বিবশ খিদে ঘষে—ঘষে—ঘষে...
কোনক্রমে টেনে যাওয়া ব্রহ্মাণ্ডের ভার
মৃত্যুর চেয়েও বড় দরিদ্র, বিনয়ী
পাখিরা পুড়েছে দূর-ভিক্ষের সময়৷
চিৎকারের কণ্ঠ জাগা মানা৷

হাওয়ার মতই তার স্বাদ নিতে আসি
আকুতির পিপাসা মেটে না৷

যে দেশ আমার নয়, ছিল বা কখনো
কুড়ে ঘর, মাটির দাওয়ায়
অথবা বটের তলে সুশ্রুষার মাদুর বিছিয়ে
ফড়িঙের গান শোনা যায়৷

মাঝে মাঝে ভুলে থাকা বিরহের মেয়াদী দাওয়াই৷

বহুদিন জ্বলেনি প্রদীপ
পুকুর পাড়ের ধারে অশ্বত্থের তলে৷
সান্ধ্য স্নানে ভেজা আঁচলের খুট ধরে
কোনো মেয়ে বাড়িতে ফেরেনা৷

কামনার কড়িকাঠে শরীর মিটিয়ে চলে দেনা৷

দূর কোন নৈরাজ্যের রাতে
শ্মশানের পটভূমি, রাষ্ট্রের আঘাতে
সিঁথির বিয়োগে পুড়ে যাচ্ছে মন্দাকিনী৷
আমার বইয়ের জ্ঞান সে আগুন নেভাতে পারেনি৷

শৈশব ও বিরহের মাঝে
                            সময়ের ব্যবধান পাতা
কোনো দেশ ইরাক হবে না
শৈশবের সাথে যদি মুখোমুখি বসেন বিধাতা৷

Comments

Popular posts from this blog

প্রথম কবিতা তোমার জন্য

জ্যোৎস্না প্রেমের রাত

তোমার সেই গোলাপী ঠোঁট