Posts

Showing posts from February, 2017

বাংলার গরম

Image
বসন্ত শেষে বাতাসেতে ভেসে গ্রীষ্ম আসিল ধেয়ে, আজ সম্বল শুধু নোনাজল ঝরিছে শরীর বেয়ে৷ গেরামের মাঠে পুকুরের ঘাটে তপ্ত শুষ্ক বৈশাখে, তৃষিত চাতক বা নবজাতক আকাশ পানে চেয়ে থাকে৷ রাস্তাটি ফাঁকা ফাটিয়াছে চাকা গাড়িগুলি ঠাঁয় দাঁড়ায়ে, কেহ খালি গায়ে দোকানে দাঁড়ায়ে জল মাগে হাথ বাড়ায়ে৷ রুদ্ধশ্বাসে কেহ ওঠে বাসে কেহ বা উঠিছে ট্রামে, গায়েতে গন্ধ হিপ্ হপ্ ছন্দ বিরক্তি লাগে জ্যামে৷ বসে জামা খুলে কেহ লুঙি তুলে নাহিকো মোদের শরম, হাতে পাখা ধরি উপভোগ করি এই বাংলার গরম৷                           — প্রভাত...

রক্তাক্ত বসন্ত

Image
কেহ কাঁটাতার কেহ নদী পার করে, প্রবেশ করিয়াছে তারা মোর ঘরে৷ সারা বাড়িময় ওঠে কোলাহল রব, ঘরে আসি ভাঙচুর করিয়াছে সব৷ বিদ্রোহের আসিল সময় তোমরা জাগিবে কবে ? মাতিয়াছ আজ বাঙালী তুমি বসন্ত উৎসবে৷ শিবের মাথায় দুধ জল ঢালি, বর মাগিতেছে কত শত নারী৷ সেদিন তাহারা বাংলা মাটিতে, আসিল যে মোর ভাইকে কাটিতে৷ কাঁদিল মাতা ঠুকিল মাথা সন্তানের শবে, মাতিয়াছ আজ বাঙালী তুমি বসন্ত উৎসবে৷ এইত সেদিন প্রথম ফাগুনে, বাংলার ঘর জ্বলিল আগুনে৷ দোল উৎসবে গাহি রবীন্দ্রগীতি, কেহ বাংলায় গড়ে সন্ত্রাস নীতি৷ কাদিছে রে মোর বাংলা আজিকে হাহাকার রবে, মাতিয়াছ আজ বাঙালী তুমি বসন্ত উৎসবে৷ জাগো হে বাংলা, জাগো হে বাঙালী, ভিটেমাটি ছাড়ি যারা ভয়েতে পালালি৷ নিজ রক্ষার্থে আজ তোলরে অস্ত্র, বাঁচাইবি যদি তোর মায়ের বস্ত্র৷ আমার বাংলা যেদিন আবার ত্রাসমুক্ত হবে, আনন্দেতে মাতিব সবে বসন্ত উৎসবে৷                                               ✍ প্রভাত...🌠

পরিনত

Image
মানুষ কেমনে হঠাৎ যে হয় বড়, সময়ের সাথে হয়ে যায় পরিনত৷ কিছু উচ্ছল প্রাণ বেদনায় হয় জড়, সময় আঁকে হৃদয়ে গভীর ক্ষত৷ পাড়ার দোকানে বিকেলে চায়ের চুমুক, বহুদিন পর আড্ডায় অনিমেষ৷ জৌলুষ মুখে কিছু প্রাপ্তির সুখ, Branded Shirt এ তাকে লাগছিল বেশ৷ বেড়েছে বেদনা, কেটেছে সময় বয়স চলেছে বেড়ে, বিবাহের কথা বিষাক্ত লাগে সে স্বপ্ন এসেছে ছেড়ে৷ সেই প্রেমিকার কথা আজও পড়ে মনে, বহু আগে সে ছেড়ে চলে গেছে দূরে৷ ঘর বেঁধেছিল ভবিষ্যতটা জেনে, বর পেয়েছিল সরকারি চাকুরে৷ বেকার ছিল সেদিন অনিমেষ, আজ সে বড় Government employee. বেদনায় মন পুড়ে হয়ে গেছে শেষ, আজ সে তবুও জীবন খেলায় জয়ী৷ আজ যদি আমি প্রশ্ন করি তাকে, বিবাহের নামে কেন তার অনীহা৷ বলে শোন তবে বলি আজ তোমাকে, চাইনা কেন এ হেন পরকীয়া৷ পারিবনা হতে স্বার্থপর নই আজও হীনমন্য, চাইনা কেহ ছাড়ুক কাউকে আমায় পাবার জন্য৷ অন্যের লাগি ছেড়েছে কেহ আমায়, বেকারত্ত্বেই সম্পর্কের শেষ৷ ভালবাসা যদি হয় Branded জামায়, আমি চাইনা গড়তে আরো এক অনিমেষ৷                                 — প্রভাত...

নারী

Image
নারী শুধুই শব্দ নহে নারীত্ত্ব এক সত্ত্বা, হে নারী তুমি পুরুষ জীবনে বিশিষ্ট বাগদত্তা৷ নারী রূপে শক্তিদায়িনী তুমিই বিদ্যাদাত্রি, তবুও কেন শত লাঙ্ছনা সহিতেছ দিবারাত্রি ? মাত্রি রূপে করিছ লালন মমতা দিয়াছ বিলায়ে, তবুও তোমার আব্রু সমাজে ধূলায় গিয়াছে মিলায়ে৷ তব হাত ধরি হাঁটিতে শিখিল সকল বিশ্ববাসী, সেই আদি মাতা Mother Merry র স্তব্ধ মুখের হাঁসি৷ Syria তে তুমি যৌনদাসী Libya তে তুমি পন্য, একাত্তরে ধর্ষিত হলে Bangladesh এর জন্য৷ জঠরে নারীর সমাজের বীজ সে নারী সর্বেসর্বা, কলির অসুরে নিধন কর অস্ত্র হাতে হে দূর্গা৷                            — প্রভাত...

ভালবাসা

Image
রানিগঙ্জের গীর্জাপাড়ার ছেলে পড়াশুনাতেও ভালোই ছিল বেশ, সুপ্ত প্রতিভা ছিল তার Football এ, নাম ছিল তার Rocking অনিমেষ৷ School শেষ করে College এ ওঠার পালা, Class এর প্রথম, প্রিয় তার Chemistry, Mark sheet হাতে জড়িয়ে ধরে মায়ের গলা, মায়ের চোখে আজ আনন্দাশ্রু বৃষ্টি৷ এবার যে তার স্বপ্ন পূরন হবে, যাচ্ছে ছেলে পড়তে বড় শহরে, হয়তো মনে হাজার কষ্ট হবে, রান্নায় তবু ব্যাস্ত সে আজ দুপুরে৷ Last Bench এ বসেছে অনিমেষ, আজই তার College এ প্রথম দিন, সঙ্কোচ মেশানো ভয়ও লাগছে বেশ, বাকিরা মগ্ন, সে একাই উদাসীন৷ মায়ের কথা পড়ছে অনেক মনে, তাই Phone করল মায়ের Mobile এ, জল আসল হঠাৎ চোখের কোণে, ভালো হত ফের শৈশব ফিরে পেলে৷ একদা College এ সুন্দরী এক মেয়ে, দেখে জাগে কিছু ভালবাসা কিছু ভয়, দিবাস্বপ্ন দেখে তার পানে চেয়ে, সহসা একদা হয়ে গেল পরিচয়৷ নিজেথেকে আর Phone করেনা মাকে, মেয়েটির সাথে দিন কাটছিল বেশ, Phone এ কথা, প্রেমও চলছে Park এ, College এ Famous Romeo অনিমেষ৷ বহুদিন পর আজ মাকে পড়ছে মনে, তার সাথে কথা হয়নি বহুদিন৷ নোনাজল আজ বইছে চোখের কোণে, আজ হৃদয় চূর্ণ, শব্দেরা দিশাহীন৷ পড়ছে মনে পাড়ার মাঠে

সাধের গরম চা

Image
তোমায় আমি ভালবাসি গির্জাপাড়ার ঠেক এ, ইচ্ছে করে চুমু খেতে গুরুদংমার Lake এ ৷ সকাল বেলা তোমার চুমু লাগে বড়ই মিষ্টি, এই ধরাতে ভগবানের অপূর্ব এক সৃষ্টি৷ সকাল সাঁঝে পড়ার মাঝে তোমায় চুমু খাই, ভোরের বেলা ঘুম ভাঙতেই তোমায় কাছে চাই৷ সকল স্থানেই সহজলভ্য পেলিং কিংবা লাচেন, চুমু খেয়ে তোমায় দাদু আনন্দেতে নাচেন৷ সন্ধে বেলার আড্ডাতে চাই বসে তোমায় ছাদে, Packet মোড়া Chocolate ও আজ বিকোয় তোমার স্বাদে৷ ইংরেজরা এনেছিল তোমায় আপন করে, ওরা গেলেও রইলে তুমি সবার ঘরে ঘরে৷ অর্থনীতি বাড়াও তুমি দেশের অধিকাংশ, তোমার ভালোবাসায় বাঁচে শত পাহাড়ি বংশ৷ তোমার সাথে বিস্কুট হাতে ডাকছে আমায় মা, তুমি আমার প্রাণের প্রিয় সাধের গরম চা৷                         — প্রভাত....

Hug Day

Image
Hug Day তে Park এ যারা করছে আলিঙ্গন, নির্জনে আজ একলা কাঁদে তাদের আবাসন৷ পরম স্নেহে তোর মা যেদিন ছিলেন বুকে জড়িয়ে, সেই মা আজ ক্ষুধায় কাঁদে তোর চোখ যায় এড়িয়ে৷ পড়ছে মনে হাতটি ধরে শেখান প্রথম হাঁটা, সেই পিতাকে কষ্টে রাখিস এমনি বুকের পাটা ? রাখিস মনে খায় যে পাখি পিপীলিকা গুলি ঠুকরে, মৃত্যুর পর সেই দেহ খায় পিপীলিকা কুঁরে কুঁরে৷ চলছে সময় নিজের তালে দিবারাত্র ধেয়ে, একদিন তোর ভাঙবে হৃদয় Hug করা সেই মেয়ে৷ বুঝবি সেদিন কোনটা সত্তি আলিঙ্গনের দিন, একলা থাকবে মুহুর্তরা আর সবাই উদাসীন৷                     — প্রভাত...

Promise

Image
করছি Promise থাকব সাথে যেমন ছিলাম আগে, করছি Promise থাকবো পাশে বোশেখ বা পৌষ মাঘে৷ করছি Promise খাব একসাথে ফুচকা ঝালমুড়ি, বিয়ের রাতে পরাব তোমায় কাঁচের লাল চুড়ি৷ করছি Promise ঝগড়া করব রাখবোনা রাগ মনে, পরক্ষনেই করব আদর রান্না ঘরের কোণে৷ করছি Promise খাব দুইজনে মটনের সাথে ডাল, রক্ষক হব পাড়ার ছেলেরা বলবে যেদিন মাল৷ করছি Promise থাকব হয়ে তোমার শীতের চাদর, করছি Promise লেপের তলে জড়িয়ে করব আদর৷ Promise লেখায় এইটুকু থাক বাকিটা থাকুক মনে, সবটা লেখায় যায়না বলা বোঝে সে আপনজনে৷                      — প্রভাত...

অতৃপ্ত

Image
ব্যর্থ হৃদয় ভালোবাসায় অতৃপ্ত এ মন, সকল প্রেমের অনুভুতি কেহ করিয়াছে হরন৷ জীবন আজিকে সঙ্গিনী খোঁজে পথ ধারে বসে একা, বর্ষন রাতে চাঁদের আলোয় হয়ত পাইব দেখা৷ পথ ধারে বসে আঁধার ঘনায় মেঘ করে আসে ভার, কবে গো প্রেমিকা আসিবে জীবনে ঘোঁচাবে অন্ধকার৷ মেঘ গর্জন করে বর্ষন সবেগে নামিছে বারি, তাহার চেয়েও সবেগে ঝরিছে আমার অশ্রুবারি৷ হঠাৎ দূরে দেখা যায় এক অবয়ব ছায়ামূর্তি, ধীর পায়ে কাছে আসিছে দেখিয়া হৃদয়ে জাগিল স্ফুর্তি৷ ক্ষণিক পরেই হৃদয় কাঁপে গা করে ছমছম, আঁধার রাতে একলা দেখিয়া আসিয়াছে নাকি যম ? সহসা আমি উঠিয়া দাঁড়াই পা কাঁপে থরথর, হঠাৎ আবার কেমনে উঠিল উত্তাল বেগে ঝড়৷ হঠাৎ দেখি সেই অবয়ব ক্ষণিক অদূরে দাঁড়ায়ে, ডাকিতেছে সে মোর পানে চেয়ে হাত দুখানি বাড়ায়ে৷ কাছে গিয়া দেখি ভয়ানক একি নয় সে মানব ছায়া, শুধু অবয়ব কেহ কোথা নাই এ যেন ভূতের মায়া৷ কহিল সে ডেকে আমিই তব গত জন্মের প্রিয়া, শুকাইল মোর দেহের রক্ত ভয়ভীত মোর হিয়া৷ আসিয়াছে মোর আর্তি শুনিয়া লইতে ভবের পারে, যেথা শুধু সুখ নাই কোন দুখ ভালোবাসা নাহি মরে৷ মনে ভাবিলাম হে ভগবান এইবার কর মাফ, ভালবাসা আর মুখে আনিবনা বলিয়া দি

জ্বলছে Valentine

Image
Valentine's Day তে ঘরে একলা বসে রই, আজকে আমি একলা তবু  চরিত্রহীন নই৷ অজ্ঞাত আজ তব ইতিহাস 14th February, Roman প্রদেশে বিবাহ বাঁধনে বেঁধেছিলে নর নারী৷ বিবাহ ব্যবস্থা করিয়া প্রচার বন্দী কারাগারে, মৃত্যুদন্ড নির্দেশ হল পোপের বিচারে৷ মৃত্যুদিবস করিছে পালন বিশ্ববাসী আজ, শ্রদ্ধা বিনে প্রাধান্য পায় নারীর বুকের ভাঁজ৷ আজ Central Park এ চলবে কত বিচিত্র লীলা, নিলামে উঠবে ভালবাসা হবে যৌনতারই খেলা৷ হাজার হৃদয় প্রতারিত হবে লুটাবে হাজার দেহ, হাজার হৃদয় নীরবে কাঁদিবে রাখে তার খোঁজ কেহ ? আর কিছুদিন পরেই হবে নারীর ঋতু বন্ধ, তবুও কেন হায় গো নারী ভালোবাসায় অন্ধ৷ অবিবাহিত Father - Mom এ ভীড় জমাবে Nursing Home এ৷ ভূমিষ্ঠ যে হয়নি শিশু মারিবে তারে মানব পশু৷ পাশবিকতার হয়না বিচার গড়েনা কোন আইন, তাই ভালবাসার প্রতারনাতে জ্বলছে Valentine ৷                           — প্রভাত...

সখা মোর মর্টিন

Image
তিতিবিরক্ত কাটিতেছিল মশার জ্বালায় দিন, কেউ রাতে কাটে, কেউ দিনে কাটে, আমি হতাশ উদাসীন৷ মশার জ্বালায় বাথরুমে হায়, ভয়ভীত মন যেতে নাহি চায়৷ কভু খেতে বসে, কভু বালাপোষে হেথা হোথা কামড়ায়৷ একদিন আমি ফিরিছি বিবাগি মুক্তির সন্ধানে, কোথা হতে এল, লুকাইয়া ছিল বাগিচার এক কোণে৷ সদা এল ধেয়ে, চুপিসারে চেয়ে রক্ত চুষিয়া গেল, কি বিষম জ্বালা, কাঁদিবার পালা শেষে ম্যালেরিয়া হল৷ একদিন খাটে, ঔষধ হাতে দেখিতেছিলাম টি.ভি, একা ফ্ল্যাটে হায়, কেহ কোথা নাই আশাহীন লাগে সবই৷ হঠাৎ তাহাকে টি.ভি তে দেখিয়া, দোকান হইতে বাড়িতে আনিয়া, জ্বালায়ে দিয়েছি ঘরে৷ মশা সব ভাগে, কেহ ভিখ মাগে দাঁড়ায়ে আমার দ্বারে৷ রাজা হালে আজ, আমি করি কাজ মশাগুলি প্রানহীন, আজ সখা তোরে, রাখি ঘরে ঘরে নাম তার মর্টিন৷                            ✍ প্রভাত....🌠

যৌবনের সূর্যোদয়

Image
হৃদয় আমার আজ মৃতপ্রায়, নিথর হয়ে দুলছে খেয়ায়৷ পূর্ণ আজিকে বছর আঠাশ, ভালবাসা যেন আজ ইতিহাস৷ ভাসিয়া চলিছে হৃদয় তরী আমার  অশ্রুজলে৷ মুক্তি পাবে রিক্ত হৃদয়, হবেই আবার সূর্য উদয়৷ ডুববে যেদিন এ দেহ তোমার দেহের অথৈ জলে৷ তোমার দেহের মুক্তো ঝিনুক, প্রাণহীন দেহে জীবন আনুক৷ উঠেছে বন্য বৈশেখি ঝড়, নিথর দেহে কাটিছে আঁচড়৷ পুনরায় এ নিথর দেহ, উঠেছে ভাসিয়া জানেনা কেহ, পুষ্প খচিত তোমার তপ্ত যৌবনেরই ঝিলে, দেখেছিলেম মরন সেদিন তোমার বুকের তিলে৷                          — প্রভাত...