Posts

Showing posts from April, 2017

উন্নয়ন

Image
মাটি জুড়ে কঙ্ক্রীট তরূ, কাটা পড়ে জ্যান্ত মহীরুহ, রাজ্য জুড়ে কালো পিচ পুরু,  রাজনৈতিক ঘৃন্য চক্রব্যুহ৷ বাতাস জ্বলিছে উষ্নতার দহনে, উন্নয়ন কাড়িছে অক্সিজেন৷ মরিছে রাজ্যে মানুষ জনে জনে, পরিশ্রমে ক্লান্ত সিলিং ফ্যান৷ প্রশ্বাস বায়ু গরমে বিষের ন্যায় গলিছে বরফ, বাড়িছে উষ্নায়ন, শেকড় রোধে মৃত্তিকার ক্ষয়, বৃক্ষরোপন প্রকৃত উন্নয়ন৷ তবু চান যদি বিস্ত্রিত হোক রাস্তা বাড়ান কিছু উন্নয়নের বাজেট, বৃক্ষের প্রাণ কক্ষনো নয় সস্তা অগ্রাধিকার বৃক্ষরোপন প্রজেক্ট৷                    ✍ প্রভাত...

দূরত্ব

Image
একবিংশ শতাব্দীর দুয়ারে দাঁড়ায়ে ভালবাসা যেথা হয়েছে লুপ্তপ্রায়, প্রেম মাগিতেছে কেহ দুহাত বাড়ায়ে দিতেছে কেহ দূরত্বের দোহাই৷ কর প্রেম তুমিও হে ভ্রাতা বোঝ কি সত্য ভালবাসার মর্ম? প্রেমের সঙ্গী রহিছে বিধাতা, স্বামীজি কহেন ভালবাসাই ধর্ম৷ পুঁথি শিক্ষায় লাভ কি বল আর সেক্সপিয়র, রবীন্দ্রনাথ পড়ে? প্রেমিকের পথ বড়ই দূর্নিবার, বুঝিবে তুমিও কভু বেদনার ঝড়ে৷ একলা রহিবে, হইবে ছিন্ন অলিন্দ - নিলয়, বুঝিবে সখি তুমিও সেদিন ভালবাসা কারে কয়৷                         ✍ প্রভাত...

ঘাতক

Image
পৃথিবী জুড়ে লক্ষ কোটি ঘাতক, কেহ বন্ধু, কেহ রহিছে ভাতৃ রূপে৷ পশ্চাৎঘাত করে হয় পলাতক, কেহ বা আঘাত করিছে প্রবল বুকে৷ বরফ হতে প্রস্তুত যে ছুরি, আঘাত করিয়া রাখেনা কোন প্রমান৷ স্বার্থান্বেষীর মিথ্যা ভুরি ভুরি, এ হেন মিত্র গুপ্ত শত্রু সমান৷ ডলফিন থাকে মিত্র রূপে জলে, ওঁত পাতিয়া প্রতীক্ষারত কুমীর৷ চয়ন কর আপন বুদ্ধি বলে, নির্বোধ রহে মৃতের ন্যায় স্থবীর৷ রাজনীতি যেথা করিছে আপনজনে, মিছরির ছুরি হৃদয়ে রাখিয়া বচন৷ এ যন্ত্রনা বড় বেদনাদায়ক মনে, ভাবিয়া করিও "আপন" নির্বাচন৷                    ✍ প্রভাত....

পেলাম না

Image
সমুদ্দুরের বক্ষ চিরে, ঢেউয়ের মাঝে উচ্চ শিরে দেখি ভালবাসার জাহাজ যাচ্ছে চলে বহুদূরে৷ উঁচিয়া মাথা, প্রেমের গাথা হৃদমাঝারের গোপন কথা কন্ঠ ছাড়ি বলতে পেলাম না৷ হে প্রেয়সি মাঝি হয়েও ওই জাহাজে চড়তে পেলাম না৷ রহিছ তুমি অসীম সুখে, সজ্জিত হিমালয়ের বুকে, লক্ষ কোটি মানুষ আজও তোমায় ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখে৷ আছ দম্ভ লইয়া শান্ত হইয়া উচ্চ শিরে মৌন হইয়া৷ তোমার এ রূপ দেখিয়া ভাবি পূর্বে কেন জানতে পেলাম না, হে প্রেয়সি তোমার মনের কথা কেন শুনতে পেলাম না৷ উড়ছে সিগারেটের ধোঁয়া, প্রেমের মেঘ আজ যায়না ছোঁয়া, তোমার বুকের তিলের মাঝে আজও দেখি মরন কুঁয়া৷ ইচ্ছে করে হাতটি ধরে তোমার সাথে সাগর পারে ভোরের বেলা আপন মনে, ভালবাসি বলব গানে৷ সময় করে ভালবাসার সেই গান আর গাইতে পেলাম না৷ হে প্রেয়সি তোমায় ভালবেসে আদর করতে পেলাম না৷ শীত সন্ধ্যায় একলা ছাদে, ঠোঁটের পরশ কফির সাথে, ভালবাসার শব্দগুলি চাঁদের আলোর জোছনাতে৷ আদর তোমার ভাগ্যে আমার ছিলনা, তাই সব হারাবার কষ্টগুলো জ্বলছে বুকে, তবু কেন পুড়তে পেলাম না? হে প্রেয়সি তোমায় আমি কতখানি ভালবাসি, সে কথা তো বলতে পেলাম না৷                             ✍ প্রভাত...

অব্যক্ত সম্পর্ক

Image
কিছু কথা থাকুক নিরুত্তর৷ কে জানে কোথা ভাসাইবে জীবন, হয়ত উঠিবে সম্পর্কে ঝড়৷ ভালবাসা বাঁধা রবে খামারে, ধানখেতে পড়ে রবে খড়৷ চাষির ফসল রক্ত, বন্ধ লৌহ কপাটে৷ চাষি তবু ধান বোনে মাঠে, হৃদয় স্নান করে অশ্রুর ঘাটে৷ জমিদারে যায় লয়ে সাধের ফসল, ধান করে চিৎকার, খড়ে দাবানল৷ আশার তুলসী জড়ায়ে বুকে, বিধাতার পরে কত শত শির ঝুঁকে৷ খোদাও সেলামে চাষার কর্ম সম্মুখে৷ চাষাই প্রেমিক রূপে সদা জাগ্রত, পারে যদি হতে কভু তব মনোমত৷                         ✍প্রভাত...

অনুভূতি

Image
এ এক অভূতপূর্ব অনুভূতি,  গ্রীষ্মের দাবদাহ মাথায়, তবু অসীম প্রশান্তি৷ বাল্যকালের সেই স্কুলে বহুদিন পর, উঠিল হৃদয়ে ফের স্মৃতির ঝড়৷ আমার লেখনি তুলি স্যারের হাতে, একরাশ আশীষের হাত ছোট্ট মাথাতে৷ আমার বইয়ের পাতায় সকলের মুখ, অসীম উৎসাহ দেখি জাগে মনে সুখ৷ হে বিধাতা দিও আরো লেখনির বল, করিতে মোর গুরুজনের মুখ উজ্জ্বল৷                          ✍ প্রভাত...

এসো হে রবি

Image
সকালের শুভ্রতার প্রারম্ভেই তোমার গান, ঘুঁচায়ে যায় সকল কষ্ট, অভিমান৷ যান্ত্রিক যন্ত্রনা বয়ে, ফিরি হতে অফিস কাছারি, শূন্যতার হতাশা, অপূর্ণ যত আশা মিলায় তোমার সুরে, হে পথের দিশারী৷ ধর্মে ধর্মে দেখি যুদ্ধের হুঙ্কার নিত্য সংবাদে, লক্ষ পশু, মানব হত্যার আর্ত নিনাদে বাতাসে বাতাসে বহে নৃসংসতার বিষ৷ ভাসিছে চক্ষে রাজর্ষির রাজনীতি, মানব হৃদয়ে আসি জ্বালি দাও আলো, দাও আশীষ৷ বধূর দেহ জ্বলে আজও পণের ধোঁয়ায়, দেনাপাওনা আজও হয় আঁধার গুহায়৷ শিক্ষার দীপশিখা ধর্মিয় ঝড়ে মুহ্যমান, ধর্মিয় রাজনীতি ভাগ করে পাকিস্তান৷ তোমার গানের সুরে চেতনার ঝড় তুলে উদীত হোক ভাতৃত্বের রবি, কলহের অবসান৷                          ✍প্রভাত...

যন্ত্রনা

Image
যন্ত্রনা দেখেছি এক বোনের চোখে৷ নিরূপায় এক কন্যার যন্ত্রনা, পিতার অন্তিম দিনগুলি দেখার যন্ত্রনা একরাশ কান্না ভরা বুকে৷ সে পিতার ভবিষ্যত অজ্ঞাত৷ মৃত্যুশয্যায় দৃঢ় তবু তার ভাষা, আবার সুস্থ হয়ে বাঁচার অভিলাষা, ভগবানের হৃদয়ও আজ মৃত৷ ক্যানসারে ধুঁকছে শরীর, ফিমার দড়িতে পরিনত, রোগ নির্ণয়ে বিলম্ব করে ডাক্তার, ক্যানসার তাই সারা দেহে বিস্ত্রিত৷ আট লক্ষের ব্যাবসা করলে ডাক্তার!! অন্যের দেহ মৃত্যুমুখি করে, তুমিও হবে অভিশাপে ছারখার, হবে ফের দেখা মৃত্যুর ওপারে৷                — প্রভাত....

মৃত্যু দেবতা

Image
মানবতা ধুঁকছে মৃত্যুশয্যায়, জীবনদায়ী অমৃতে মিশেছে বিষ, ভগবান বাঁচে আর্থিক লালসায়, মরিছে সমাজে মানুষ অহর্নিশ৷ সম্মুখে যেথা মৃত্যুর বিভিষিকা, ক্যানসার বীজ প্রসারিছে সংযমে, আপনজনে দেখিতেছে মরিচিকা, ভগবান আসে আর্থিক প্রয়োজনে৷ চিকিৎসা আজ ব্যবসায় পরিনত, বিশল্যকরণী রক্ষিত গোপনে, দেখি লজ্জায় চোখ ঢাকে সুশ্রুত, আশার তরী বাহিতেছে কেহ মনে৷ লক্ষ মানুষ সঁপিছে আপনজনে ভাবিয়া যেথায় ভগবানের বাস, ভুল চিকিৎসা আর্থিক প্রয়োজনে, উপহার রূপে উপনিত হয় লাশ৷ অঝোর নয়নে শ্মশানের কোণে কাঁদিছে লক্ষ মাতা, ভগবান আজ খোদ শয়তান নহে সে পরিত্রাত্রা৷                   —প্রভাত....

খাদক

Image
পারফিউম, বডি স্প্রের গন্ধ ক্ষীন, কথা বলা রোবটের ভীড় দেখে অতৃপ্ত আত্মা, সংবাদ হয়ে ওঠে যন্ত্রনায় মৃত অন্তঃসত্তা৷ সত্য সামনে আসে ব্যাবসার প্রয়োজনে, আবার ঢাকা পড়ে স্বার্থের চাদরে রাজনৈতিক আলিঙ্গনে৷ বিচারের বাণী আজও কাঁদে নিভৃতে, মোমবাতির ঝড় ওঠে রাজপথে, টাকার প্রসাদে যেথা ভগবান তুষ্ট, উচ্চ শিরে সে সমাজে ঘুরিছে নিকৃষ্ট৷ আবার এক অভিযান মদিরা হাতে, সুমিষ্ট খাদ্যের সন্ধানে নিশুতি রাতে৷ বুদ্ধিজীবীর বৃথাই সকল তর্ক, এ খাদ্য খাদকের প্রাচীন সম্পর্ক৷                      — প্রভাত...

খোঁজ

Image
শতেক শতাব্দী ঘুরে আসিয়াছি হেথায় ফিরে, জড়তার বুক চিরে, সভ্যতার ইঁটের প্রাচীরে৷ খুঁড়িলাম কত মাটি কত ইতিহাস, দেখি সভ্য সামাজে কত হায়নার বাস৷ দেখিনু সে ঠাঁয় দাঁড়ায়ে, কন্ঠে হাহাকার জড়ায়ে, ক্ষুদ্র সে এক তৃণলতা, গাহিছে আপন হৃদয় গাথা৷ ভূমি আজও পায় নাই সে, রাখেনি কেহ যত্নে ভালবেসে৷ তবু মনে বাঁচিবার আশা, মনোবল ঘুঁচায় নিরাশা৷ হরপ্পা হতে ইতালির ভেরোনার পথে, কত প্রেম বাঁচে আশায়, কিছু বাঁচে গভীর ক্ষতে৷ জৌলুষতার মিরজাফরে কত জুলিয়েট লুটায় শহরে, রোমিও আজও মরে, শেষে ভালবাসার রক্ত ঝরে৷                            —প্রভাত....

কলঙ্কিত সৌন্দর্য

Image
আকাশে চাঁদের প্রকাশ আজ দীপ্ত, তবু সৌপ্তিক কোন যন্ত্রনা তার বুকে৷ লক্ষ সুখেও হৃদয়ের শান্তি বিঘ্নিত, অগ্রগতি শিখরের অভিমুখে৷ সৌন্দর্য সর্বদাই কলঙ্কিত, বক্ষ মাঝের কালো দাগে তাহা দৃষ্ট৷ কলুষতা স্বর্ণমোড়কে অলঙ্কৃত, এ কলুষতা লালসাতেই সৃষ্ট৷ কলঙ্কিত সৌন্দর্যের ব্যাথা, চলচ্চিত্রের রন্ধ্র রন্ধ্র জানে৷ নায়িকার মনে সুপ্ত বিরহগাথা, দুষিছে হৃদয় নিজেরেই অভিমানে৷ বারানসীর বিধবা কল্যানী, অন্ধকারে বারবণিতার সাজে৷ জানে দেবদাসীর অন্তরের গ্লানি, সৌন্দর্য কলঙ্কেরই মাঝে৷                  — প্রভাত...

তিমিরে জ্ব্যোতি

Image
নৈঃশব্দিক আর্তনাদে মৃত্তিকা, মস্তিষ্ক খুঁড়িছে গহ্বর, ঔচিত্তের বিশ্লেষনে মানুষ রূপি প্রাণী, উপনেত্রে তিমিরের আচ্ছাদন করিছে সৃষ্টি সামাজিক হানাহানি৷৷ বাতাসে উঠিছে রণহুঙ্কার, যুদ্ধের দামামা বাজিছে হৃদয়ে৷ চক্ষে প্রজ্বলিত পরহিংসার বহ্নি, রক্ত বহিছে শান্তির কনভয়ে৷ স্বার্থের চাদরে আচ্ছাদিত ধর্ম, অজ্ঞতার নরকে ঘুণ ধরা মস্তিষ্কের প্রয়োজন শিক্ষার কেরোসিন৷ অমানবিকতা হোক পুড়ে ছারখার, আসুন ফিরিয়া বারেবারে, সূচীভেদ্য অন্ধকারে চেতনা জ্ব্যোতি জ্বালিবারে, হে বিবেকানন্দ, জগতের আলাদীন৷৷                         — প্রভাত...

নূতনের আহ্বান

Image
মনের মাঝে জমা হাজার কষ্ট, বিকেল হতেই মনখারাপের ভার৷ সন্ধেবেলার রাস্তাগুলো ব্যাস্ত, আলোর মাঝে বিষাদ অন্ধকার৷৷ চৈত্র শেষের কনকচাঁপার গন্ধ, দূরে কোথাও ধামসা মাদল গান৷ সান্ধ্য হাওয়ায় বাঁশের পাতার ছন্দ, দুপুর বেলায় ঝিলের জলে স্নান৷৷ উড়ছে টিয়া বসছে গাছের ডালে, পলাশ ফুলে ভোমরার গুঞ্জন৷ ফিরছে গোপাল কুমীর ডাঙা খেলে, করছে কেহ স্মৃতি রোমন্থন৷৷ বসন্ত আজ শেষ দুয়ারে বসে গাইছে সুরে আগমনীর গান, কষ্ট যত দাও উড়িয়ে এসে নূতন বছর করিছে আহ্বান৷                   — প্রভাত...

দুর্বৃত্ত রাজনীতি

Image
খুকুমনি কাল করতালিতে মত্ত ছিল, মুষ্ঠিতে ধরা আধখাওয়া আমসত্ব ছিল৷ পুষ্করিণীর তটে আসিবার শর্ত ছিল, ছিন্ন বসনে অঙ্গটি রক্তাক্ত ছিল৷ খুকুমনি কাল করতালিতে মত্ত ছিল৷ সমবেত জনতা দাঁড়ায়ে ছোট্ট দেহ ঘিরে, পুলিশ সাথে নেত্রি সেথা প্রবেশিলেন ভীড়ে৷ শোকজ্ঞাপনে কুম্ভীরাশ্রু, চিতায় লেলিহান শিখা, রাজনৈতিক মুল্যে বিকোয় মৃত্যুর যবনিকা৷ উল্লাসে জনতা সেথা দিতেছে করতালি, সম্ভ্রম হতে অর্থ যেথা পাল্লায় ভারী৷ ধর্ষকের পোষক যেথা রাজনীতি, দেশদ্রোহীর বাক্  ভাষনে সম্প্রীতি৷ সজ্জিত রাজপথে কভু রাতের আঁধারে, নববর্ষ যেথা দাঁড়ায়ে ছিল দ্বারে৷ ধর্ষক রাজনেতা মিলিয়াছে যেথা, গতিমান যানে নারী হয় ধর্ষিতা৷ সমাজের মূলে ভরিছে গরল মনুষ্যত্বহীনতা, নেত্রী কহেন মঞ্চে দাঁড়ায়ে ধর্ষিতারে পতিতা৷ বাকস্বাধীনতা, বলিতেছে নেতা ধর্ষাও ঘরে ঘরে, রহিছে পোষ্য এ হেন শিষ্য রাজনৈতিক বরে৷ ধ্বংস হউক যে রাজনীতি মেরুদন্ডহীন, জ্বালায়ে দাও এ ভাবাদর্শ শতাব্দী প্রাচীন৷৷                         — প্রভাত...

ভারত মাতা

Image
প্লবনে প্লাবিত অসম হতে সাইক্লোনের চেন্নাই, ধুন্ধুমার পর্বত বেষ্টিত কাশ্মীর হতে সবুজ স্বর্গ কেরল তব দ্রষ্টা, স্বাক্ষি রহিছে মোর থরের বালুকা হাজার বছরে তোমারি শরীরে লক্ষ লক্ষ ক্ষতের৷৷ তব বক্ষে সৃষ্ট লক্ষ ইতিহাস, যুদ্ধক্ষেত্রের রক্ত শুকায়েছে শরীরে৷ নির্দ্বীধায় বরন করিয়াছ লক্ষ কোটি বহিরাগত, স্থান দিয়াছ হৃদয় মাঝে৷ তোমায় মাতা বলিতে গর্ব করা সাজে৷৷ দেখিলে কত সন্তানের হানাহানি, নন্দ হইতে মুঘলের পতন, সিরাজকে মারিতে বৃটিশের ছলনা, তব বক্ষ কেহ করিল স্থানান্তর৷ ছেচল্লিশে কলকাতা জুড়ে লাশ, ক্ষুধার হাহাকারে ছিয়াত্তরের মন্বন্তর৷৷ বারেবারে কাঁটাতারে বিভক্ত তব অঙ্গ, সহিয়াছ শত লাঞ্ছনা , তবু করিয়াছ ক্ষমা৷ আপন আঁচলে রাখিয়াছ বাঁধি সকলে, নমন করি তোমায় হে ভাগ্য বিধাতা, হে জননী, হে পরিত্রাতা৷ জন্মে জন্মে তব বক্ষে দিও স্থান, আমার গরব আমার ভারত মাতা৷৷                          — প্রভাত...