Posts

Showing posts with the label notun juger kobita

আত্মবিশ্লেষক

আগাছা জন্মানো এক সভ্যতার ভিড়ে আমরা তার একনিষ্ঠ কীটের স্বরূপ৷ রেসের ঘোড়াটি কবে হারিয়েছে পথ... হু হু অন্তরের কাছে হেরে গেছে আত্মবিশ্লেষক৷ নিজেরই ভেতর থেকে সূক্ষ্মতর মৃতের আওয়াজে চান্ডধ্বনি বাজে, আগুনের কুণ্ড থেকে চুঁয়ে পড়ে জল৷ বিগত দিনের কাছে আগামীরা বড়ই ফ্যাকাশে হাঁপের আলোর চেয়ে অন্ধকার বড় ভালো আছে৷ পুকুরে কান্নার দাগ, ওই পারে সমুদ্র হা-ভাতে ভুলে গেছে জলাশয় বিদ্রোহ শানাতে৷ পথে পথে ছত্রাকের ভিড় মেরুদণ্ডহীন যুগ যৌবনকে লাঠি দিয়ে যায় বহু মহাকাল তাই বেঁচে থাকে খনির ভেতর৷ বিষণ্ণ হাওয়ার কাছে প্রতিটি ঋতুর রং চেনা সকল পথিক জানে                       গ্রীষ্মকাল কখনো নেভেনা৷

প্রতিচ্ছবি

ছুটিয়ে চলেছে পথ নিজেকে নিজের থেকে দূর অচেনা সাম্রাজ্য যেন বিম্বিসার করবে আমায়৷ মেঘে মেঘে যন্ত্রণার আদান প্রদান অন্ধকার স্রোত ধরে সময় পিছল হয়ে যায়৷ ঘৃন্যতায় ভেসে ওঠা মনের কঙ্কাল অর্ধচেনা, বিভীষিকা চোখে ক্ষতবহ্নি মৃতপ্রায়, দ্রোহ চূর্ণ বধির প্রথায়.. বিষাদ বিলোপ হলে নিজেকেই খুঁজে পাওয়া দায়৷ চিহ্নহীন ভ্রান্তিলিপি, মেঘে মেঘে অন্ধকার, ভয়.. এ স্রোত তোমার কেউ নয়৷ ধ্বংসহীন প্রতিচ্ছবি যে দর্পন তোমায় দেখাবে বিমূর্ত প্রতিক তার চিরকাল পূজ্যের পাতায়৷ বিষাদ ফুরিয়ে গেলে কে তোমার আগুন জ্বালাবে?

অধঃস্তন

কাঁচের ভেতরে এক ক্রমশই অধঃস্তন শিকারীর ছায়া খুঁড়ে চলে প্রাচীন বিষাদ৷ আলো ও আঁধার যেন আমি ও আমারই মাঝে বিবাদের উল্টো কোনো পিঠ৷ মৃত্যুর পূর্বেই বুঝি মৃত্যুকুণ্ডে প্রবেশ করেছি! হায় আলো! হায় ধন! উন্মুক্ত আকাশ ছেড়ে বোতলের গর্ভে নিলে স্থান৷ যে আলো জ্বেলেছ অন্ধকার থেকে মুক্তির আশায়.. তারই তলে মৃত্যুগর্ভ প্রায় ত্যাগের রাস্তায় লোভ পথিক হলেই..                                     বিশ্ব শান্তিগন্ধে পৃক্ত হবে৷

পুরুষ

পুরুষ ঝড়ের সন্ধ্যার শেষে দাঁড়িয়ে রয়েছে, মাঝে মাঝে মাথা নেড়ে অস্তিত্বের হাওয়া দিয়ে যায়৷ আড়ম্বরহীন এক জীবনের ধারা, তোমাকেই স্বস্তি দেবে বলে৷ প্রচণ্ড দহনের দিনে খুঁজে দেখো, যথাস্থানে দাঁড়িয়ে রয়েছে কাঠিন্যের তালগাছ রূপে৷  অভিমানী বোঝেনা সে ক্ষয়৷ কে ছায়া বিলোবে তাকে যার পথে হাঁটে না সময়?  দোষ দিয়ে যাও হে পথিক... যুগে যুগে দাবি করো যাকে, সে মাথায় বারিষ থামায়৷ হয়তো হারাবে তবু হারেনা কখনো সে পুরুষ, তার প্রত্যয়৷

বারিষনামা #১০

বিরহী দিনে আজ তর্ক থাক কে ছিল কার ভুলে অন্ধকার গরিমাহীন সাক্ষি ব্যালকনি খুচরো পাপ জমানো মেঘ বড় দূর্ণীবার উষ্ণ ঋণ৷ ঠোঁটের আলপনা শরীরময় সমূহ কল্পনা স্বার্থহীন নিদ্রা শেষ নরম কার্ণিশে ঝড়ের ভয় বাঁচার ভঙ্গিমা অর্বাচীন মৃত্যুদেশ৷ বিরহ ফিরে আসে আকাঙ্খায় হারানো পথে যার পায়ের ছাপ ইতিহাসের বন্ধনীর ধোঁয়া অন্তরায় দ্যোতনা পত্রের ভালই থাক ছত্রাকের৷ বিস্মৃতির মতো শান্তি কই? নতুন পুড়ে যায় তার্কিকের গ্রন্থকার বারিষ গ্রাস করে সমূহ বই জলের ভার বড় নিগ্রহের শূন্যতার৷

শিরদাঁড়া

নমনীয়, উদার বিচারে                        স্হায়ীত্বে দাঁড়াও শিরদাঁড়া প্রেক্ষাপট খুলে দেখ নিরীহের মৃত্যুর ইঁদারা৷ ভার চোখে ছাদ খোঁজে মেঘ                                      কার কাঁধে বারিষ ঝরায়? প্রতিটি বিভেদ থেকে শুরু হয় সাম্রাজ্যের ক্ষয়৷ ধূলার আদর্শ যার, তার শেষ লিখেছে সময়৷ আহত চোখের কাছে অশ্রুটির আমারও তো দায়৷ বিষের পিতাও বিষ, শিক্ষা থেকে মুছে দাও ভয়৷ সহ্যের সোপান ভাঙো, প্রলয়ের এসেছে সময়৷ সংগ্রামের সম্মুখীন হলে অহংকার ঔদ্ধত্য হারায়৷

ঠিকানা

সে পথের পিছুটান অদৃষ্টের কোলে ফেলে এসে ঘাস হীন নর্দমার জলে ডুবে ডুবে নীরব তৃষ্ণায় নিজেরই চোখের জল পান করে; তবু তার ফিরে যাওয়া মানা৷ জীবনের প্রয়োজনে বয়ে যায় নদী সে'ও তার ঠিকানা জানে না৷ যে দেশ আমার ছিল,এখন অতীতে ভাঙা দূরবীনে দেখি মেঘলা আকাশ ভুলের পৃষ্ঠায়৷ ক্যানভাসকে জীবনের আঁকা উল্টো পিঠ মনে হয়৷ পঙ্গুর বিবশ খিদে ঘষে—ঘষে—ঘষে... কোনক্রমে টেনে যাওয়া ব্রহ্মাণ্ডের ভার মৃত্যুর চেয়েও বড় দরিদ্র, বিনয়ী পাখিরা পুড়েছে দূর-ভিক্ষের সময়৷ চিৎকারের কণ্ঠ জাগা মানা৷ হাওয়ার মতই তার স্বাদ নিতে আসি আকুতির পিপাসা মেটে না৷ যে দেশ আমার নয়, ছিল বা কখনো কুড়ে ঘর, মাটির দাওয়ায় অথবা বটের তলে সুশ্রুষার মাদুর বিছিয়ে ফড়িঙের গান শোনা যায়৷ মাঝে মাঝে ভুলে থাকা বিরহের মেয়াদী দাওয়াই৷ বহুদিন জ্বলেনি প্রদীপ পুকুর পাড়ের ধারে অশ্বত্থের তলে৷ সান্ধ্য স্নানে ভেজা আঁচলের খুট ধরে কোনো মেয়ে বাড়িতে ফেরেনা৷ কামনার কড়িকাঠে শরীর মিটিয়ে চলে দেনা৷ দূর কোন নৈরাজ্যের রাতে শ্মশানের পটভূমি, রাষ্ট্রের আঘাতে সিঁথির বিয়োগে পুড়ে যাচ্ছে মন্দাকিনী৷ আমার বইয়ের জ্ঞান সে আগুন নেভাতে পারেনি৷ শৈশব ও বিরহের মাঝে      

বারিষবৃত্তে

অতিথি বারিষে নাম লেখা নেই যার নেভেনি জ্বলার আগে, বিশারদ সে'ই৷ রাতের চৌকাঠ থেকে বনলতা ডাক বিষণ্ণ ডানায় ফেরে জীবনানন্দতে৷ মেঘের সহস্র চোখ প্রতিক্রিয়াময় উড়ালপুলের তরী সন্ধ্যের ব্রুনেই৷ জানলা আঁকড়ে অভিসারের সময় বিরহ যে ফিরে যাবে, বাল্যকাল নেই৷ আলোটি জ্বলার চেয়ে নিভে থাক, বেশ৷ প্রগলভ অন্ধকার, প্রহসন নেই৷ আহত বুকের জলে ধোঁয়ার প্রবেশ... শোক তার প্রতিভাষ লিখে রাখবেই৷ জেগে থাকা ভাল হত, নিহতের আগে ঘুম সেই বিষ যার জীবন বৃত্তেই বারিষনামার খাতা ভাসিয়ে প্রয়াগে বৃষ্টি এলে ভেজেনা এমন কেউ নেই৷

মৃত্যুর বাগানে

কুয়াশার যুবতী আবেগে ক্ষরণ সঞ্চয়ী ঢেউ           প্রসাধনী জোয়ার-দোলায়.. বিশ্বাস খণ্ডন হলে চা'ও মুখ ঢাকে পেয়ালায়৷ বিকারে ধরেছে যাকে, উড়ন্ত মৌচাক তুলসী পাতার বুকে ক্ষয়৷ আমৃত্যু বধির, সে তো জন্মদায়ি নয়৷ মৃত্যু যার লিপ্সা, অভিলাষী বিভ্রমের গতিপথে ওড়ে.. যেভাবে যুবতী পাখি ঝাঁপ দিতে অন্ধকার খোঁজে৷ জাঙ্গাল ভাঙার আগে ভাবো ম্রিয়মাণ প্রতিকার বিস্মৃতি প্রদোষে যদি মড়া জাগে সমগ্র বাংলার৷

তফাৎ

ধ্রুবক, দানবী ক্ষিধে পরিণত, কথায় ভোলে না৷ দহন অসহ্য হলে তুমুল দুর্যোগ আবহাওয়া বদলে দিও ঝড়৷ শৈশবের মৃদু মৃদু ঢেউ যার ছিটে শহর গড়েছে৷ দু চোখে এনেছ ঘুম বারে বারে স্বপ্ন দেখবে বলে৷ তুমি ও ক্ষিধের মাঝে তফাৎ এটুকু... তুমি ছুঁলে ভুলে যাই তাকে বিপরীত হয়না কখনো৷

মুখোশ

শিৎকার, শিৎকারে ক্ষয়, গুণী চরিত্রের জয় পরাজয় ক্ষমায় ভুলিনি৷ যে স্পর্শ চেনেনি জরা, পরম বিশ্বাসে কুম্ভনিদ্রা পাশে বদরক্তে দৃঢ়, সুপ্ত লিপ্সার বিনুনি৷ চৌকাঠ পেরোলে ঘৃণা নিও কাব্য যার ধৃষ্টতার, শারীরবৃত্তিয়৷ কুণ্ঠার বিরাম নেই মুখোশ কে দিয়েছে তোমায়? ইতর তোষণ হলে আমাদেরই দায়৷ খুলে দিচ্ছ বস্ত্রখানি ভগিনীর, বিনিদ্র তৃষ্ণায়.. মহাকাব্য পুড়বে বলে ডুব দিয়ে আসে নর্দমায়৷

বীথিকা সঙ্গমে

খেজুরে আলাপ ছেড়ে বনবীথিকায় নিভৃতে রতির আত্মসুখ৷ পাখি ও পায়ের শব্দে আত্মমগ্ন, দেহে পলাশের সুগন্ধি তাড়না৷ প্রকৃতি কাপড় খুলে ভেঙে দিচ্ছে সতির সংযম৷ সভ্য পরকীয়া নয়, বন্যতার স্তবে উন্মুক্ত বুকের মাঝে নগ্নস্নান সত্যের নিয়ম৷

আহূতি

শেয়ানের বিষাদ ক্রিড়ায়                 বেঁচে ওঠে ভগ্নাশেষ প্রাণ কেবলই স্মরণ করে টেরাকোটা পেরিয়ে এলাম৷ আঁচড়েই ঠিকরে আসে জ্যোতি হৃদয় মিলিত হলে মৃত্যুরাও ক্ষমা করে ক্ষতি৷ কোন এক ভ্রমের মলাটে                  পরিচিত লেখকের নাম.. নগ্ন দ্বীপে অন্ধকার ছুঁয়ে নিজেকে নিজের থেকে বের করে আহূতি দিলাম৷

দাগ

জীবন বাঁচাবে বলে ঝাঁপ দিচ্ছ মূর্খের অনলে.. মুখোশে স্বরূপ ঢেকে ছদ্মবেশে দোষারোপ চলে৷ পিঠে কার চাবুকের দাগ? তোমাকে চিনিয়ে দেবে                 বিপরীতে আয়নার স্বভাব৷ যে কান্নার ভাগিদার নেই                      সমাজের নেই কোনো দায়... অস্ত্রকে আপন ভেবে মৃত্যুকেই স্বাগত জানাই৷                     ✍ প্রভাত ঘোষ ⚡

অপূর্ণ

আড়াল থেকে দেখবে আমার গায়ে অপার্থিব কান্না লেগে আছে বৃষ্টি থেকে পৃথক হয়ে ঝরছে তোমার নামে৷ বৃষ্টি যেদিন ভাসিয়ে যাবে, সামলে নেবে কান্না অহংকারী নাকের নিচে, ঠোঁটের কোণে পান্না৷ ধরতে গেলে পালিয়ে যাব ভয়ে নিজের অতীত চিনতে পারো পাছে শূন্য দিয়েই পূর্ণ হবে অস্বীকারের দামে৷

দূরত্ব

সে আসে দয়ার মতো, তাই দেখে নেচে ওঠে তৃণ, যেন তার জন্ম হবে বালির ভেতরে৷ কল্পনার পূর্বে কোন পরীও থাকে না৷ প্রয়োজনে পাওয়া যাবে সে বিশ্বাস কই? হাওড়ার ফুটপাথে, ব্রিজের কানাচে কারা না কী ভবিতব্য মাপে? এখন সে বিশ্বাসের কাঁটা আরও গলায় বিঁধেছে৷ ভুল করে ভবিতব্য যদি... বিশ্বাসেই কলম চালায়! ভয়ে ভয়ে ঝুলে পড়ি নিয়তির ঝুলের চাদরে৷ চরিত্র নির্লোম হলে কাছে আসা বিড়ম্বনাময়৷ যে ঢেউ অন্যের ঘাটে সংসার পেতেছে তার স্পর্শ বিপজ্জনক৷ গণ্ডারের ত্বক হলে খেলেও আরাম, আছাড়ের ব্যথাও লাগে না৷ ভিন্নতা স্ফটিক হলে পালানোই প্রথা? পাথর হবার পরও অতীতের রেশ থেকে যায়৷ তৃপ্তির হিসেব যত সময়ের হাওয়ায় উড়েছে.. জীবন ও হৃদয়ের দূরত্বের স্পষ্টতর রূপ আঁকা হয় ভাঙনের আগে৷ এ দূরত্ব ভাঙনের নয়৷ দিনে-রাতে বৃক্ষ হয়, যেভাবে সময়৷

পেখমবাড়ি

অন্ধকারের সবুজ পেখমবাড়ি পেছন ফিরে হাঁটছি অজান্তেই ছায়ার শেকড় গোটাচ্ছে পাততাড়ি রোদের তো আর বাপের বাড়ি নেই৷ জলের ওপর সাজালে মৃত্যুকে পুকুর পাড়ে স্টেটাস ডোবার দায় জীবন যখন লোভ নিয়েছে টুকে.. দহন বাতাস পেরোচ্ছে কান্নায়৷ নিমন্ত্রণে মেঘের খবর কই? জানলা জুড়ে প্রেমিকি উদ্বেগ ছোট্ট অমল খোঁজে না আর দই পত্র তোমার ফিরিয়ে দিলে মেঘ৷ পেখমবাড়ির দরজা খোলা আজও শরিক বাড়ে রাস্তা পেরোলেই... ভাঙার আগে স্বপ্ন দেখে জাগো ওই বাড়িতে ভোটের ব্যালট নেই৷               ✍ প্রভাত ঘোষ⚡

রবীন্দ্রনাথ

নিভৃত হৃদয় ছবি শতবর্ষ ধরে কান্নার প্রহরে জীবনের উন্মেষ বা শোক একই পাত্রে পূর্ণ অবস্থান৷ তোমার আশ্রয় গৃহ জন্মের প্রমাণ৷ যুদ্ধহারা শিথিল আবেগে বন্ধ্যা-বৃন্ত শবমূর্তি রূপে বিষণ্ণ পাখিটি কাঁদে বিভ্রমের হারানো পালকে৷ সেই দ্বারে সমুদ্রের প্রবেশিকা রেখে ব্রহ্মাকে করেছ ব্রহ্মদান৷ কণ্ঠহীন জরায়ুর বুকে আজ মহাসাগরের গান৷ যখনই ঘিরেছে অন্ধকার তোমার প্রহার... দর্শন ও অনুভবে তুমি ও আমার অভিসার৷

যে ঝড়ে দধীচি জন্মায়

যে ঝড় আসেনি তার প্রয়োজন ছিল? গোছানো মৃত্যুর পরে স্বাধীনতা কত সেসব জানেনা ওই গৃহস্থ যে দ্বারে ঝড় তার নিশান রাখেনি নীরস, শান্তির মৃত রূপে৷ গতি ও ধ্বংসের মাঝে বাঁচার অভ্যাসে রাহুর গ্রাসের শোক দধীচিকে যখম করেনা৷ নিঃস্ব হোক.. শান্ত হোক.. জলধীর গ্রন্থাগারে দারিদ্রের স্নানে শোকগঙ্গা যাদের নিয়ম.. (সংবাদ উল্লাস করে শুধু)                সে গ্রন্থের মলাট থাকেনা৷ বিলাসী চেয়ারে যত ছাপ দেখে আর শুয়ে শুয়ে বিলাসদরদী৷ ধ্বংসের পাঁজর উঠে গড়ে নেওয়া নতুন কাঠামো প্রশ্ন করে কার ঘরে গ্রন্থকার ছিল.. যে তোমায় মনীষী বানালো৷ যে ঝড় আসেনি তারও প্রয়োজন ছিল৷                  ✍ প্রভাত ঘোষ⚡

গুচ্ছ কবিতা

১) নিভৃতে শ্মশান ঘরে এসে নিয়ে যায়,          বাঁচিয়ে পোড়াবে৷ যেভাবে মোহেরা জ্বলে চরম বিশ্বাসে বা আঘাতে৷ ২) ওপ্রান্তে আয়নার ভ্রমে রন্ধ্রে রন্ধ্রে পুঁতে দিচ্ছ বিষ৷ যাকে প্রেম বল তা আসলে শাদা ছাইয়ের অতীত৷ ৩) হারানোর ভয় যেন দুর্লভ শৃঙ্গার.. অভিসারি প্রতিক্ষায় লুকিয়ে রেখেছ! কারোর গ্রহনে নয় সে তোমার অন্তর্নিহিত৷ ৪) হৃদয় প্রকোষ্ঠ থেকে নাভিকুণ্ড কিংবা তারও নিচে রসনায় তৃপ্তি শেষে ঘেন্না ধরে সুগন্ধি মরিচে৷ ৫) পিণ্ডের বিদায় হলে ঘর মোছা স্মৃতির বিষ্ঠায় আহ্বানের দ্বিধা লেগে থাকে৷ ৬) আমৃত্যু দহন ঝড়ে বহু পৃষ্ঠা ছেড়ে গেছে খাতা৷ প্রাকৃত দুর্যোগ ছাড়া ভেজেনি কি কোনো কোলকাতা?