Posts

Showing posts from 2019

বিলাস এ বেনারস

১) অহং উত্থানভূমি, রাত্রিকাল পেছনে ছাড়িয়ে যে বেদ পড়েছি এতকাল, তার দ্বারে টোকা দিতে আসি৷ — ক্যায়সা হ্যা ইয়ে বেনারস, হামারে শহর জ্যায়সা হি হোগা৷ ওহি লোগ, ওহি গঙ্গা যো কলকত্তা মে হ্যায়৷ মৃত্যুর খাটে বসে জীবন ফ্যাকাশে লাগে আর, ধোঁয়ার ওপাশে কিছু ধাঁধাঁ৷ এ জন্ম যৌতুক নিয়ে আসে, ঋণ থাকে আকাশে ফেরার৷ বোধ-ব্যাপ্তি-বিস্ময়ের প্রাপ্তি থেকে খুলে যায় নতুন দুয়ার৷ — জি কাঁহা চলেঙ্গে ভাইয়া জি, বি.এইচ.ইউ.. সারনাথ.. অসসি ঘাট.. জহন মে সন্দেহ্ ঔর দিল মে জিজ্ঞাসা আমাদের পথিক বানায়৷ একটি 'ই' এর তফাতে লালসাকে বিসর্জন করে দেওয়া যায়৷ পরিচিতি পেতে নয় পরিচিত হতে গেলে মুক্ত হতে হয়৷ এই স্বস্তিচায়ের দোকানে ব্যাবসা বুনতে এসে কোনো তাঁতিই মরে না৷ অথচ কী চমৎকার স্বাদ৷  — ভাইয়া অসসি ঘাট জানে কে লিয়ে টোটো ইয়াহা সে মিলতা হ্যা? — জি  — কিতনা লেতা হ্যা? — শ রুপয় রিজর্ভ মে, আপ তিনজন হ্যা না... এ ভইয়া ইয়ে তিন জন কো অসসি ঘাট পহচা দো, কিতনা লোগে? — দেড়শ — সুবহ কা টাইম হ্যা, কিউ এয়সে বোলতে হো... শ মে লেকে যাও৷ — ঠিক হ্যা ভাইয়া জি আপ লোগ আইয়ে ইসমে৷ তফাত তুমিই করো ঘৃণা ও প্রেমের, স্বরের ভেতর ঘরে সহবত যতটুকু থা...

সেনোরিটা

পায়ের পাতাটি ছাড়া আর কিছু দেখিনি, কিচ্ছু না৷ এক চিলতে নূপুর চঞ্চলা, আর বেহায়া গোলাপি নেলপলিশ৷ কখনো ঠোঁটের দিকে দেখেছি বোধহয়, এমন শীতের রাতে উষ্ণতা কি তুচ্ছ করা যায়? ফাজিল ...

পাঁচগুচ্ছ

১) দিনান্তে প্রবৃত্তি দাঁড়িয়ে আছে মুহূর্তেই শূন্যে ভাসবে বলে৷ এখনো দুয়ার বন্ধ, তার আগে বেঁচে নেওয়া, খেলা৷ সময়ের মুখ আঁকা পর্দাঘেরা ছায়াটির ছলে মৃত্যুর উল্লাসে লিফ্ট নে...

গুপ্তধন

কোন দুয়ারে ঠুকবে মাথা? গৃহস্থে দ্বার বন্ধ পথ হারানোর দুঃখে পথিক আজন্মকাল ক্লান্ত৷ তুষের ধর্মে নরম তুলো বুকের মধ্যে পুড়লে গন্ধে মহান বৃক্ষ তোমার কঠিন জগত ভাঙবে? দু-হাতে দ...

সমগোত্রিয়

বিয়োগের পরজন্ম গতিবিধি লক্ষ্য করে চলে সন্দেহ বিয়োলে প্রিয় পাখিটিকে মৃত্যুদূত ভাবি৷ কেউ ই জানিনা তার বিপরীতে কত অগ্নি, লাভা জমায়েত হয়ে আছে পৃষ্ঠতলে ফুলের আড়ালে৷ হঠাৎ ম...

ব্যাধিহত্যা

জ্যোৎস্না মেখে লক্ষ্মীপেঁচা উড়ে গেল অন্ধকার ঘরে৷ হা হুতাশ চাঁদ তাকে খুঁজে পেতে দেশলাই জ্বালায়৷ জনতা মেলায় যদি আধকাটা দেহ পড়ে থাকে, কারো শিহরণ জাগে, কেউ প্রতিহিংসাপরায়...

বন্ধনীর ভগ্নাশেষে

বন্দী রাখা স্নায়ুদের ঘ্রাণশক্তি ফিরিয়ে দিয়েছি৷ মুহুর্মুহ জলতরঙ্গ এতদিন গোপনই তো ছিল শ্রোতাহীন, পরিচয়হীন এক দেশে৷ দুরূহ আবেগ বিষপতঙ্গের বেশে, দংশনের মৃদু প্রকৃয়ায় ত...

সফর

যেন কতকাল ধরে বিস্ফোটের আশায় রয়েছি৷ আজ সেই মাহেন্দ্রক্ষণের শুভ দেখা৷ তবু কোনো পতাকা ওড়েনা; জয়হীন, স্বপ্নদৃষ্টি মুগ্ধতায় দেখে যায় খালি৷ প্রেমের আলপিন নেই যে মহাসাগরে ভ...

আলোকপাত

বহু চারা পথপ্রান্তে পায়ের ঠোকরে গৃহ থেকে দূরে, উচ্ছিষ্ট মাদকে জীবন ও মৃত্যু থেকে ছিন্ন হয়ে ভিন্ন যার বাস; তার দেহে কতটা সুবাস? অন্ধকার খুঁটে নেয় তাকে৷ সময়ের বাঁকে কোনো পর...

উদাসীনগঞ্জ

ছোট শহরের পাশে উদাসীনগঞ্জ, শেষ কোণে বসে আছে মাঠ৷ বহুকাল ধরে যেন সে'ই কোনো বিরহী সম্রাট৷ দূরে চার তালগাছে সূর্য নিভে ফুটে ওঠে রাত; বলয়ে ঘিরেছে যাকে কৃষ্ণচূড়া ফুলের মলাট৷  ব...

সম্পৃক্ত

কিছুটা গোপন থাক অন্দরমহলে তারাটির বুকে যত দহন যন্ত্রণা আনন্দের মাঝে যেন নিভু নিভু জ্বলে ব্যতিরেকে সান্ধ্যকালে দ্বন্দ্ব, প্রতারণা৷ তবু ভালবাসা থাক, অবিমৃশ্য ধারা দূর...

মধ্যস্থান

গেঁথে নিই, পুঁতে নিই, নিজের ভেতর;  অবশিষ্ট যা আছে গভীরে,  হাতে নিয়ে নিঃস্ব হতে আসা৷ পুরোনো কাপড় ছেড়ে নিজেকে সাজানো যেন লুকানো আমিকে কোনো বিস্ময় প্রহর সজ্ঞা দিয়ে আকাশে ওঠায়৷ প্রথাহীন উৎসব দূরে ঠেলে যদিও বা আসে নির্মল বাতাসে প্রিয় গন্ধটুকু দিও  চুম্বক ও চুম্বনের মাঝামাঝি বসার সময়৷

মায়া

বিনাশের আগে যদি কিছু থাকে অমরপুরাণ,  প্রাণ তার কাছে ফিরে আসে৷ তৃষ্ণার আকাশে, ন্যুব্জ শরীরের ক্ষতচিহ্নে বন্যার প্রভাব নরম করেছে যত, কাঠিন্যের আড়ালে লুকিয়ে পরিপাটি করে র...

অন্তহীন

আশ্রয়ে লুকানো যত ভুয়ো প্রেম কথা.. বিদায় দুয়ারে লেখে তিক্ত নিরবতা৷ মুখোশের অভিমান শেষ দিনও থাকে নতুনের হাত ধরে অতীতের ফাঁকে৷ যে পাখিটি তীব্র রোষে বদ্ধগৃহহীন অন্য কোনো দ্...

কুহকস্রোত

অনুভব লেগে থাকে দেহে নয়; কুয়াশার ঘ্রাণ  যেভাবে শতাব্দি পরে সাদাকালো অতি প্রিয় ছবি আমাকে আমার কাছে আনে৷ আগুনও দেখেছি বহু, পুড়ে গেছি তারও চেয়ে বেশি৷ এমন নর্দমা যার সম্ভাব্...

সংসার কথা

দু চোখে যন্ত্রণা তবু বিবশ এ হাত বহু দূরে ক্রমশ বিরহগাথা বিষণ্ণ ঘুঙুরে, বাজে তান৷ এ প্রমান গেঁথে নিলে প্রেমে.. থেমে থেমে অশ্রুবিন্দু অপেক্ষায় বসে থাকে দ্বারে৷ যেটুকু বিলা...

ছিন্ন জোনাক

ভঙ্গুর যে ঘর তাকে ভেঙে দাও জ্ঞাত নিশির ভেতর থাক পরিমিত শোক৷ স্তুপ শেষে জ্বলে আছে আস্ত ব্রহ্মলোক৷ দৃষ্টি তুমি ফিরে যাও স্তুপে ফেলে আসা স্বপ্ন আর স্পর্শস্নাত দেশে; যেখানে...

অপেক্ষা (অপ্রকাশিত)

হিয়ার ভেতরে যদি না'ই থাকে অভিকর্ষ প্রিয়.. দুই পা থামিও, কিছুটা থামিও৷ অপেক্ষার দ্বারে দ্বারে যেদিন দেখতে পাবে প্রতিচ্ছবি, সমুদ্রের ঢেউ; যে ঢেউ আছাড় দেবে রাত্রিকালে পাখির হৃদয়.. নিঃস্ব হয়ে পূর্ণ হবে সেইক্ষণে দয়িতের প্রাণ৷ তোমার স্বপ্নের মাঝে আমাদের গান৷ যা কিছু গোপন থাকে স্রোত তার বিপরীতে আসে৷ যা কিছু  দেখাতে চাই সেইটুকু ছাড়া বাকিটুকু একান্ত আপন৷ কে কখন নিয়ে গেছে এ গানের প্রাণকণ্ঠখানি.. গোপন দুয়ার আর আমি কিছু জানি৷ ভাবনার ভেতর শুধু একছত্র গান... বহু সুরে গেয়েও বুঝেছি অর্থ তার এখনো সমান৷ যেটুকু বুঝিনি তাও গণিতের মতো করে বুঝি; দর্শন পেরোলে যাকে আদ্যোপান্ত ফিকে মনে হয়৷ এখন স্বপ্নের মানে রাত্রিকাল ক্ষয়; অপেক্ষা প্রমাণ দেবে পৃথিবীর ত্যাগের সময়৷

আহত

পাখিদের ডানা থেকে খুলে পড়া পালকের শোক এবার লুকায় যারা, সে প্রেমের কথা লেখা হোক৷ ওই যে যেভাবে নমনীয় বালুচরে মনোহরা পদস্পর্শে কোন কালে লক্ষ্মী ছাপ ছেড়ে গেছে ক্ষত৷ সে আমার বা তোমারই মতো, কোন এক দ্বীপ থেকে এসেছিল জলপথ ভুলে৷ যেখানে মাইলস্টোন ছিল শুধু বালির চমক৷ খেরোখাতা হিসেব কষেছে আর কলমের কালি যাকে ভালবাসা ভেবে লিখেছিল জীবনের গান৷ কে আজ কোথায় থাকে সংবাদ রাখছেনা কেউ; চাঁদে তার ছবি এলে নোনা জল দিয়ে যায় ঢেউ৷ আহত পাখির বাসা গোপন কুটিরে, বড় অসহায়৷ প্রতিটি ঝড়ের কাছে পড়ে থাকে ভাঙনের দায়৷ সোনার খনির নিচে আধমরা পাখিটির বুক; সবাই আহত তাই কেউ কারও তোলেনা চিবুক৷ কোন কষ্ট লঘু নয়, বিচারের কাছে স্বপ্ন মৃত; নিজেকে লুকিয়ে রাখা ঘৃণাকুণ্ডে বিরহজনিত৷

হেমন্ত বিলাস

জ্যোৎস্নার মুখোমুখি স্থগিত সময়, একাকী মাঠের মাঝে কোজাগরি রাতে৷ হৃদয়ের বাইপাস এমন আলোর কাছে ঋণী৷ কাছাকাছি হয়তো কোনো ছাতিমের গাছ আধমরা কঙ্কালের কানে কানে বলে গেল... এই যে য...

অলংকার

যেকটি ধূপ ছিল একে একে পুড়িয়ে ফেলেছি৷ গন্ধহীন পাড়ায় এখন মদনমোহন তর্কালঙ্কারের কোন সঙ্গী নেই৷ তর্ক থেকে বহু দূরে উদাসীনগঞ্জের দিকে হেটে চলেছেন৷ মাঠ, পথ, খেজুর বীথিকা, ময়নাগান, শিউলিশয্যা পার হয়ে অবশেষে অত্যন্ত সাধারণ এক মাটির দাওয়ায় এসে বসলেন৷ যেখানে মা কাঁসার গেলাস হাতে বয়োজ্যেষ্ঠ শিশুটির দিকে বাড়িয়ে দিলেন জল৷ ঘাম শুকিয়ে কর্পুর৷ এমন এক স্বর্গের কাছে বহুকাল আসা হয়না৷ আচ্ছন্ন ঘুম থেকে উঠে দেখি বিকেল নেমেছে৷ আমি কোন দিক থেকে উঠেছি জানি না৷ এমন স্বপ্নের জন্য চিরকালীন শয্যায় ঘুমিয়ে পড়া যায়৷ যার আভ্যন্তরীণ কোন দেশ নেই,কোন মাটি নেই, তার আছে মায়াবী পাহাড়, আছে উদাসীনগঞ্জ, আছে শূন্যনদীর বুকে ষষ্ঠী মিঞার গান৷ নদীর পাড়ে সরলতার কলসী কাঁখে মায়াচন্দনের গন্ধ মেখে দাঁড়িয়ে আছে সুরভিতন্দ্রা৷ গভীর ক্লান্তির দেশে যাকে মোহিনী আফিম মনে হয়৷ পলাশপাখিটি এসে ঠোঁটে তার ঠোঁট ঘষে যায়৷ এই চুম্বন আমার অলঙ্কার, যার কোনো বিনাশ যুগ নেই৷

ঠিকানা

ছোট্ট শহর, সুরের চোখাচুখি বুকের ভেতর অজস্র এস্রাজে তোমার পাড়া, আমার পাড়ায় ছুটি প্রেমের ডালি পুজোর মতো সাজে৷ আর কিছুক্ষণ শাড়ির ভাঁজে মন প্রেমাঞ্জলি এসেছে কার কোলে? কথায় কথায় নতুন প্রিয়জন পৃথিবী তার গতির কথা ভোলে৷ দুই পৃথিবী এক ঠিকানায় থাকি মিলবে বলে সন্ধে নেমে আসে শেষ কথাদের কথার আরও বাকি জড়িয়ে থাকো সমস্ত বিন্যাসে৷ ঘরের ভেতর নতুন জনের কথা শিউলি আসে প্রেমের গন্ধ চিনে সময় তোমার নিভিয়ে দেবে ব্যাথা পুজোর সাজে সমস্ত আশ্বিনে৷

মৃত্যুর মৃত্যুদণ্ড ( অপ্রকাশিত )

সুতোতে আঘাত করে আয়ুকে পোড়ানো হলে ভালবাসা শীতঘুমে যায়; বেঁচে থাকে বিষাক্ত ক্ষমায়৷ দিনলিপি যুদ্ধ করে, স্নান করে, ঘামে, প্রেমের বিলাপ ভাসে সহস্র প্রণামে৷ সময় আশ্চর্য বায়ু, ...

নিশীথের প্রতি ( অপ্রকাশিত)

জিভ থেকে খুলে রাখা প্রয়াসের চাকা সোনায় বাঁধিয়ে রাখা কণ্ঠগুহা থেকে খুন করে উন্মেষের ডানা৷ কয়েদ করেছো যত তত তুমি অন্ধ হলে আজ জলুসের চোখ পেলে প্রেক্ষাগৃহে হারাবে স্বরাজ৷ মায়াবী মরুতে ক্রীতদাসের প্রথায় সন্ধানের সুখ ছিঁড়ে পথ আজ তোমাকে চালায়৷ অভিমত লাঠি পেলে ধৃতি ওড়ে নিশীথের প্রতি৷ ঘুমন্ত স্বপ্নের কাছে বেড়ে চলে দেনা; তোমাকে বেঁধেছে জ্যোতি ক্ষমতা না চিনলে ঘোড়া নিজেকেই পেরোতে পারে না

গর্ভ শূণ্য পথ (অপ্রকাশিত)

নিজের ভেতরে খুঁজি হারানোর কতটুকু আছে বিলিয়ে দেবার মতো সঞ্চয়ের মাটি তারই মধ্যে দরদাম, শ্মশানে হেঁটেছি৷ পুড়ে যাওয়া কাঠ আর ধোঁয়ার মুকুট জানে কতটুকু ছিল ভ্রমের যোগান৷ তাই দিয়ে আগুনকে কাঠি! শূণ্য ঘর, তবু কিছু দেখাতেই চাই যেন কেউ কোনোদিন ছায়ামূর্তি বানাবে আমার৷ বাটিকে পুকুর ভাবি, খাল কে সাগর বিদায়ী চৌকাঠ জানে কতটুকু পূর্ণ হলো ঘর৷

ধ্বজা

প্রতিদিন ধ্বজা ওড়ে, রক্ত মাখে দেশে - বিদেশে, সীমান্তের বুকে.. পাখিদের নিঃস্ব করে, ক্ষমতাকে ঝাঁঝরা করে নিস্তব্ধতা ফিরিয়ে আনে দেশ৷ শুধু নিষ্পাপ গঙ্গার হাওয়ায় যে পতাকা উড়ছে ...

বারিষনামা # ১৩

যখমের ঘরে, সন্ত্রাস শেষে আধমরা কুয়ো, নিরাশার দেশে দাদরার চালে বাতাসের সঙ্গীত৷ ঠিক প্রেম নয়, বিবিধ ক্ষতের বেঁচে থাকা মেঘেদের সমাবেশ৷ পুতুলের ঘরে এসেছ পরীক্ষিত! পিছুটান ...

তৃষিত কেলাস

দুধেল বকের ঝাঁকে শেষের সারিতে বসে চলে যাই নিঃশব্দের দেশে.. ঘেমো কলকাতা থেকে বহু বহু দূর.. দিনান্তে; আহত কাঠবেড়ালির দ্বীপে৷ যেখানে সময় হাঁটে ফ্রিজারের দেশে, ব্যঙ্গ ফুঁড়ে উঠ...

মেয়াদ

প্রাথমিক কিছু নয়, ভ্রমটুকু শোক তোমাকে জাগাবে বলে মেরে ফেলে দৃষ্টিহীন লোক৷ যে আগুনে মৌন মুখ হারানোর ভয়ে পাথরে পাথর ঠুকে হার্টবিট ক্ষয়... রাজহংসী হতে পারো বিশাল সে সমুদ্র নগরে স্বর্ণপদ্ম বেষ্টনীর মাঝে যেখানে লহরী জাগে শুভ্রস্নাত বধূটির সাজে তাকে শুধু কথা দিও, আর গন্ধ দিও ভালোবাসবার৷ সবেরই মেয়াদ হয় ঢেউ, পদ্ম জোয়ারের মতো ততটা আপন কর যা তোমাকে দিয়ে যাবে ক্ষত গাঢ়; কোনো প্রস্তর যুগের ইতিহাস খোঁড়া হলে ভবিষ্যত কুড়োবে প্রমাণ৷ শোক নয়, শোক নয়, জয়... কখনো প্রেমের আগে প্রেমিকের মেয়াদ ফুরোয়৷ ফসফরাসের গায়ে সমুদ্রের নোনা ইতিহাস আলিঙ্গন গৃহে অস্তমিত প্রেমটির অঙ্গার সাজিয়ে... সঞ্জীবনী দেশ পাবে প্রাচীন ক্ষতেই৷ গুপ্তধন ঝিনুকের ঘরে, তার কিছু হারাবার নেই৷ তবুও বিদায় বলে সারারাত জাগাবে বলেই৷

ঘূর্ণন

পৃথিবীর ভেতর পৃথিবী কার কথা, কত কথা পাথরের খাঁজে নর্তকীর সাজে, মলাটের ভাঁজে... যে বই লেখার চেয়ে মাঝে মাঝে পড়ে নেওয়া ভাল ভেতরে ভেতরে৷ ঘূর্ণনে হারিয়ে যায় শোক; কত হাত, বালির প্র...

পলাশের শোক (অপ্রকাশিত)

মাইগ্রেনের কথা চুরি করে ঢেলে দিই কুহকের ছাঁচে, জানিনা কবিতা না কী মৃত্যুর বিন্যাস; তোমাতে জড়াতে চায় ঝরে যাওয়া অপুষ্টির বিপন্ন পলাশ৷ আদরের স্পর্শ পেয়ে খুলে আসে লুক্কায়ি...

প্রয়াণ বন্ধন

শ্মশান পেরিয়ে গেল যুগ; ম্লান সম্পর্কের টেরাকোটা, সুতোর প্রয়াণ৷ অন্তিম জলের কাছে বাকিটুকু সুখ৷ সময় পাথর হয়ে লেখে শোক, আয়না ও মুখ ঝাপসা, যত পরিধির বাড়; অস্থিভষ্ম স্তম্ভ করে ...

চরিত্রহীন

লজ্জার দ্বারে মাথা নুয়ে আছে কাম নিয়ন্ত্রণের ছাই চাপা বিছানায় সুযোগের তাসে ইন্দ্রজিতের বাণ স্মরণের পরে আগুনের পরিখায় ডুবে যেত, শুধু লজ্জার খুঁটে বাঁধা আয়নার কাছে চরিত্রদের মুখ৷ না, ছুঁয়ে দেখেনি কুয়াশার বুকে ধাঁধা পালা করে করে চেটে গেছে উৎসুক৷ অন্ধকারের উত্তেজনায় ধ্বস নিশিরাত, বাঁকা চাঁদ এসে খেতে চায় নেশার চাদরে বাতিলের খসখস দু ফোঁটা মাদকে ময়নার মতো গায়৷ তারা নেই, ফাঁকা মেঘে মেঘে গর্জন বেরোতে পারেনি অরণ্যে যার ঘর নিজেই নিজের আগুন নিয়ন্ত্রণ জ্বলেনি, ভেতরে ভিজে ভিজে গেছে খড়৷ কালো, ভাঙা বিশ্বের নিচে উদ্যান যা কেউ দেখেনি.. ঘুণ পোকা এসে খায় চরিত্রহীন আদরের কাছে ম্লান যা কিছু পেয়েছে তারও বেশি দিতে চায়৷

শ্বাপদ উল্লাস

প্রথম ভোরের কুঁড়ি, শিউলি বা শেফালির স্নিগ্ধপ্রান চঞ্চলা যুবতি; প্রজাপতিটির মতো উঠোনে, বাগানে৷ উড়ে যেতে যেতে ঘরে ফিরে আসে পূজার থালায়৷ মা স্নেহে ছাড়িয়ে দিচ্ছে চুল৷ সন্ত...

সমীকরণ

কী ক্ষয়, সন্দেহে; বিশ্বাস উজাড় করে ত্রাণ কুয়াশার ঘরে৷ জমা সমগ্র হৃদয় খতিয়ান ভুলে, ফুলে ফুলে ভ্রমরেরা                                 দূরত্ব বিয়োবে৷ বিরূপ প্রকট হলে অনুরা...

কণ্ঠরোধ

সিড়িটি পেরিয়ে এলে ঘর মৃত্যু ও জ্ঞানের মাঝে ক্ষিদের শহর৷ জখমের কণ্ঠ পেষা গান যা কিছু দেবার ছিল, বিদ্রোহী বয়ান শান্তি প্রিয় কল্কের ধোঁয়ায়৷ মেধার ফসলে মূঢ় প্রাচীরের চিহ্ন ...

বিলাপ (অপ্রকাশিত)

দৌড়; দৌড়ে তৃষ্ণার দশক পিছনের গাছ থেকে ঝুলে, ঝোলে বাদুড় হৃদয়, বন্যার চেয়েও বড় দারিদ্রের শোকে; বিলাপের শ্বাস৷ মশারির ওপর জোনাকি এসে বসে, ভাললাগা ছুঁয়ে দেখা বাকি৷ প্রিয় গন্ধ, ...

জন্ম

এই ক্ষণে ভাললাগা প্রকৃতির কাছে দু-দণ্ড বসতে ভাল লাগে, ভালবাসতে গেলে তাকে জন্ম দিতে হয়৷

ভাঙা জ্যোৎস্নার সঙ্গম

শিরিষের ঘেরাটোপে এমন বিমুগ্ধ রাতে... খুনসুটিতে বারে বারে চাঁদটিকে গিলে নিচ্ছে মেঘ৷ পাশের ঈশ্বরগৃহ তত লাল হয়নি এখনো.. যতটা এগিয়ে গেলে চিৎকারের শব্দ শোনা যায়৷ কিছু দূরে শ্ম...