অলংকার

যেকটি ধূপ ছিল একে একে পুড়িয়ে ফেলেছি৷ গন্ধহীন পাড়ায় এখন মদনমোহন তর্কালঙ্কারের কোন সঙ্গী নেই৷ তর্ক থেকে বহু দূরে উদাসীনগঞ্জের দিকে হেটে চলেছেন৷ মাঠ, পথ, খেজুর বীথিকা, ময়নাগান, শিউলিশয্যা পার হয়ে অবশেষে অত্যন্ত সাধারণ এক মাটির দাওয়ায় এসে বসলেন৷ যেখানে মা কাঁসার গেলাস হাতে বয়োজ্যেষ্ঠ শিশুটির দিকে বাড়িয়ে দিলেন জল৷ ঘাম শুকিয়ে কর্পুর৷ এমন এক স্বর্গের কাছে বহুকাল আসা হয়না৷

আচ্ছন্ন ঘুম থেকে উঠে দেখি বিকেল নেমেছে৷ আমি কোন দিক থেকে উঠেছি জানি না৷ এমন স্বপ্নের জন্য চিরকালীন শয্যায় ঘুমিয়ে পড়া যায়৷ যার আভ্যন্তরীণ কোন দেশ নেই,কোন মাটি নেই, তার আছে মায়াবী পাহাড়, আছে উদাসীনগঞ্জ, আছে শূন্যনদীর বুকে ষষ্ঠী মিঞার গান৷

নদীর পাড়ে সরলতার কলসী কাঁখে মায়াচন্দনের গন্ধ মেখে দাঁড়িয়ে আছে সুরভিতন্দ্রা৷ গভীর ক্লান্তির দেশে যাকে মোহিনী আফিম মনে হয়৷ পলাশপাখিটি এসে ঠোঁটে তার ঠোঁট ঘষে যায়৷
এই চুম্বন আমার অলঙ্কার, যার কোনো বিনাশ যুগ নেই৷

Comments

Popular posts from this blog

প্রথম কবিতা তোমার জন্য

তোমার সেই গোলাপী ঠোঁট

জ্যোৎস্না প্রেমের রাত