বন্ধনীর ভগ্নাশেষে

বন্দী রাখা স্নায়ুদের ঘ্রাণশক্তি ফিরিয়ে দিয়েছি৷

মুহুর্মুহ জলতরঙ্গ এতদিন গোপনই তো ছিল
শ্রোতাহীন, পরিচয়হীন এক দেশে৷
দুরূহ আবেগ বিষপতঙ্গের বেশে, দংশনের মৃদু প্রকৃয়ায়
তুলির ওপরে বসে ছবি আঁকিয়েছে এতকাল;
যেন কোনো মহাকাল এক্সিবিশনের দ্বারে আছে৷

জল-আলো ছাড়া কে যে বাঁচিয়ে রেখেছে!
অন্দর মহলে জমা ক্লোরোফিল পুড়েছে ট্রমায়
জীবনের গ্রাস তুলে দিতে৷
যে যত পুড়েছে সে'ই পৃথিবীকে আলো দিয়ে যায়৷

নিজের ক্ষমায় নিজে থেমে যাই বিপথের মাঝে;
সহস্র এস্রাজ থেকে ভেসে আসে জীবনের সুর৷
আমার এ পথ বহু দূর৷
ফিরে আসে পথ, পথে নতুন শপথ, আর
পথিকের ধূলো মাখা গায়ে লেগে ধূপের সুবাস৷
স্নায়ুর ভেতর বেঁচে ওঠে জীবনের প্রতিভাস৷

দগ্ধ ছাইয়ের নিচে জমা থাকে কিছু ক্ষীণ আশা৷
পৃথিবীকে ছন্দ দিতে চুম্বনের নতুন প্রত্যাশা৷

Comments

Popular posts from this blog

প্রথম কবিতা তোমার জন্য

তোমার সেই গোলাপী ঠোঁট

জ্যোৎস্না প্রেমের রাত