Posts

Showing posts from September, 2018

উত্থান

মরশুমি ঝড়ের ধাক্কা, খন্ড খন্ড কোমরের হাড়৷ শাদা ঘরে জেগে থাকে ফেলে আসা পতন-পাহাড়৷ ভেতরে লুকান কুয়ো,              কখনো ওঠেনি মুঠো জল৷                              বন্ধ্যা, মায়োপিয়া চোখ৷                                শুকনো কিছু ফুলের স্তবক৷                মরূঝড়, খালি আস্তাবল৷ যুদ্ধ, না কী শব্দকোষ প্রিয়? ডুবে যাও         ডুবে যাও               স্কুবাডাইভ-এ দেখে এস                          গুপ্ত ধন, রঙিন সভ্যতা৷ প্রতিটি নতুন ঢেউয়ে ত্রুটি ধোওয়া সামুদ্রিক প্রথা৷ অনাবাদী মন্ত্র শুনে চলমান পাথরের দিন৷ কবিতা কফিন থেকে তুলে আনে মৃত ক্লোরোফিল৷                         ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

স্ব-সন্ধান

জ্বলজ্যান্ত ভাবনাগুলো ঘুমিয়ে পড়েছে৷ যেভাবে দিগন্তরেখা ছোঁয়ার প্রয়াসে পাখিদের ডানার স্খলন৷ উড়তে উড়তে হৃদয় বিস্মৃতি, ঘিরে ধরে বোলতার ঝাঁক আসন্ন যুদ্ধের শিবিরে৷ শুনতে পাইনা শুধু নাভির নিনাদ, বারুদের গন্ধ শুঁকি নিয়ম মাফিক৷ শতাব্দীর ঘাম, ডিপ্রেশন৷ পুনর্জন্ম নিতে মোমবাতি জ্বালিয়ে রাখতে হয়৷ বন্যা শেষে বেঁচে ফিরে                            যেভাবে নতুন ঘর তোলে৷ ঢুকে যাও...          ঢুকে যাও...                        খুঁজে নাও নাভির ভেতর বিস্তীর্ণ ব্রহ্মাণ্ড যেখানে নিঃশব্দে ঘোরে৷                      ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

অনুযোগ

সেদিন কদম তলে দুজনার ঝগড়া ফল কী বীজের জন্য... না বীজ ফলের... এ কেমন কথা? দেহ মনের, না কী উল্টোটা৷ এসব ঝালমুড়ি গিলতে গিলতে  হঠাৎ নুনের ডেলা জিভের ডগায় যেন৷ সবার বিচার হয় সন্ধে নামার সময়৷ ফিরে আসে ওপারের লঞ্চ, পাখি, ঢেউ৷ নিজের বিচারে ঠিক ফাঁকি৷ যা কিছু তোমার তাকে নিজের ঠিকানা ভেবে স্তবের পাতায় লিখে রাখি৷ শরের শরীরে লাগা কালি ও তুণীর  জানে... কবিকে লেখেনা শুধু কেউ৷                     ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

মাইলস্টোন

বিলাস মাইলস্টোন৷ উহ্য প্রিয় প্রজাপতি৷ সবাই সুখের দাস, প্লেনে উঠি উচ্চতা নিরীখে৷ বীরগতি শ্রবণ মধুর, পিপড়েও চায় সদ্গতি৷ যেন আজীবন জ্বলে যাবে ঘর ময় সুখের জোনাকী৷ প্রতিটি ঠিকানা টানে৷ অপ্শন হাজারো দিকে দিকে৷ পকেটের ভার বুঝে চয়েসের এসি ট্যাক্সি - বাস৷ লাইফ লাইন ছেড়ে কারোই তো নেই অবকাশ দেখে নেওয়া, মাঝারি গতিতে চলা বাইক আরোহীটিকে৷ কয়েনের উল্টো পিঠে সমতুল্য ব্যবসাদারি চোখ৷ যেভাবে কাপড় কিনি রঙের ঔজ্বল্য দেখে... হাজার বছর যেন উড়ে যাবে যৌবন পুষ্পক৷ মৃগও স্খলন করে, কাছে চায় রূপসী সীতাকে৷ যুগের শেষেও ঘরে একই ছবি, রঙ , তুলি দেখি৷ যেন আমরণ ওড়ে মরীচিকা, প্রেতের জোনাকী৷                          ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

নগ্নচক্রব্যুহ

আহার চাইতে... চপ দিলে৷ চাকরি নেই, তো... ঢপ দিলে৷ ভোটের ব্যালটে না চাইতেই                  শশ্মান ঘাটের গঙ্গাঁ আসে৷ কী আনন্দ          কী আনন্দ সায়ানাইডের কুয়োয় খুঁজতে জল                    ডুবছে পঙ্গু, মুমূর্ষু, সন্ত্রাসে৷ শিক্ষা গর্ভে ভেজাল খনির গন্ধ,                          ভূত বাক্য নগ্নচক্রব্যুহে৷ ক্লীবের মতই ছিন্নমুষ্ক শাশক                ললাট চাইতে বুলেট ফেরালে৷                 ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

গ্রহণ

শুকনো গলা, ঘুমিয়ে পড়েছে দিন৷ পিচের ওপর শ্রমিক চাকার দাগ৷ পিঁপড়ের দল গোটাচ্ছে আস্তিন৷ রাতের চাদরে এলিয়ে পড়ে গা.. জানলা খোলা, লাভার মতই রাত৷ ক্লান্ত ভোরে শেয়াল ডাকে না৷ মাথার ভেতর কাজের তাড়ায় ঘুম৷ লিটার খানেক ঘুমের চোখেই শেষ৷ নয়তো কল্প দৃশ্যতে মৈথুন৷ কে কার মাটিতে গ্রহণ লাগাতে যায়? নিজের হাতেই কোতল করেছি দেশ৷ ডিনার ভুলেছি স্বল্প ব্যস্ততায়৷ হাওয়ায় ঢোকা মধ্য রাতের ছাঁট নগ্ন স্তনে ঠান্ডা শিহরণ ছোঁয়ার আগেই সিক্ত করছি হাত৷ দু-চার ফোঁটায় নিমগ্ন কম্পন৷ তৃপ্ত দেহ, উলঙ্গ মৌতাত৷                   ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

গন্ধ

গন্ধেরা নাবিক হয়, প্রতিটি জাহাজে৷ বাতাস কম্পাস বলে ওইইখানে বাবা৷ নিমপাতা খুঁড়ে বটগাছটিকে পেলাম যখন                        ততদিনে বুঝতে শিখে গেছি৷ রান্না শেষে যে মাড় গড়ায়...           সে তার বিষাদ গিলে ভাত বেড়ে যায়৷ গন্ধেরা আবেগ হয়, জরায়ুর ঘ্রাণ রক্তবাহে৷ আগুন ধারণ করে যে উনুন জগৎ বাঁচায়.. সে সকল আব্দারের ঝুলি৷ সুখের ঘ্রাণের স্নেহ সকলের নয়৷ গন্ধেরা আগুন হয়৷ সদ্য স্নানের পর স্ত্রী ও এক ছাতিমের গাছ৷ জলবিন্দুগুলি খোলা পিঠের ওপরে তৃষ্ণার্তের জিভ বেয়ে গলার ভেতর৷ বরফের ঋতু শেষে ধ্রুপদী প্রলয়৷ গর্ভে জ্যোৎস্না, মাঠে ঘ্রাণ নতুন ধানের সন্ধি থেকে উঠে আসে বুকে৷ হে গন্ধ শিকার করো, বাতাস কণায় আজীবন - আমরণ থেকে যেতে চাই...                    ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

বারুদ

নিজেরই ভেতর        গুটিয়ে যাচ্ছ রোজ...                           মৈথুনরত যত                                        অদ্ভুত ছেলেরা৷                                            ক্ষতবিক্ষত পাইলস                                   গদির দু-পাশ থেকে                           দু-মুঠো খাবার নয় বার্গার, ব্রান্ডি, শীৎকার চাটে৷ পৈত্রিক চাদর         ছুঁড়ে ফেলা সহজ৷                          অবৈধতার মত                                    মাথা নীচু করে ঘরে ফেরা৷                                                                            সযত্নেই তুলে রাখে বিষ                               মূর্খ অসুরদল দেখে৷                      নির্বাচনের সময় পঙ্গুত্বের ডান্ডা ঘোরে মাঠে৷ নীল কণ্ঠে জেগেছে স্থবির, স্তব্ধতার আগুন ছড়াল৷ প্রতিটা বিস্ফোট জানে কতটা বারুদ জমা ছিল৷                      ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

দৌড়

মধ্যবিত্ত থেকে আভিজাত্যে পৌছোতে পৌছোতে শুকিয়ে আসে রক্তকণিকা,                                        পুরুষ পাথর৷ পেট্রোলের বাড়বাড়ন্ত..          ঘর থেকে দু-পা বেরোলেই                          দেশলাই আগুন জ্বালে৷ পাশের দোতলা বাড়তে বাড়তে                                                 শহিদ মিনার৷ গাড়ির চাকাও গ্রীষ্মের তাপের মত৷ শৈশবের পাতা ওল্টালেই আর বাঁচা হয়না৷             দৌড় শুরু...                       রক্তাল্পতা...                                      পঙ্গু৷              খোলস ছাড়ার অপেক্ষায়৷                    ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

বিচার্য

মতের অন্তর থেকে মতান্তর পর্যন্ত সময়৷ আন্তরিক-ও সীমান্তে পৌছায় বিলম্বিত লয়ে৷ গড়াচ্ছি...         গড়াচ্ছি...             ধাক্কা খাচ্ছি প্রতিটি মাইলস্টোনে৷              সুন্দর পাথরে পিছলে পড়লে তেমনই সুন্দর লাগে                       কাটা ছেঁড়া নখর-আঁচড়৷ আছাড়-ই সম্ভাব্য সত্য৷ যে ভূমি মাখন, তার গোড়াই বিচার্য ব্রিজ৷              অন্ধকূপ                       ক্ষণের                              প্রনয়৷ ভালবাসা শিউলি হোক, গোলাপ কখনো নয়৷                      ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

শ্বাপদভূমি

নপুংসক জ্ঞান তোর জিভের ডগায়৷ কুঁড়ি থেকে পাপড়ি ছিঁড়তে মরিয়া বুভুক্ষু৷ স্নিগ্ধ নদী পাল্টে গেছে লাভার গরলে৷ ধিক্কার..      ধিক্কার..             ঈশ্বরে সমীহ লুপ্ত৷                             ভাগশেষে বিকার!! হে আত্মা, বরণ করো মৃত্যু৷                  শিক্ষাভূমি বিলুপ্ত গান্ধার৷ দ্বিধা হও হে ধরনী,             এই শ্বাপদ-লালসাভূমি আমার দেশ না৷                     ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

মালিকানা

যখম কখন ঢোকে ঘরে?                              চোরের মতই শূন্যতায়৷ স্থাপত্য ভাষ্কর্য মুঠো করে, বাঁচার স্থায়ীত্ব নিয়ে যায়৷ নতুন সামান ছিল না তো?                           সে কবেই উর্ধ্বে বাষ্পগামী৷ যেটুকু জমিন বাকি ছিল... হস্তান্তর, দলিলও বেনামি৷ মাটি-ই তো, ক্ষয় হয় তারও৷                           জরিপ ফিতেয় পাই-টু-পাই... ঠিকানা যদিও থাকে একই, মালিকানাটুকু বদলে যায়৷ যেভাবে গুটিয়ে রাখি জামা,                             ভাজ করা বুকের আস্তিন৷ হাফ নয়, পুরোটাই আছে৷ আস্তে আস্তে খুলি প্রতিদিন৷ যে দিন থেকে ব্যবসা হবে না,                            মিথ্যে ট্রাক, শূন্যতা রাস্তায়... গোডাউন লিখে নিও প্রিয়, ছুঁড়ে দিও স্বত্ব পরিখায়৷                        ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

আলেয়া

বন্ধ কাঁচে ঝাপসা অনুভূতি৷ সময়ের ওয়াইপারে দু-ফোঁটা মুহূর্ত মোছে আর.. ধান ঝাড়া শেষে পোড়ে তুষ, বিশ্বাসে আলেয়া৷ নাভি থেকে কথা ওঠে কানে৷ স্টিলের চেয়ার থেকে যেভাবে স্টেশনে বসে শুনি  কবে ঠিক ছেড়ে যাবে ট্রেন, কানে আসে ভবিষ্যৎবাণী৷ শব্দ, না কী মন ভাঙা তোপ!! বারুদ এখনো মোছো গায়ে? রক্ত মাখা কাপড় শুকানো স্পিড ফ্যানে৷ গরম লাভার মত, ঠোঁটে ব্ল্যাক ক্যাপুচিনো৷ সামনে ফুড প্লাজা, জনতা আহার৷ ক্ষিধেও প্রচুর তবু... অন্তরপাঠে শিখেছি বাবুমশাই সব ফুলই প্রেমিকের, তবু কিছু ফুল বাগানের নয়৷                       ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡