Prabhat poem (বাংলা কবিতা - প্রভাত ঘোষ)

ধ্রুবক, দানবী ক্ষিধে পরিণত, কথায় ভোলে না৷ দহন অসহ্য হলে তুমুল দুর্যোগ আবহাওয়া বদলে দিও ঝড়৷ শৈশবের মৃদু মৃদু ঢেউ যার ছিটে শহর গড়েছে৷ দু চোখে এনেছ ঘুম বারে বারে স্বপ্ন দেখব...

শিৎকার, শিৎকারে ক্ষয়, গুণী চরিত্রের জয় পরাজয় ক্ষমায় ভুলিনি৷ যে স্পর্শ চেনেনি জরা, পরম বিশ্বাসে কুম্ভনিদ্রা পাশে বদরক্তে দৃঢ়, সুপ্ত লিপ্সার বিনুনি৷ চৌকাঠ পেরোলে ঘৃণা নি...

খেজুরে আলাপ ছেড়ে বনবীথিকায় নিভৃতে রতির আত্মসুখ৷ পাখি ও পায়ের শব্দে আত্মমগ্ন, দেহে পলাশের সুগন্ধি তাড়না৷ প্রকৃতি কাপড় খুলে ভেঙে দিচ্ছে সতির সংযম৷ সভ্য পরকীয়া নয়, বন্যত...

শেয়ানের বিষাদ ক্রিড়ায়                 বেঁচে ওঠে ভগ্নাশেষ প্রাণ কেবলই স্মরণ করে টেরাকোটা পেরিয়ে এলাম৷ আঁচড়েই ঠিকরে আসে জ্যোতি হৃদয় মিলিত হলে মৃত্যুরাও ক্ষমা করে ক্ষতি...

জীবন বাঁচাবে বলে ঝাঁপ দিচ্ছ মূর্খের অনলে.. মুখোশে স্বরূপ ঢেকে ছদ্মবেশে দোষারোপ চলে৷ পিঠে কার চাবুকের দাগ? তোমাকে চিনিয়ে দেবে                 বিপরীতে আয়নার স্বভাব৷ যে কা...

আড়াল থেকে দেখবে আমার গায়ে অপার্থিব কান্না লেগে আছে বৃষ্টি থেকে পৃথক হয়ে ঝরছে তোমার নামে৷ বৃষ্টি যেদিন ভাসিয়ে যাবে, সামলে নেবে কান্না অহংকারী নাকের নিচে, ঠোঁটের কোণে পান...

সে আসে দয়ার মতো, তাই দেখে নেচে ওঠে তৃণ, যেন তার জন্ম হবে বালির ভেতরে৷ কল্পনার পূর্বে কোন পরীও থাকে না৷ প্রয়োজনে পাওয়া যাবে সে বিশ্বাস কই? হাওড়ার ফুটপাথে, ব্রিজের কানাচে কার...

অন্ধকারের সবুজ পেখমবাড়ি পেছন ফিরে হাঁটছি অজান্তেই ছায়ার শেকড় গোটাচ্ছে পাততাড়ি রোদের তো আর বাপের বাড়ি নেই৷ জলের ওপর সাজালে মৃত্যুকে পুকুর পাড়ে স্টেটাস ডোবার দায় জীবন ...

নিভৃত হৃদয় ছবি শতবর্ষ ধরে কান্নার প্রহরে জীবনের উন্মেষ বা শোক একই পাত্রে পূর্ণ অবস্থান৷ তোমার আশ্রয় গৃহ জন্মের প্রমাণ৷ যুদ্ধহারা শিথিল আবেগে বন্ধ্যা-বৃন্ত শবমূর্তি ...

যে ঝড় আসেনি তার প্রয়োজন ছিল? গোছানো মৃত্যুর পরে স্বাধীনতা কত সেসব জানেনা ওই গৃহস্থ যে দ্বারে ঝড় তার নিশান রাখেনি নীরস, শান্তির মৃত রূপে৷ গতি ও ধ্বংসের মাঝে বাঁচার অভ্যাস...

১) নিভৃতে শ্মশান ঘরে এসে নিয়ে যায়,          বাঁচিয়ে পোড়াবে৷ যেভাবে মোহেরা জ্বলে চরম বিশ্বাসে বা আঘাতে৷ ২) ওপ্রান্তে আয়নার ভ্রমে রন্ধ্রে রন্ধ্রে পুঁতে দিচ্ছ বিষ৷ যাকে প্...

আগুনের গর্ভগৃহে বেড়ে উঠে আঘাত প্রবণ৷ আসক্ত ঘুর্ণির বেগ চরিত্রের অন্তরালে ঢুকে.. নিজেরই পৃথক রূপ নিমগ্ন সত্তায় চিনে নেওয়া দুর্লভ জেনেছি৷ চোখের শলাকা ছাড়া আর কোন উল্কাপিণ্ড নেই৷ আছাড় মেরেছে যত, বুকে টেনে নিয়েছে আমায়৷ দূরত্ব নস্যাৎ করে নীবিড় উষ্ণতা, যেন তার বুক থেকে সরিসৃপের মতো আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরেছে৷ বাহুতে ধ্বংসের সুখ... তারও ব্যথা স্বর্গীয় প্রণয়৷ যতটা আগুন আছে পৃথিবীতে তত জল নেই৷ সমীহ ও নিঃস্বতার মাঝে যার বাস, তার গন্ধে নিজেকে পোড়াই৷ ঝড় আর বেশি দূরে নয়৷ এবেলা   ওবেলা, প্রতিক্ষণ টুপটাপ শব্দের আভাস৷ বৃষ্টি এক পরম্পরা, নতুন জন্মের৷ হে মেঘ, জটার কেন্দ্রে সর্বগ্রাসী হও, বদ্ধ কফিনের শিরে আঘাতে আঘাতে মুক্ত কর অহল্যাবিকার৷ তুমি যাকে মৃত্যু বল সে আমার প্রেমিকার ঘ্রাণ৷