Posts

অঙ্গীকার

তোমাকে রেশম ভেবে গুটিয়ে নিয়েছি যত অগোছালো অঙ্গীকার৷ বিশাল বিভেদে ঘেরা ঝিলের আধারে ব্যবধান বৈধব্য বিকার৷ কুণ্ঠার বিরাম নেই ধরিত্রিও মস্ত বড় চিল৷ আধ খাওয়া আপেলের বুকে কারও স্বাদ, কারও বা সঙ্গীত৷ আবার বদল হোক গৃহস্থালি, চরিত্র রন্ধন... বৈষম্যের পাদুকায় গৌরব সাজাব।                ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

নাড়ী

জঙ্ঘার ভেতর কুঁড়ি যতটা ধারালো বুটে তার শ্বাস টিপে থাকে মৃতের অহং  সুসজ্জিত অহল্যাবতার৷ অস্থিকুণ্ডে অপাংক্তেয় ঘ্রাণ৷ ভূমি ও ভাষার মাঝে পিঙ্গলা কুন্ডলী.. ছাড়ালে খোসার নিচে ব্রহ্মাণ্ডের বাস৷  মাতৃযজ্ঞে পূণ্যস্নান, নাড়ী ভিজলে স্তোত্র ওঠে বাংলার হরফে৷                  ✍ প্রভাত ঘোষ⚡

শোক

লাল নয়, আসলে প্রেমিক ধূলোর কণায় ফোটা নিস্তেজ গোলাপ  গুনে রাখা পিণ্ড পিণ্ড প্রেম শান্তির কফিনে৷ গোধূলি নামার আগে যারা নেভে, মৃত্যুর প্রহরী৷ ইন্ধন নিক্ষেপ, মাঝে আগুনের বাস৷ ভালবাসা ঘুচাবে সন্ত্রাস? সহিষ্ণুতা সন্ধৈব লবণ৷ প্রতিটি আপোষ শেষে উৎকণ্ঠা প্রকাশ৷ পিছোতে পিছোতে নোনা গল্প লেখা হোক? অন্তিম স্যালুটও এক অপর্যাপ্ত শোক৷ ভষ্ম হোক শোকের চেহারা যত অসমাপ্ত অঙ্গীকার৷ যে নিঃশ্বাস বাড়িতে ফেরেনি                         তারও কিছু স্বপ্নের দরকার৷                ✍ প্রভাত ঘোষ ⚡

তাগিদ

আমাকে বিয়োগ কর, শুধু পেছনের পদস্মৃতি থাক৷ ওটুকু নিজের৷ ছিন্ন করো অক্সিজেন, বাঁচার উপায়৷ হাঁপাতে হাঁপাতে জল খুঁজে  দাঁতে পিষে বিভাজন করে নেবে প্রান্তিক বিপ্লব৷ তাগিদ কণ্ঠে না এলে কেউ রাতে আগুন শেঁকে না৷              ✍ প্রভাত ঘোষ⚡

বিরহ

প্ল্যাটফর্ম ঘিরে দাঁড়িয়ে রয়েছে স্মৃতি পলাশির শেষে জীবন্ত পিকাসো৷ হাটতে হাটতে ফিকে হওয়া মন নিয়ে এসে কিছুক্ষণ বিরহের কাছে বসো৷ বিরহ কিছু না, জামা প্যান্ট পরা দেহে হাড়ের ভেতরে ঘুণ ধরা কিছু ক্ষত৷ ঠোঁটে চা ডুবিয়ে নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাসে ফিরে ফিরে দেখা ব্যর্থ, যুদ্ধ যত৷ হাওয়ার সমুখে চোখের দরজা বন্ধ অনুভূতি কোন অভিমানী শুয়োপোকা৷ কফিনের নিচে শুঁকেছি নিজেরই গন্ধ, তখনো ভাবিনি বিরহের মানে লেখা৷ ক্লেদের চিতায় ভ্রমরের ঝাঁক, উর্বর, প্রত্যাশী.. ভাঙা জানালায় উঁকি দিয়ে কিছু নোনা জল ঘেটে আসি৷                     ✍ প্রভাত ঘোষ ⚡

সমর্পণ

বিধান এসেছে দ্বারে               সমর্পন বেশি দূর নয়৷ সংশয়ের মন্দিরে প্রবেশ অচেনা বিগ্রহ৷ যেখানে বিষণ্ণ রেখা পেরোতে গেলেই জয়ের বিকল্প পরাজয়৷ অবেলার নিকানো মাটিতে লক্ষীর পাদুকা৷ কোন্ শিষ-এ ধানের বসতি.. সন্দেহ, বিস্ময়৷               সমর্পন বেশি দূরে নয়৷ যতবার পেরোতে চেয়েছি ডুবে গেছে অদৃষ্ট পুকুরে ফেরার সময়৷ কেউ নয়, কিছু নয়, যজ্ঞকুণ্ডে কর্তব্য বলয়৷ উৎসর্গ ঘৃতের৷               সমর্পণ নিকৃষ্ট প্রণয়!! সমুহ স্তবের স্রোত হাত ছেড়ে অন্তরপ্রলয়৷ সে দেশে প্রবেশ যোগ্যতার অন্তরায়৷ দায় নেই, দায় নেই পূর্নতার হে মহান ব্যাধ..                     সমর্পণ নিয়োগ৷ সঞ্চয়৷                  ✍ প্রভাত ঘোষ⚡

আসক্তি

আসক্তি নতুন পাতা, বিশেষ পতন৷ আঁচড়ের খেয়ালে বিলাপ৷ মোহের শেকড় যেন জড়িয়েছে কঠিন চিবুক৷ বিবিধ রঙিন ডানা বারে বারে পালক ছুঁড়েছে সংসর্গ সোহাগ দিতে... জ্ঞাত বুক কুড়িয়ে রাখেনি৷ খবর কাগজ পড়া শেষ হলে উপেক্ষাপ্রবণ৷ দীর্ঘ জালিকার শ্রেণী, ক্রমশ প্রয়াস বোঝেনা প্রকৃতি যদি উঠে আসে ঘরে বিলাসের অভ্যাস থাকে না৷ ক্রমাগত সবুজেরা সময়ে পিঙ্গল প্রকাশ করিনি যাকে... ছেড়ে আসা অভিজ্ঞ শৈল্পিক৷                ✍ প্রভাত ঘোষ⚡

প্রয়াস

বেহায়া মাঝির মত ভালবেসে নদীর সাম্রাজ্যে অভিমানী দুর্ভিক্ষের ক্ষত৷ শুকানো বালির চরে হারানো সঙ্গীতে দগ্ধ বায়ু সান্তনা কুড়ায়৷ জল তার নিজের সম্পদ৷ দিশাহীন ডানা থেকে যতটুকু শীতল ঝাপট হাত ধরে বাঁচার প্রয়াস৷ ধূসর পাতায় লেখা বিচ্ছিন্ন লিরিকে অন্তরের উজ্জ্বল সেতার৷ আবহমানের মতো ভাসাতে, নেভাতে... গর্ভের প্রলয় শেষে নতুন জীবন৷  হে সময় অবকাশ রেখো৷                      ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

স্পন্দন

কতটা গভীরে গেলে শোক.. ছিন্ন হয় পাষাণ পেরেক নিজেরই আঘাতে৷ এভাবে দেখেনা কেউ পাষাণের নিহিত স্পন্দন৷ ঘুমন্ত প্যারালিসিস         প্রেমকুণ্ডে ভেজেনি কখনো৷ উলঙ্গ মেঘেরা সুখী গৃহকোণ থেকে বহু দূরে বিপণি চত্বরে৷ চমৎকার রান্নার আড়ালে                শুয়ে থাকে ফালা ফালা কাঠ৷                 ✍ প্রভাত ঘোষ ⚡

অভাব

নির্ঘুম নির্জন চরে অশোকের রাত ঘাড় থেকে তরোয়াল নামিয়ে বুঝেছি ইতিহাস বিচার করেনা৷ লিপ্সায় রাজ্যের খোঁজ.. বিরহী চেতনা সাম্রাজ্যের চেরা চেরা বুক৷ ফোঁপানো ধ্বনির পায়ে অবনত ধনী৷ যেভাবে আবেগে আসে প্রেম               দেশ ভাগে নিশানও থাকে না৷ অভাব ঘুণের মতো, নির্যাস গ্রহন করে কাঠামো নিক্ষেপ৷                   ✍ প্রভাত ঘোষ ⚡