Posts

হৃদয়াঙ্ক

হোগলা বনের ধারে নেশাতুর স্মৃতি ঘেটে ঘেটে... পকেটের ধন ভুলে, নেমে আসা বাস্তবতা ফেলে৷ দিন থেকে রাত থেকে দিন শেষে অমাবস্যা ঢাকা অন্ধকারে ঘরে ফিরি৷ দেখি তুমি বিছানায় নেই৷ অসাড় পেশির টান,                  ধমনিতে বেজে ওঠে                                          সবহারা গান নিরালায়৷ স্বার্থ স্বার্থ রব ওঠে মাঝ প্রহরের সীমানায়৷ নীরবে প্রেমিক বাঁচে, তোমার হৃদয় কোলাহলে৷ গর্বে বলি, শূন্য আমি৷ কোথায় বসাবে তুমি ভাবো৷ অনুরাগ সূর্য হলে,                শীতে কোন ঝিল পারে বসন্তে বেহাগ ঢেলে সঙ্গোপনে সোহাগ শেখাব৷ (তবে)   তুমি যদি ছুরি হও, আমি কেন বিষ খেতে যাব?                        ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

পাটাতন

ছোট্ট প্যাঁচে কষ্ট ওঠে, অাঁধার নামার মোড়ে... হোঁচট খাবার তিক্ত কথা, মন উড়ে যায় ঝড়ে৷ বোঝার আগেই এলার্মের ডাক, উল্টো সুরে গান৷ পথের মাঝেই তপ্ত ছোঁয়া, নিত্য অভিমান৷ অনেক দূরের পথ বাকি তাই চোখ মেপে নেয় হাত৷ ছোট্ট কিছু ঘাটতি হলে বিষণ্ণ, সংঘাত৷ নদীর দু-পাড়, মধ্যে জলে একলা পাটাতন... মিলবে কেমন করে যখন ডুবছে হারাধন?                       ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

উন্নয়ন

কবি ও কবিতা হুমকিনামা পরোয়া করে না মোটে৷ ওটা রাজনীতি প্রথা, মানব বোমার বিস্ফোরনে সমাজ ক্ষয়েছে ঘৃণ্য চিত্রপটে৷                            তোরা সরে দাড়া,                                 ওই ছুটছে পাগলা ঘোড়া,                                           বেঁচে থাক কোনমতে৷ ভুল করে গুনেছি মাসুল,                           গণতন্ত্রে কোপায় ত্রিশূল,               কাটা গেছে মাতৃদুগ্ধ, স্তন৷ স্বাধীনতা হারা, আইনের ধারা৷        পথে পথে বোমা পুঁতে গেল কারা? চৌকাঠ পেরোতে গেলে                    গলা টিপে ধরে উন্নয়ন৷                   ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

আস্বাদন

কাশ্মীরি আপেলে স্বাদ জানি৷ অপরূপ উপত্যকা "স্পিতি" থেকে স্বপ্ন উঠে আসে৷  ঠান্ডা তিব্বতের ভূমি, আপেলের মনোহর গাছ            সাগরের তটে বসে                         মনে অনুভব করা বৃথা৷ সাগর তাচ্ছিল্য মাপে, পাহাড় তখনও মরসুমি৷ বৈশাখে আষাড় চাই, পৌষ মাঘে বসন্তের কথা... বুক চিরে আফসোসে বাঁচা৷           যেটুকু ছিলনা, নেই, চাই...                              শুধু চাই চাঁই করে                                       হৃদয় তুফানে শুয়ে থাকা৷ পর্বতে বরফ মেলে, সাগরে জলের ছিটে ফোঁটা৷                        ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

নিরক্ষরেখা

নিরক্ষরেখার বিভাজন, পৃথিবীর বুকে আঁকা দাগ৷ সুয়েজ ক্যানালে সেতু বন্ধনের চেষ্টা করা যায়... বিশ্বাস পাথরে শুধু রাম লিখে ভাসানো প্রয়াসে৷ উত্তম চিন্তার ফল,                       কর্মে "মাজি" পাহাড় নোয়ায়৷ ইন্ধন যোগান ভালবাসা ভরা নদী নিমেষে পেরোয়৷ বাতাসের ঝোঁক মেপে উড়ে যায় ভয় হীন পাখি৷ বাসা থেকে উঁকি মারে যারা,                             জানে দূরে কিছু মেঘ বাকি৷ তবু ওরা হাত ধরে ওড়ে,                         দল বেঁধে, প্রেম ভরে, ঝাঁকে৷ কেনা বেচা শেষে দুঃখ - সুখ, ব্যবসায় ওসব লেখা থাকে৷                           ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

দৃষ্টিকোণ

প্রশ্ন করি আগুন তোমায়, বন্ধু না কি শত্রু তুমি? সন্ধ্যাকালে দীপ্য শিখা, ঠাকুর ঘরের মধ্যমণি৷ পরিচয় কর্মে জেনো,               ভালবাসা তোমার ওপর৷ ভূগর্ভে গলিত লাভা,                শ্মশানের শব দাহ,                            অস্তিত্ব সর্বত্র ধরাভূমে৷ তাচ্ছিল্য বাতাসে নিভে পড়ে থাকে গাঢ় অন্ধকার৷ ও পাড়ায় ব্রাত্য, জ্যোতি নতুন কৃত্রিম ঘেরাটোপ৷ তবুও সমর            শান্ত হোক,                       শান্ত হোক,                                 শান্ত হোক... উত্তাপ হীনতা কাকে বলে বুঝে নিও অবুঝ সংসার৷                       ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

বেইমান

ভাতের পচনে জমে মদ৷ যে আঙুল বাণী লেখে... গৃহ যুদ্ধে টিপেছে ট্রিগার৷                যজ্ঞাহূতি, মানব সংসার৷ বেসামালে অমৃতও বিষের সমান                                           জ্বলন্ত বহ্নি৷ বিভীষিকা ঘরের আঙিনা৷                  নাভি বেয়ে উঠে আসে ঘৃণা৷ মায়ের আঁচল সিক্ত,                  দোষ কার? হিন্দু, মুসলমান? অবৈধ ঔরস থেকে জন্মায় প্রতিটি বেইমান৷                      ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

রাস্তা

তারও পরে রাত নামে অগোচরে গ্রামের আকাশে৷ জোনাকির ঘ্রাণ টেনে স্বপ্ন দেখা অবাস্তব নেশা৷              অন্য দিকে ডিস্কো থেকে                উন্মত্ততা গিলতে শেখে বিচ্ছিন্ন হৃদয়, ঘৃণা, স্পর্শ করে কৃত্রিম যৌনতা৷ অন্ধকার জঙ্গলের টানে                    রতি সুখে শরীরী সম্মতি৷ সহজাত ভালবাসা ধরে                       ঘর বাঁধে স্বপ্নের সারথি৷ কবরে কঙ্কাল বাঁচে৷ মাটি ঢেলে হেটে যাওয়া প্রথা৷                       ✍ প্রভাত ঘোষ. ⚡

মৃত্যু উপত্যকা

লুটিয়ে পড়েছি আমি রক্তমাখা, ঘাসেদের ধারে.. সাক্ষী শব উপত্যকা, মেরুদন্ড ছিলনা বিচারে৷ রুখে দিতে অপারগ          ভাঙনের শববাহী স্রোত৷ ভেসেছে সংসার,                      বুকে ঘুণ ধরে বহুকাল মৃত৷ অন্তিম সম্বলে হাত রেখে বেঁচে থাকা যেত৷ নৃত্য হোক, শ্রাদ্ধ হোক,                    চোখ জুড়ে অন্ধত্বের কালো৷ মহামান্য আদালত যুদ্ধশেষে কঙ্কাল পাঠালো৷                   ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

অদ্বৈত বারিষনামা

ঝঙ্কৃত বৃষ্টিতে ডানা কেটে বসে থাকে ঘর৷ ভিজেছে প্রলাপী ঘুড়ি, মেঘে তার কে আপনজন! শ্রোতাহীন অবিরাম বাজে                           কবেকার পুরান পিয়ানো বেহাগ, ইমনে ওঠা রাগে                          ভালবাসে, প্রাণ ঢেলে শোনো৷ চিরকাল-ই ঝড় খাওয়া বাঘ                           ভেজা ঘাসে পা মাড়ায় খুব নিঃসঙ্গ মিনারে লেখা চিরায়ত মনের অসুখ৷ বধির অবধি শোনে            বিষাদীয় সুর গানে গানে,                     সুরে বাঁধা অশনি চিৎকার৷ পাতারও অধিক উড়ে ঝরে পড়ে নিটোল বিশ্বাস৷ মাধবিলতাতে মুছে অতীত পেরোন নীল বিষ... তবু ভালবাসে যারা, প্রকৃতই উজাড় প্রেমিক৷                    ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡