Posts

যাপন ও নৈশ-গ্রহণ

১) গ্রহণ অসহ্য অনুভূতি,  ভোরের বাতাসে ঘন ধোঁয়া৷ আবার কখনো আলো ক্ষীণ হয়ে এলে বাসযোগ্য অন্য কোন গ্রহ খুঁজে নেব৷ ২) পরিষ্কার থালা, স্বচ্ছ ভাত..  এটুকুই সাধারণ চাওয়া৷ মাড়টুকু উপরি পাওনা৷ কাঁকরে এলার্জি যত, ঘৃণা সহ থুথু ছুঁড়ে ফেলি৷ ৩) আজন্ম শান্তির ঘুম পেতে  কিছু রাত জেগে নিতে হয়, আবহাওয়া বুঝে হাত শীতে তাপ মেপেছে নিশ্চই৷                  ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

তৃষ্ণা

পাঁকের দীঘিতে ডুব৷ অচেনা হরিণ ডাকে এসো কাছে আরও কাছে৷ সে যে অভিশপ্ত ছায়া সে খেয়াল নেই৷ নেশায় ঈশ্বর-ও ডোবে৷ মায়াবিনী রাত... সঙ্গমের তৃষ্ণা শেষে ছুঁড়ে ফেলে লাশ৷ অপেক্ষা নতুন আবহের৷                              তৃষ্ণার বিনাশ নেই৷ অতৃপ্ত আত্মারা বার্তা পাঠায় বিরহে৷                  ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

কুয়াশা

আবার ঘড়ির কাছে নতজানু, বসে আছি এবার সে যদি বলে ঠিক-এর ঠিকানা৷ কেতাবে কেন যে লেখা থাকেনা নসিব! বার বার সূত্রে ভূল, মেলেনা অঙ্কের শেষ৷ জিলিপির প্যাঁচ,                      যেন                          কুয়াশা বিশেষ৷ এ রথ সারথী হীন৷                          লক্ষ্যভ্রষ্ট অপটু গাণ্ডিব৷ কী জানি কীসের লোভে সুতো ধরে টান... মৃত্যু থেকে চ্যুত হবে ঘুম,               অথবা আবার ফেরা যতিচিহ্নে৷                      ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

যতিচিহ্ন

প্রতিটি রাস্তায় যতিচিহ্ন৷  শেষের কবিতা মানে শেষ কে বলেছে? জিজ্ঞাসা চিহ্নের খুব স্বভাব খারাপ, গর্তে সাপ সে খুজবেই৷ বারবার নতুন গন্ধ চায়৷ কী ঝক্কি..         কী ঝক্কি..              নিজেকেই বুঝতে বুঝতে                             দুশ্চিন্তার কাশি৷               সিঁড়ির লোভ,  সাপের ভয়ে বাঁচি৷ নিজের গোড়ায় কোন মাটি তা জানিনা... আর তুমি বলছ ভালবাসাবাসি!!               ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

বকেয়া

ধূসরের-ও স্বাদ নিতে হয়, রঙিন সময় বড় কম৷ পেছনে লাগাম নেই কোন, রুমালে আত্মসংযম৷ মাধুকরী কাক নয়, বিষাদীয় কোকিলের ডাক-এ রপ্ত করি৷ লাঠি ধরে পারাপার অক্ষম বৃদ্ধাকে৷ চা-এর ভাঁড়ে            অবজ্ঞাটুকু                     শুষে নিয়ে ডাস্টবিনগামী৷ ঘড়ির সফর শেষে                      সবাইতো ট্রেন থেকে নামি৷ জানালার পাশে বসে মাঝে মাঝে সিনেমা রিপিট৷ গল্পের অন্তরা জানে ঝিম ধরা হেলানের সিট৷ একে একে খালি হয় ভিড় বগি, ট্রেনের বাঙ্কার... ভাগ হতে হতে অবশেষে থাকে একা সংখ্যা৷ ফাঁকায় ঝিঁঝিঁর ডাক কেউ শোনে৷ ভাবি কান্না মুঠো করে বসে, যার বিষাদ-ই মানসকন্যা৷ শেষ সিকি বকেয়ার, খরচ-ও নিঃসার খাতে৷ হয়তো বিষাদে নয় সে'ও বাঁচে অন্য কোন স্বাদে৷                      ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

পরম্পরা

কিছুটা ধোঁয়ার মত, দূরত্বে ঘনত্ব কমে আসে পুরান সুগন্ধি ফেলে নতু্নের সস্তা সহবাসে... অভিকর্ষ ছাড়িয়ে ধাঁ...          পিছুটান আলো তো মানে না৷ ধাক্কা খেলে বিচ্ছুরণ মনের স্বভাব৷                           পরম্পরা ছেড়ে ফ্যাসিবাদ৷ বাতাসের ঠিকানা অজানা৷                সে তার পথের কারখানা৷ মহাকর্ষ পারে যদি কক্ষপথে ব্রক্ষ্ম বেঁধে নিতে...                       ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

মলাট

তখন        মধ্যরাত্রি প্রায়৷ কথায়       ঘুম ভাঙানির ডাক৷ পাথর       দুর্গে বিপর্যয়, বুকের       বন্ধ হচ্ছে ফাঁক৷ হাওয়ায়      ভীষণ রকম জোর, পাহাড়        ওড়ার এখন দিন৷ খাতায়        অঙ্ক কী কষছো!! সোহাগ       আলমারি বন্দি৷ রঙের          বিচার করাই ঠিক৷ মতের          অল্প সমন্বয়৷ চয়েস          একান্ত ঐচ্ছিক৷ হাসির          বিনম্র প্রত্যয়৷ বইয়ের         পাতার মতই মন৷ হাতেই          আস্ত উপন্যাস৷ মলাট           খুলছে আরণ্যক আমায়         ফেরাচ্ছে সন্ন্যাস৷ সাজাই         উষ্ণ স্বয়ম্বর? পরাই           চন্দ্রমাতে টিপ? মেঘের         শেকল ভাঙার পর আমায়         নিঃস্ব করবে কী?            ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

গন্তব্য

দু-খানা ব্রক্ষ্মান্ড, রাতে নক্ষত্র জড়িয়ে শীতঘুম৷ সময়ের তালগাছে ভাদ্র তখনো মেশেনি৷ অগত্যা সম্ভাব্য দেশে গন্তব্যের ঝান্ডা পুঁতে ফেলি৷ রেটিনা পলক ভুলে গেলে ব্ল্যাকহোলে ইগো-ও প্রচুর৷ দেখছি..           ভাবছি..                     কিন্তু কিছুই বলছি না৷            আর একটা উল্কা খসা রাতে       তার খোঁজ অজান্তেই৷ নিঃশব্দ বিপ্লব বারে বারে আঙুলের চাপে ডুবুরির সন্ধান চালায়, কোরালের গন্তব্যেই৷                       ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

সিগন্যাল

আমার        ঘাসের ডগায় ভুল হঠাৎ           বাষ্পে জমে ছাই৷ ট্রেন-ও        দৌড়োতে মশগুল লাইন          নামতা ভুলে যায়৷ পাশেই         তপ্ত গ্রানাইট, হলুদ           সমস্ত সিগন্যাল৷ লবন           মাপের দেওয়াই ঠিক রাডার         বে-চাল হলেই ব্যাস.... সময়            হিসেব করে না বাতাস          চলছে না কী স্থির৷ যখন            দগ্ধ নিজের পা মজার          গান ধরে বস্তি৷ নতুন             বাল্বে ফিলামেন্ট হঠাৎ             ফিউজ হলেই কেস... হোঁচট           ধোয়না ডিটার্জেন্ট৷ তোমায়         দাঁড় করাবে কে?             ✍ প্রভাত ঘোষ.⚡

পরিযায়ী

জীর্ণ ছাদ,         খাট, কপাট৷           প্রথম স্নান,                      ভেতর ঘরে দৌড়৷ অন্ধকারে            উষ্ণ গায়ে                নরম পায়ে                       শুঁকতে এল কেউ৷ যে বেল পাতা       মিলন প্রথা            শিব মাথায়                          ঢালছে বহু দিন৷ অচেনা মুখে         সদ্য বুকে            কোন অসুখে                           চাটে কুইনাইন! মরু তৃষ্ণা,       স্রোতে বিছনা,        ঠোঁটে, কোণায়                        অল্প লেগে সুখ৷ ঘাসের ডগে        বিন্দু লাগে             দিনের আগে৷                        আন্দোলিত বুক৷ নতুন খাট         ওদের মাঠ৷            ঘোড়ার নাল                      ঘষছে, জ্বলছে পা৷ বাতাস হীন        রোদের দিন             বিচারাধীন৷                          পূর্ণ শবও না৷ বহুগামীতে        অগাধ ক্ষিধে           মিটছে ফ্রী তে                         পরকিয়ার ব্রত৷ যার অধরে          উল্কা ঝরে..           থাকছে ঘরে                         পরিযায়ীর মত৷ জীর্ণ ছাদ,        খাট, কপাট,               ধ্বংস হাট                         বন্ধ্যা মরু