Posts

উদাসীনগঞ্জ

ছোট শহরের পাশে উদাসীনগঞ্জ, শেষ কোণে বসে আছে মাঠ৷ বহুকাল ধরে যেন সে'ই কোনো বিরহী সম্রাট৷ দূরে চার তালগাছে সূর্য নিভে ফুটে ওঠে রাত; বলয়ে ঘিরেছে যাকে কৃষ্ণচূড়া ফুলের মলাট৷  ব...

সম্পৃক্ত

কিছুটা গোপন থাক অন্দরমহলে তারাটির বুকে যত দহন যন্ত্রণা আনন্দের মাঝে যেন নিভু নিভু জ্বলে ব্যতিরেকে সান্ধ্যকালে দ্বন্দ্ব, প্রতারণা৷ তবু ভালবাসা থাক, অবিমৃশ্য ধারা দূর...

মধ্যস্থান

গেঁথে নিই, পুঁতে নিই, নিজের ভেতর;  অবশিষ্ট যা আছে গভীরে,  হাতে নিয়ে নিঃস্ব হতে আসা৷ পুরোনো কাপড় ছেড়ে নিজেকে সাজানো যেন লুকানো আমিকে কোনো বিস্ময় প্রহর সজ্ঞা দিয়ে আকাশে ওঠায়৷ প্রথাহীন উৎসব দূরে ঠেলে যদিও বা আসে নির্মল বাতাসে প্রিয় গন্ধটুকু দিও  চুম্বক ও চুম্বনের মাঝামাঝি বসার সময়৷

মায়া

বিনাশের আগে যদি কিছু থাকে অমরপুরাণ,  প্রাণ তার কাছে ফিরে আসে৷ তৃষ্ণার আকাশে, ন্যুব্জ শরীরের ক্ষতচিহ্নে বন্যার প্রভাব নরম করেছে যত, কাঠিন্যের আড়ালে লুকিয়ে পরিপাটি করে র...

অন্তহীন

আশ্রয়ে লুকানো যত ভুয়ো প্রেম কথা.. বিদায় দুয়ারে লেখে তিক্ত নিরবতা৷ মুখোশের অভিমান শেষ দিনও থাকে নতুনের হাত ধরে অতীতের ফাঁকে৷ যে পাখিটি তীব্র রোষে বদ্ধগৃহহীন অন্য কোনো দ্...

কুহকস্রোত

অনুভব লেগে থাকে দেহে নয়; কুয়াশার ঘ্রাণ  যেভাবে শতাব্দি পরে সাদাকালো অতি প্রিয় ছবি আমাকে আমার কাছে আনে৷ আগুনও দেখেছি বহু, পুড়ে গেছি তারও চেয়ে বেশি৷ এমন নর্দমা যার সম্ভাব্...

সংসার কথা

দু চোখে যন্ত্রণা তবু বিবশ এ হাত বহু দূরে ক্রমশ বিরহগাথা বিষণ্ণ ঘুঙুরে, বাজে তান৷ এ প্রমান গেঁথে নিলে প্রেমে.. থেমে থেমে অশ্রুবিন্দু অপেক্ষায় বসে থাকে দ্বারে৷ যেটুকু বিলা...

ছিন্ন জোনাক

ভঙ্গুর যে ঘর তাকে ভেঙে দাও জ্ঞাত নিশির ভেতর থাক পরিমিত শোক৷ স্তুপ শেষে জ্বলে আছে আস্ত ব্রহ্মলোক৷ দৃষ্টি তুমি ফিরে যাও স্তুপে ফেলে আসা স্বপ্ন আর স্পর্শস্নাত দেশে; যেখানে...

অপেক্ষা (অপ্রকাশিত)

হিয়ার ভেতরে যদি না'ই থাকে অভিকর্ষ প্রিয়.. দুই পা থামিও, কিছুটা থামিও৷ অপেক্ষার দ্বারে দ্বারে যেদিন দেখতে পাবে প্রতিচ্ছবি, সমুদ্রের ঢেউ; যে ঢেউ আছাড় দেবে রাত্রিকালে পাখির হৃদয়.. নিঃস্ব হয়ে পূর্ণ হবে সেইক্ষণে দয়িতের প্রাণ৷ তোমার স্বপ্নের মাঝে আমাদের গান৷ যা কিছু গোপন থাকে স্রোত তার বিপরীতে আসে৷ যা কিছু  দেখাতে চাই সেইটুকু ছাড়া বাকিটুকু একান্ত আপন৷ কে কখন নিয়ে গেছে এ গানের প্রাণকণ্ঠখানি.. গোপন দুয়ার আর আমি কিছু জানি৷ ভাবনার ভেতর শুধু একছত্র গান... বহু সুরে গেয়েও বুঝেছি অর্থ তার এখনো সমান৷ যেটুকু বুঝিনি তাও গণিতের মতো করে বুঝি; দর্শন পেরোলে যাকে আদ্যোপান্ত ফিকে মনে হয়৷ এখন স্বপ্নের মানে রাত্রিকাল ক্ষয়; অপেক্ষা প্রমাণ দেবে পৃথিবীর ত্যাগের সময়৷

আহত

পাখিদের ডানা থেকে খুলে পড়া পালকের শোক এবার লুকায় যারা, সে প্রেমের কথা লেখা হোক৷ ওই যে যেভাবে নমনীয় বালুচরে মনোহরা পদস্পর্শে কোন কালে লক্ষ্মী ছাপ ছেড়ে গেছে ক্ষত৷ সে আমার বা তোমারই মতো, কোন এক দ্বীপ থেকে এসেছিল জলপথ ভুলে৷ যেখানে মাইলস্টোন ছিল শুধু বালির চমক৷ খেরোখাতা হিসেব কষেছে আর কলমের কালি যাকে ভালবাসা ভেবে লিখেছিল জীবনের গান৷ কে আজ কোথায় থাকে সংবাদ রাখছেনা কেউ; চাঁদে তার ছবি এলে নোনা জল দিয়ে যায় ঢেউ৷ আহত পাখির বাসা গোপন কুটিরে, বড় অসহায়৷ প্রতিটি ঝড়ের কাছে পড়ে থাকে ভাঙনের দায়৷ সোনার খনির নিচে আধমরা পাখিটির বুক; সবাই আহত তাই কেউ কারও তোলেনা চিবুক৷ কোন কষ্ট লঘু নয়, বিচারের কাছে স্বপ্ন মৃত; নিজেকে লুকিয়ে রাখা ঘৃণাকুণ্ডে বিরহজনিত৷