Posts

বেশ্যা গর্ভজাত

Image
মা, তুই কেমন আছিস? আমার শরীরে প্রবেশ করা কামবিষে,  জরায়ুতে ভ্রুণ হয়ে বেড়ে ওঠা মা,  তুই কেমন আছিস? মা, তুই জন্মাস না বেশ্যা কোঠায়, বুক ফুঁটলেই নাম পাবি বারবণিতা৷ জানিনা রে মা ক...

নরক থেকে পালিয়ে

Image
এ তোমার কেমন বিচার ধর্মাবতার? ধর্মান্ধতা করছে বিনাশ মানবতার৷ ইহুদী এক মেয়ে, বয়স? তেরো কী চোদ্দ, পৃথিবীর বাহ্যিক রূপ সে দেখেছিল সদ্য৷ বন্দুকধারী কিছু মানুষের হঠাৎ আক্রমণ, পরিবারের মৃত্যু, তার বিপন্ন জীবন৷ ছোট্ট কুঁড়ি বন্ধ ঘরে, সৌদি যৌনদাসী, বিভৎস তার জীবনী শুনে স্তব্ধ বিশ্ববাসী৷ তারই মত শতেক নারী "আইসিস" ধর্ষিত, কই কোন দেশ মোমবাতি হাতে রাস্তায় নামেনি তো৷ কয়েকটা মাস ভোগ করে ফের যোনির অপারেশন, ভার্জিনিটি বিক্রিত হয়, আবার চলে ধর্ষন৷ যন্ত্রণা চায় স্বেচ্ছামৃত্যু মানব ভবিষ্যতের, চামড়া ওঠা দাগগুলো আজ সাক্ষি হাজার ক্ষতের৷ নরক পালান গল্পেরা শুধু স্বাক্ষাৎকারে বন্দী, প্রভাত খবর পড়ে আমি গরম চায়ে মন দিই৷ বিশ্ববাসী ভাবছে এ তো আমার ঘরের না, সত্যিই কি সুরক্ষিত নিজের ঘরেই মা? তুমিও সেদিন কোথায় যাবে নরক থেকে পালিয়ে? বাঁচবে যদি সন্ত্রাসবাদ বীজগুলো দাও জ্বালিয়ে৷                       ✍ প্রভাত...🌠

লাল রঙের ব্যথা

Image
বছর তখন দশ, যেদিন প্রথম অনুভব করে লাল রঙের ব্যথা, স্কুলের জামায় লাগা দাগ দেখে ভয় পেয়েছিল মেয়েটি৷ সেই থেকেই লাল রঙটা তার খুব চেনা৷ কালবৈশাখীর বিকেল, কলেজ থেকে ফিরছিল মেয়েটি, ভাবতে পারেনি আকাশের কালো ছায়া নামতে পারে তারও জীবনে৷ সেদিন সন্ধেবেলা ছ-জন মিলে একের পর এক যখন ধর্ষন করছিল, লাল রঙটা সেদিনও দেখেছিল সে,  বিদ্যুতের আলোর ঝলকানিতে৷ লাল রঙটা তাই আজ তার খুব চেনা৷ বেশ কয়েক বছর পর, সেই অতীতের যন্ত্রণা ভুলে  জীবনের পথে এগিয়ে চলল মেয়েটি, এক সহৃদয়ের হাত ধরে৷ সেদিনও তার চোখ দুটো খোলাই ছিল, (অ) মানুষটি যেদিন মাতাল হয়ে বাড়ি ফিরে ঝগড়ার মাঝে নষ্টা বলে  ঢুকিয়ে দিল ভাঙা কাঁচের বোতল৷ সেদিন শেষ রঙটা দেখেছিল সে৷ সেই লাল রঙটাই ছিল তার জীবনে খুব চেনা৷                       ✍ প্রভাত...🌠

অবৈধ বিলাস

Image
আপোষ বিহীন সম্পর্কেরা পঁচছে ড্রেনের জলে, ভালবাসার আকাঙ্খা আজ মৃত্যুর কথা বলে৷ ভাবছে বসে একলা হৃদয়, ভুল সময়ে ভুল পরিণয়, প্রতি রাতে যেন অনুভূতিগুলো ধর্ষিত হয়ে চলে৷ সমাজ ব...

বৃষ্টিবিলাস

Image
একলা ছাদের দাওয়ায় বসে ভিজছে শালিক মন, বৃষ্টি তুমি অঝোর ধারায় ঝরবে কতক্ষণ? ঘরের ভিতর মনখারাপে পুড়ছে হৃদয় স্মৃতির তাপে, বলনা শালিক কোথায় আছে মনের আপনজন? ঐ যে দেখ বস্তিগুলো ভাসছে তোমার জলে, কাকভেজা ঐ মানুষগুলো ক্ষিধের কথা বলে৷ টালির ঘরে দুধের শিশু, কাঁদছে ভবিষ্যতের যিশু৷ পতিতার বেশে মেরি সমাজের যৌনতা বয়ে চলে৷ দামোদরের হড়কা বানে গৃহহারা গ্রামবাসী, বলছে কি কেউ দু-এক টুকরো খাবার দিয়ে আসি? হাজার ফ্ল্যাটে মদিরা আসর, সাজছে অবৈবাহিক বাসর, বলনা বৃষ্টি কি করে বলি তোমায় ভালবাসি? মাছধরা সেই মানুষগুলো মাঝ সাগরে মরে, তোমার মতই হাজার মায়ের কান্না ঝরে পড়ে৷ ঢেউ বয়ে আনে কত লাশ, ভালবাসা তবু অবিনাশ৷ প্রেমিকার মন, চাষির লাঙল, বৃষ্টিবিলাস গড়ে৷                          ✍ প্রভাত...🌠

ধিক্কার রাষ্ট্রসংঘ

Image
রহিবে কবি লেখনি তব সদাই হৃদয়ে অক্ষুন্ন, মিলিয়াছে যেথা হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ ও জৈন৷ হাতে হাত ধরি চলিবে যেথা মুসলিম, পার্সি, খৃস্টানী, অমর রহিবে সকল হৃদয়ে তব অমৃত বাণী৷ ধিক্কার সে ভারতবাসীরে, যাহারা করিয়াছে অপমান, আমরণ মোরা করিব লড়াই, করিওনা অভিমান৷ জন্ম হইতে মৃত্যুর প্রতি পদক্ষেপের লেখনি, "জনগন মন" গাহিছ, কবিরে ভাল তো কভু বাসনি৷ কে হে তুমি রাষ্ট্রসংঘ? জান কি কবির দান? ধর্ম ষাঁড়ের শেখান বুলিতে হইবেনা মহান৷ রাখিবে হৃদয়পুস্তকে তোহে ভালবাসে যে বঙ্গ, শত ধিক্কার জানাই তোমায় ধর্মীয় রাষ্ট্রসংঘ৷                       ✍ প্রভাত...🌠

ঢেউয়ের প্রেমে

Image
নৈরাশ্য চাইছে বিদায় জীবন থেকে, একঘেঁয়ে মন বৃষ্টি খোঁজে সাগর পাড়ে৷ নোনা জলের অভ্র মেশা বালি মেখে ঢেউয়ের জোয়ার আদর করে একনাগাড়ে৷ ঢেউগুলো সব স্বাধীন বাঁচার স্বপ্নে লেখা, অনুভূতিরা একলা শুয়ে সাগরতটে৷ চাঁদ রমনীর ভাটার জলে আয়না দেখা, দমকা বাতাস গভীর চুমু খাচ্ছে ঠোঁটে৷ বন্ধ চোখে বাহুর উষ্ণ আলিঙ্গনে সোহাগ জানে তোমার গন্ধে নিঃস্ব ও৷ গভীর হতে গভীরে যাই ভাটার টানে, তোমার দেহের আগুনে জ্বলে ভস্মও৷ স্মৃতির ঝিনুক লুকিয়ে বাক্সবন্দী করি, মুক্তোগুলো জমতে থাকুক হৃদয় মাঝে৷ সাগর জলে ফুঁটবে রক্তগোলাপ কুঁড়ি, মৃত্যু যেদিন আসবে চড়ে পক্ষীরাজে৷                     ✍ প্রভাত...🌠

চোরাবালি

Image
দামোদরের পাড় ধরে আজ হাঁটছে আবেগ, মেঘ জমেছে হঠাৎ কেমন মনের কোণায়৷ বিষণ্ণতা গ্রাস করেছে ডজনখানেক, তুমি ছাড়াই আবার একটা রাত্রি ঘনায়৷ চাঁদটা ওঠে আজও আমার টালির ছাদে, জ্যোৎস...

কাশ্মীর

Image
বুদ্ধিগুলো বুদ্ধিজীবির ঠিক দিয়েছে মুচলেকা, স্বর্গে বড়ই কোন্দল, তাই তীর্থভ্রমণ এড়িয়ে যা৷ দেখতে গেলেই ঈশ্বর, তোর মৃত্যু হবে রাস্তাতে, কফিন ভরা নিথর দেহ ফিরবে বাড়ি বস্তাতে৷ অমরনাথে বড়ই বাধা, মানুষ যাওয়া চলবে না, একবার হজ বন্ধ করো, রাজ গদিতে থাকবে না৷ রাজগদিটা টিকবে ধর্মে বিভেদ আছে যদ্দিন, স্বর্গে শিব বিতাড়িত, সেথা বিরাজেন আলিমুদ্দিন৷ মানুষজনের ভীড়েও ওরা সুযোগ পায় কোত্থেকে? খুঁজে দেখ নিজের ঘরেই লুকিয়ে ওদের রাখছে কে? মিডিয়া বলে কাশ্মীরী নাকি দেশের সাথে, ধর্মে না, দুমুখো এই আস্তিনকে কয়েক দশকে খুব চেনা৷ কোন কিতাবে বলছে তাদের মারলে মানুষ হাজার "হুঁর"? দাড়ির ভেতর সন্ত্রাস ঢেকে গলায় দেশদ্রোহির সুর৷ পুষছে যে দেশ হিংসা বিবাদ, বিধর্মীদের পড়ছে লাশ, বিশ্ববাসী জ্বালবে চিতা, হবেই তোমার সর্বনাশ॥                             ✍ প্রভাত...🌠

স্বপ্ন

Image
লাটাই থেকে ছিঁড়ে যাওয়া ঘুড়ির মত, চাইছে জীবন হাওয়ায় ভেসে উড়তে থাকি৷ ছিন্ন করে সম্পর্কের বাঁধন যত মেঘের ওপর মনের রঙে ছবি আঁকি॥ সেই ছবিতে তোমার মুখের হাসির ছটা, তোমায় ছোঁয়ার ইচ্ছেটাকে জাগিয়ে তোলে৷ চোখ বলছে ঝরুক না জল কয়েক ফোঁটা, মৃত্যু বলে আসবে শুধুই তোমার কোলে॥ ভরসা দিয়ে জীবনটাকে থামিয়ে রাখি, চলছে গাড়ি, পৌছে যাব ঠিক কোনদিন৷ ইচ্ছে হলেই বন্ধ চোখে আদর মাখি, জীবনটা কী কয়েক হাজার স্বপ্ন বিহীন?                 ✍ প্রভাত...🌠