লেখাহীন দিনগুলি গলায় তৃষ্ণার কাঠ, শুকিয়েছে শ্মশানের পথে৷ হঠাৎ বসন্ত শেষ, গ্রীষ্মেরও বিশ্রামাগার নেই৷ এমন সময় টুকরো টুকরো কিছু মেঘ এসে দাড়িয়েছে দূরে৷ আকুতির ভাষায় বোঝালো যেন তাদের প্রেমিকগুলি ফুটন্ত ক্ষুধার কাছে বিক্রি হয়ে গেছে৷ সবে মাত্র রক্তাক্ত রাস্তার বুকে কয়েক ফোঁটাই শান্তিজল ছেঁটালাম, তখনি পেছন থেকে তাড়া দেয় জ্বালাও.. জ্বালাও.. হে ক্ষুধা ক্ষমার চোখে দেখ, প্রেমের বিক্রয় মূল্য ধার্য করব এমন বাজারু হতে এখনো পারিনি৷ ও পথে যাবনা বলে ত্যাগ করি চাকা, নদীর বুকের মতো প্রেমিকারা এতটা আদর দেয় সঙ্গমের আগে... প্রার্থনা করেছি, সে প্রেম আমায় যেন মৃত্যুদণ্ড দেয়৷ নির্বান কেমন হবে.. লঞ্চের কোণায় বসে বারিষের ঢেউ এসে শিখিয়ে দিয়েছে৷ কানে কানে বলে গেল বিরহ মৃত্যুর চে'ও ভারি৷ ক্ষয়হীন শিলান্যাস কখনো কি ভূমিকে উর্বর করতে পারে? যে ক্ষয় সূর্যের মতো সহনশীলতা রাখে তার কাছে অমৃতও ভিখারি৷ নকশা থেকে বেরিয়ে বুঝেছি, এই প্রেম, ভালবাসা দূরত্বেরই দান৷ সুপ্ত বীজ জেগে ওঠে বহু বহুকাল পরে পৃথিবীকে শান্তি দেবে বলে৷