Prabhat poem (বাংলা কবিতা - প্রভাত ঘোষ)

কাঁচের ভেতরে এক ক্রমশই অধঃস্তন শিকারীর ছায়া খুঁড়ে চলে প্রাচীন বিষাদ৷ আলো ও আঁধার যেন আমি ও আমারই মাঝে বিবাদের উল্টো কোনো পিঠ৷ মৃত্যুর পূর্বেই বুঝি মৃত্যুকুণ্ডে প্রবে...

পুরুষ ঝড়ের সন্ধ্যার শেষে দাঁড়িয়ে রয়েছে, মাঝে মাঝে মাথা নেড়ে অস্তিত্বের হাওয়া দিয়ে যায়৷ আড়ম্বরহীন এক জীবনের ধারা, তোমাকেই স্বস্তি দেবে বলে৷ প্রচণ্ড দহনের দিনে খুঁজে দে...

বিরহী দিনে আজ তর্ক থাক কে ছিল কার ভুলে অন্ধকার গরিমাহীন সাক্ষি ব্যালকনি খুচরো পাপ জমানো মেঘ বড় দূর্ণীবার উষ্ণ ঋণ৷ ঠোঁটের আলপনা শরীরময় সমূহ কল্পনা স্বার্থহীন নিদ্রা শেষ নরম কার্ণিশে ঝড়ের ভয় বাঁচার ভঙ্গিমা অর্বাচীন মৃত্যুদেশ৷ বিরহ ফিরে আসে আকাঙ্খায় হারানো পথে যার পায়ের ছাপ ইতিহাসের বন্ধনীর ধোঁয়া অন্তরায় দ্যোতনা পত্রের ভালই থাক ছত্রাকের৷ বিস্মৃতির মতো শান্তি কই? নতুন পুড়ে যায় তার্কিকের গ্রন্থকার বারিষ গ্রাস করে সমূহ বই জলের ভার বড় নিগ্রহের শূন্যতার৷

নমনীয়, উদার বিচারে                        স্হায়ীত্বে দাঁড়াও শিরদাঁড়া প্রেক্ষাপট খুলে দেখ নিরীহের মৃত্যুর ইঁদারা৷ ভার চোখে ছাদ খোঁজে মেঘ                               ...

সে পথের পিছুটান অদৃষ্টের কোলে ফেলে এসে ঘাস হীন নর্দমার জলে ডুবে ডুবে নীরব তৃষ্ণায় নিজেরই চোখের জল পান করে; তবু তার ফিরে যাওয়া মানা৷ জীবনের প্রয়োজনে বয়ে যায় নদী সে'ও তার ঠি...

অতিথি বারিষে নাম লেখা নেই যার নেভেনি জ্বলার আগে, বিশারদ সে'ই৷ রাতের চৌকাঠ থেকে বনলতা ডাক বিষণ্ণ ডানায় ফেরে জীবনানন্দতে৷ মেঘের সহস্র চোখ প্রতিক্রিয়াময় উড়ালপুলের তরী সন...

কুয়াশার যুবতী আবেগে ক্ষরণ সঞ্চয়ী ঢেউ           প্রসাধনী জোয়ার-দোলায়.. বিশ্বাস খণ্ডন হলে চা'ও মুখ ঢাকে পেয়ালায়৷ বিকারে ধরেছে যাকে, উড়ন্ত মৌচাক তুলসী পাতার বুকে ক্ষয়৷ আমৃত...