Posts

Showing posts from October, 2019

সংসার কথা

দু চোখে যন্ত্রণা তবু বিবশ এ হাত বহু দূরে ক্রমশ বিরহগাথা বিষণ্ণ ঘুঙুরে, বাজে তান৷ এ প্রমান গেঁথে নিলে প্রেমে.. থেমে থেমে অশ্রুবিন্দু অপেক্ষায় বসে থাকে দ্বারে৷ যেটুকু বিলা...

ছিন্ন জোনাক

ভঙ্গুর যে ঘর তাকে ভেঙে দাও জ্ঞাত নিশির ভেতর থাক পরিমিত শোক৷ স্তুপ শেষে জ্বলে আছে আস্ত ব্রহ্মলোক৷ দৃষ্টি তুমি ফিরে যাও স্তুপে ফেলে আসা স্বপ্ন আর স্পর্শস্নাত দেশে; যেখানে...

অপেক্ষা (অপ্রকাশিত)

হিয়ার ভেতরে যদি না'ই থাকে অভিকর্ষ প্রিয়.. দুই পা থামিও, কিছুটা থামিও৷ অপেক্ষার দ্বারে দ্বারে যেদিন দেখতে পাবে প্রতিচ্ছবি, সমুদ্রের ঢেউ; যে ঢেউ আছাড় দেবে রাত্রিকালে পাখির হৃদয়.. নিঃস্ব হয়ে পূর্ণ হবে সেইক্ষণে দয়িতের প্রাণ৷ তোমার স্বপ্নের মাঝে আমাদের গান৷ যা কিছু গোপন থাকে স্রোত তার বিপরীতে আসে৷ যা কিছু  দেখাতে চাই সেইটুকু ছাড়া বাকিটুকু একান্ত আপন৷ কে কখন নিয়ে গেছে এ গানের প্রাণকণ্ঠখানি.. গোপন দুয়ার আর আমি কিছু জানি৷ ভাবনার ভেতর শুধু একছত্র গান... বহু সুরে গেয়েও বুঝেছি অর্থ তার এখনো সমান৷ যেটুকু বুঝিনি তাও গণিতের মতো করে বুঝি; দর্শন পেরোলে যাকে আদ্যোপান্ত ফিকে মনে হয়৷ এখন স্বপ্নের মানে রাত্রিকাল ক্ষয়; অপেক্ষা প্রমাণ দেবে পৃথিবীর ত্যাগের সময়৷

আহত

পাখিদের ডানা থেকে খুলে পড়া পালকের শোক এবার লুকায় যারা, সে প্রেমের কথা লেখা হোক৷ ওই যে যেভাবে নমনীয় বালুচরে মনোহরা পদস্পর্শে কোন কালে লক্ষ্মী ছাপ ছেড়ে গেছে ক্ষত৷ সে আমার বা তোমারই মতো, কোন এক দ্বীপ থেকে এসেছিল জলপথ ভুলে৷ যেখানে মাইলস্টোন ছিল শুধু বালির চমক৷ খেরোখাতা হিসেব কষেছে আর কলমের কালি যাকে ভালবাসা ভেবে লিখেছিল জীবনের গান৷ কে আজ কোথায় থাকে সংবাদ রাখছেনা কেউ; চাঁদে তার ছবি এলে নোনা জল দিয়ে যায় ঢেউ৷ আহত পাখির বাসা গোপন কুটিরে, বড় অসহায়৷ প্রতিটি ঝড়ের কাছে পড়ে থাকে ভাঙনের দায়৷ সোনার খনির নিচে আধমরা পাখিটির বুক; সবাই আহত তাই কেউ কারও তোলেনা চিবুক৷ কোন কষ্ট লঘু নয়, বিচারের কাছে স্বপ্ন মৃত; নিজেকে লুকিয়ে রাখা ঘৃণাকুণ্ডে বিরহজনিত৷

হেমন্ত বিলাস

জ্যোৎস্নার মুখোমুখি স্থগিত সময়, একাকী মাঠের মাঝে কোজাগরি রাতে৷ হৃদয়ের বাইপাস এমন আলোর কাছে ঋণী৷ কাছাকাছি হয়তো কোনো ছাতিমের গাছ আধমরা কঙ্কালের কানে কানে বলে গেল... এই যে য...

অলংকার

যেকটি ধূপ ছিল একে একে পুড়িয়ে ফেলেছি৷ গন্ধহীন পাড়ায় এখন মদনমোহন তর্কালঙ্কারের কোন সঙ্গী নেই৷ তর্ক থেকে বহু দূরে উদাসীনগঞ্জের দিকে হেটে চলেছেন৷ মাঠ, পথ, খেজুর বীথিকা, ময়নাগান, শিউলিশয্যা পার হয়ে অবশেষে অত্যন্ত সাধারণ এক মাটির দাওয়ায় এসে বসলেন৷ যেখানে মা কাঁসার গেলাস হাতে বয়োজ্যেষ্ঠ শিশুটির দিকে বাড়িয়ে দিলেন জল৷ ঘাম শুকিয়ে কর্পুর৷ এমন এক স্বর্গের কাছে বহুকাল আসা হয়না৷ আচ্ছন্ন ঘুম থেকে উঠে দেখি বিকেল নেমেছে৷ আমি কোন দিক থেকে উঠেছি জানি না৷ এমন স্বপ্নের জন্য চিরকালীন শয্যায় ঘুমিয়ে পড়া যায়৷ যার আভ্যন্তরীণ কোন দেশ নেই,কোন মাটি নেই, তার আছে মায়াবী পাহাড়, আছে উদাসীনগঞ্জ, আছে শূন্যনদীর বুকে ষষ্ঠী মিঞার গান৷ নদীর পাড়ে সরলতার কলসী কাঁখে মায়াচন্দনের গন্ধ মেখে দাঁড়িয়ে আছে সুরভিতন্দ্রা৷ গভীর ক্লান্তির দেশে যাকে মোহিনী আফিম মনে হয়৷ পলাশপাখিটি এসে ঠোঁটে তার ঠোঁট ঘষে যায়৷ এই চুম্বন আমার অলঙ্কার, যার কোনো বিনাশ যুগ নেই৷

ঠিকানা

ছোট্ট শহর, সুরের চোখাচুখি বুকের ভেতর অজস্র এস্রাজে তোমার পাড়া, আমার পাড়ায় ছুটি প্রেমের ডালি পুজোর মতো সাজে৷ আর কিছুক্ষণ শাড়ির ভাঁজে মন প্রেমাঞ্জলি এসেছে কার কোলে? কথায় কথায় নতুন প্রিয়জন পৃথিবী তার গতির কথা ভোলে৷ দুই পৃথিবী এক ঠিকানায় থাকি মিলবে বলে সন্ধে নেমে আসে শেষ কথাদের কথার আরও বাকি জড়িয়ে থাকো সমস্ত বিন্যাসে৷ ঘরের ভেতর নতুন জনের কথা শিউলি আসে প্রেমের গন্ধ চিনে সময় তোমার নিভিয়ে দেবে ব্যাথা পুজোর সাজে সমস্ত আশ্বিনে৷