Posts

কুণ্ডলিনী

Image
পারদ ওঠা কুণ্ডলিনীর বুকের পাশে মোহ  প্রতিদিনের আশায়, চাওয়ায় নীরব বিদ্রোহ হলদে পাতার জলের ওপর আলগা হয়ে পড়া সুতোই জানে শক্ত কত বাঁধন গাঁটছড়ার থাকলে পাশে বুঝতে পারি আমরা কত কম বীর  অনেক দূরের রাস্তা শুধু ভরসা অবলম্বীর  মুহুর্মুহু হোঁচট খেয়েও দাড়িয়ে থাকার চিন্তায়... যুদ্ধ যেন পথিকৃৎ আর রাস্তা আমায় দিক দেয় ফেলে আসা গাছের পাতায় অনেক লেখাও বারণ বৃষ্টি নিজেই মুছিয়ে দেবে যুদ্ধ হবার কারণ। থাক না সেসব ছায়ায় ছায়ায় নীরব উল্লাসে দু এক কথার গল্প করি শারদীয়ার ঘাসে।। ©প্রভাত ঘোষ

শারদে

Image
ডানায় ডানায় আনন্দ তার মেঘের পাশে পাশে ক্ষয়ের ভেতর স্বপ্ন আসে শারদে, অভ্যাসে... স্মৃতির পাতায় আলোর রেখা, অনেক দূরে যাওয়া প্রাচীন জলের নিয়তি কি সাগরসম্ভবা!! যত্নে রাখা পাড়ার গলি মননে, উদ্বেগে... প্রৌঢ় রোদে মূল্য ছায়ার গাছের কাছে শেখে  সেই যে দূরে মায়ের সাথে গল্পে, ছোঁয়ার ফাঁকে এখন তোমার অনুমতির যন্ত্রে লেখা থাকে কোথাও কোনো ভালোবাসার নতুন পাতা, কলি অচল হাতে জীবন খাতার অমুল্য আধুলী  আশার ভেলা ভাসিয়ে আসি আগমনের টানে সরেনা আজ পাহাড় তবু বাঁচার সন্ধানে। ©প্রভাত ঘোষ

স্পর্শ

শহর ছাড়িয়ে গেছে  আমাদের আশাহত ঢেউ অবসর ঝুলি থেকে মাঝে মাঝে কখনো বেরোও। কী ছিল সেদিন চার ঠোঁট জড়তাবিহীন  ছাতা ছাড়া সাইকেল স্ট্যান্ড থেকে ভেজা একাত্ম কলিজা বৃষ্টি আসে বৃষ্টি যায় অসময়ে সর্বত্র ভেজায় অজুহাতে অজুহাতে পুরু হয় বিচ্ছেদের স্তর অন্তিম প্রহর— যা গেছে তা থাক— স্পর্শের স্মৃতিও বড় দামি দেখেছ কিভাবে বারে বারে তোমাকে নিয়ম করে ছুঁয়ে যাচ্ছি আমি

স্মৃতিচারণের বেলায়

Image
হাওয়ার ঝংকার আর সুন্দরীর খোশগল্প, গান... ঢেউ এসে মুছে দেয় নিরাশার সমস্ত প্রমাণ৷ দোল খাওয়া বাঁশ থেকে ওপারের স্বপ্ন দেখে পাখি ভুলে যায় অতীতের নিভে যাওয়া শতেক জোনাকি। ডুবে গিয়ে বেঁচে থাকা প্রেম আর সুরের নব্বই সন্ধ্যা কালে গল্প বলে উড়ে যাওয়া জীবনের খই। রাত্রি কাল জেগে থাকে ঢেউয়ে ঢেউয়ে সমুদ্রের তীর  একটা রাত বেঁচে থাকা ন'জন অতন্দ্র প্রহরীর॥ © প্রভাত ঘোষ

ভ্রাতৃচারিতা

যেদিকে তাকাই সব ধূ ধূ প্রান্তর শুকোচ্ছে, এক ঘটি জল আন্  তো বিরল প্রজাতি, বাঁশ কেটেছে ঝাঁড়ের ঢুকিয়ে দিয়েছে এনে প্রজার গাঁ.... আমরা হারামজাদা, তবু চেটে যাই  জলের ভেতরে মল, তাই দেখে খাই আমরা এটাই চাই, মরণের কাঠ— বাঁচব কুকুর হয়ে পুড়ে যাক ঝাঁ.... আমরা সবাই রাজা তরোয়ালহীন পেছনে চাবুক সওয়া আসলে কঠিন৷ ইতিহাস খুঁড়ে দেয় অজস্র প্রহার তবু আমরা বিষ খাই ভ্রাতৃচারিতার॥ ©

আদিম চেহারা

Image
একটু দূরেই গ্রামীণ পাহাড়, হাওয়ায় এলোমেলো ক্ষেত জুড়ে ঢেউ নরম শিষে সোহাগ নেমে এলো তাল গাছে সুর, আদিম নগর, পোহাতি সভ্যতা... ডাক দিয়েছে, খবর আছে... থিতিয়ে যাওয়া ব্যথা কোথায় গেলো, কেউ জানিনা, কোন সড়কের বাঁকে হারিয়ে গিয়েও খুজতে বেরোয় আদিম চেহারাকে স্বপ্ন জুড়ে পাথর মাটি, ডুবতে থাকা সভ্যতাটি  পেছন ফিরে আয়না দ্যাখে নতুন পথের তলে  নতুন দিনের মানুষ কি আর আমার কথা বলে!! @প্রভাত ঘোষ

জাস্টিস ফর... আর জি কর...

নিজে থেকে হুমড়ি খেয়ে  শাসকের চামচা হয়ে  কে দিলো বিচার হে ঈশ্বর!! তবু গলা থামবে না আর যা'ই হোক, টাকায় বিচার... (চাঁদে দাগ লাগালে খচ্চর!!) তবু উৎসবেই যাবো উৎসবে শোক মানাবো  সেখানেই গর্জে উঠবে স্বর..... জাস্টিস ফর.... আর জি কর.... জাস্টিস ফর.... আর জি কর.... 🚫🚫🚫🚫🚫🚫🚫🚫🚫🚫🚫🚫🚫🚫 © প্রভাত ঘোষ 

ভাষাজাল

দু একটা কথা যদি আলাপনে বলা যায় যাক... বৃষ্টির শব্দের মতো নিজস্ব ভাষা; মন আর প্রকৃতির অনাদিকালের ভাষাজাল অনন্ত কাল ধরে চলে আসা গুপ্ত প্রেমালাপ যা শুধু প্রকৃতি বোঝে অথবা বোঝে না.... মন তবু বলে যায় , লিখে যায় গূঢ় বেদনায়— আমাদের এমন কী দায়! প্রতিদিন পুড়তে পুড়তে বাকসিদ্ধ হয়ে যায় বয়স্ক মানুষ। স্থান কাল পাত্র আর পাত্রীর মিলন - পত্র শুধু পড়ে থাকে বিষন্ন ছায়ায়। ওপাশে যেওনা ছেলে  ওখানে মরণ ব'ই আর কিছু নেই... এ এক ভীষণ মায়াজাল। প্রেম আর প্রকৃতি যেমন করে এক দেহে লীন হয়ে যায় সেখানে দাঁড়িয়ে থেকে — একা তবু একা নয় আর জ্বলেছে সোনার গুঁড়ো তবেই তো পরেছো অলংকার।

রং বদল

রং একটু বদলে নিলেই কুৎসিত'ও কী ভাবে যেন সুন্দর মুখোশ হয়ে যায়..

বৃষ্টিতে যারা হাঁটেনি কখনও

৮) মনে হচ্ছে বৃষ্টি হবে হবে মেঘের নিচে কাশের আকাশ মনের অবান্তরে হাওয়ার চলন এলো মেলো পাথর ছুঁয়ে ফুল ফোটালো অঝোর দু-জন, ঝমঝমে ছাদ, ঠোঁটের শেকল জুড়ে— কাশ পেরোলে ট্রেনের সানাই রং লেগেছে ধূসর জামায় দু-হাত বেঁধে উঠছে জীবন জীবনমন্থনে এই ক-দিনে, এই ক-দিনে