Posts

আদিম চেহারা

Image
একটু দূরেই গ্রামীণ পাহাড়, হাওয়ায় এলোমেলো ক্ষেত জুড়ে ঢেউ নরম শিষে সোহাগ নেমে এলো তাল গাছে সুর, আদিম নগর, পোহাতি সভ্যতা... ডাক দিয়েছে, খবর আছে... থিতিয়ে যাওয়া ব্যথা কোথায় গেলো, কেউ জানিনা, কোন সড়কের বাঁকে হারিয়ে গিয়েও খুজতে বেরোয় আদিম চেহারাকে স্বপ্ন জুড়ে পাথর মাটি, ডুবতে থাকা সভ্যতাটি  পেছন ফিরে আয়না দ্যাখে নতুন পথের তলে  নতুন দিনের মানুষ কি আর আমার কথা বলে!! @প্রভাত ঘোষ

জাস্টিস ফর... আর জি কর...

নিজে থেকে হুমড়ি খেয়ে  শাসকের চামচা হয়ে  কে দিলো বিচার হে ঈশ্বর!! তবু গলা থামবে না আর যা'ই হোক, টাকায় বিচার... (চাঁদে দাগ লাগালে খচ্চর!!) তবু উৎসবেই যাবো উৎসবে শোক মানাবো  সেখানেই গর্জে উঠবে স্বর..... জাস্টিস ফর.... আর জি কর.... জাস্টিস ফর.... আর জি কর.... 🚫🚫🚫🚫🚫🚫🚫🚫🚫🚫🚫🚫🚫🚫 © প্রভাত ঘোষ 

ভাষাজাল

দু একটা কথা যদি আলাপনে বলা যায় যাক... বৃষ্টির শব্দের মতো নিজস্ব ভাষা; মন আর প্রকৃতির অনাদিকালের ভাষাজাল অনন্ত কাল ধরে চলে আসা গুপ্ত প্রেমালাপ যা শুধু প্রকৃতি বোঝে অথবা বোঝে না.... মন তবু বলে যায় , লিখে যায় গূঢ় বেদনায়— আমাদের এমন কী দায়! প্রতিদিন পুড়তে পুড়তে বাকসিদ্ধ হয়ে যায় বয়স্ক মানুষ। স্থান কাল পাত্র আর পাত্রীর মিলন - পত্র শুধু পড়ে থাকে বিষন্ন ছায়ায়। ওপাশে যেওনা ছেলে  ওখানে মরণ ব'ই আর কিছু নেই... এ এক ভীষণ মায়াজাল। প্রেম আর প্রকৃতি যেমন করে এক দেহে লীন হয়ে যায় সেখানে দাঁড়িয়ে থেকে — একা তবু একা নয় আর জ্বলেছে সোনার গুঁড়ো তবেই তো পরেছো অলংকার।

রং বদল

রং একটু বদলে নিলেই কুৎসিত'ও কী ভাবে যেন সুন্দর মুখোশ হয়ে যায়..

বৃষ্টিতে যারা হাঁটেনি কখনও

৮) মনে হচ্ছে বৃষ্টি হবে হবে মেঘের নিচে কাশের আকাশ মনের অবান্তরে হাওয়ার চলন এলো মেলো পাথর ছুঁয়ে ফুল ফোটালো অঝোর দু-জন, ঝমঝমে ছাদ, ঠোঁটের শেকল জুড়ে— কাশ পেরোলে ট্রেনের সানাই রং লেগেছে ধূসর জামায় দু-হাত বেঁধে উঠছে জীবন জীবনমন্থনে এই ক-দিনে, এই ক-দিনে

আমার কবিতা যাপন

উড়তে চাওয়া পাখি, তার ডানায় কুঠার কখনো দুপুরে পোড়ে, অথবা নিজেরই ধারে ছাঁটা যায় ডানাখানি তার॥ বেশিরভাগ বাঙালী যেমন দু কলম লেখে নিজের জীবনে, সেভাবেই একদিন লেখা আসে আমারও কলমে। ব্যাচেলর জীবন, প্রেম , প্রেমে ব্যর্থতা, প্রথম চাকরি, সেখানেও টানাপোড়েন এই সবই যেন একজন সাধারণ মধ্যবিত্ত জীবনের এক একটা প্রাকৃতিক অধ্যায়। ছোটবেলা থেকে রবীন্দ্রনাথ পড়তে পড়তে কাঁচা হাতে হয়তো কয়েকটা কবিতা লিখেছিলাম একসময়। সেই এক যুগ ছিল, ছোটদের শুকতারা আসতো বাড়িতে। সাধারণ ডাকে একদিন পোস্ট করে দিই, দেখি পরের মাসে সেই কবিতাই ছাপা হয়েছে ওই পত্রিকায়। সে এক শিশু মনের অনাবিল আনন্দ। তার পর আবার কবিতা লিখি বয়সসন্ধি কালে। যখন প্রথম প্রেম গন্ধ ছড়িয়েছে মনে ও মাথায়। এভাবেই হয়তো লেখা এসে গেছে এক একটা সময়ের অন্তর্জালে জীবনের ভাবনা জমাতে। অল্পবিস্তর লিখতে লিখতে ফেসবুক বেশ বড় ভূমিকা নেয় আর কিছু মানুষের ভালোলাগা প্রেরণা দেয় এই লেখার সমুদ্রে ডুব দিতে। জীবনের রোদে ঘামতে ঘামতে মানুষ যখন অবকাশ পায়, নিজেকে নিংড়ে নিয়ে বের করে প্রকাশের ভাষা। কারো কাছে তা নিছক কবিতা, আবার কারো কাছে জীবনের এক অমূল্য পাণ্ডুলিপি। মনে আছে যে

পরিস্থিতি

এমন লেখার আগ্রহে ধার দেবার জন্য নিশপিশালো সে হাত এখন হলুদ পাতা, প্রখর আলোয় নেতিয়ে এলো। চারদিকে সব নতুন জোয়ার, চোখ ঝলসায় - চোখ ঝলসায় পেছন দিকে তাকিয়ে আমি আটকে গেছি জীর্ণ পাতায়। সে সব লেখা কবিতা, গান, প্রতিদিনের জীবনলিপি...  বিলাসিতা সেসব, এখন সবার ওপর পরিস্থিতি  কে নেই যেন! কে আছে, কে স্বপ্ন দেখে ছবির আড়ে — নতুন বছর, পাঞ্জাবি, প্রেম, বন্ধ ঘরে গন্ধ ছাড়ে  এখন ধূসর দিনলিপিতে নিত্য কাঁধের পাহাড় বোঝা নতুন নতুন আলোর ভীড়ে পুরোনো সব স্বপ্ন খোঁজা। কোথায় যেন হারিয়ে গেছে পুরোনো দিন, পাহাড়, বরফ একলা বোঝা টানতে থাকে স্বপ্নহারা এক অপারগ।। ©প্রভাত ঘোষ

বারিষনামা (১৬)

মাঝে মাঝে মেঘ আসে বসে থাকলে, দূরের খেয়ালে; অথবা খেয়াল বহু দূরে ঘুরে আসে কখনো কখনো সবার আড়ালে ধুলো-বালি উড়ে আসে চোখে মুখে, শ্বাসরোধ— জল নেই, ভেজায় পারদ জানি, এমনটা মাঝে মাঝে হয় চুপ থাকে বিশাল প্রলয় হাতহীন হাতিয়ার— অন্ধকারে যুদ্ধ করে সেনা মাঝে মাঝে ঝড় ওঠে, বৃষ্টি নামে না৷ © প্রভাত ঘোষ

শব্দতরী

কতোবার জন্ম নিলে আলো হয়ে ঠিকরে আসে জল যতটা বিদ্বেষ ধুলে হাততালি পাড়ে শব্দদল সেখানে তোমায় দেখি.... আশু ক্ষোভ, বাকিটা বিশ্বাস আর হাত ধরে ভেসে চলা তরী তোমাকে লিখবো বলে ধীরে ধীরে শব্দ জড়ো করি। ✍️ প্রভাত ঘোষ

ঝালর

একদিন গলির মোড়ে, জীবনের সব ঝালরে সারাদিন জ্বালিয়ে বাতি, কটা দিন জমজমাটি। গহীনের নীল সাগরে, উজাগর প্রেমের ঘরে হাতে নিয়ে নীল বাতিটি কে বসে আদর করে তার গায়ে হলুদ শাড়ি, শিয়রে স্বপ্ননারী মায়াবী পরশে আর... কে কদিন হাসলো নীড়ে... এসবের মাপকাঠি তে জীবনের বিচার করি। © প্রভাত ঘোষ