বাইরে মসৃণ পথ, রাস্তার দু-পাশ জুড়ে সারি দিয়ে বহুতল ফ্ল্যাট৷ সারি সারি কৃষ্ণচূড়া গাছ, আর তার মাঝখানে চলে যাওয়া চমৎকার রাস্তা ধরে যে সকল রঙচঙে চারচাকা মিড়িয়াম স্পিড ধরে চলে তার ভেতরেও চলে পুরোনো সঙ্গীত৷ নতুন চালের সাথে মানিয়ে নিতেও ঘোড়া অনেকটা পাহাড় পেরোয়৷ যারা শুধু আয়নায় মুখ দেখে অবয়বে চুমু ছুঁড়ে দেয়— অথবা কিঞ্চিত হিংসে মনে পুষে রেখে বলে গাড়ির ভেতর থেকে অসুখের ওরা কী বা বোঝে... তারা কেউ জানে না কিভাবে লাইফ জ্যাকেট পরে অন্ধকার উত্তাল সমুদ্র কাঁপতে কাঁপতে পাড়ি দিয়ে ভাঙা জাহাজের পাটাতন মেরামত করে ফের হাসিমুখে কফিতে চুমুক দিয়ে বলা যায়— এই, ভালো আছি৷ চকমকি আলো যে গহ্বর থেকে বেরিয়ে এসেছে কেউ তার ভেতরে ঢোকেনা৷ প্রাণঘাতী মিথেনকে ফাঁকি দিয়ে বেঁচে ওঠে যারা... হয়তো তারা সাইকেল চড়ে না, খালি পায়ে নগ্ন পিচে ভর-দুপুরে হাটে না কখনো, পাথর ভাঙার ঘাম কাকে বলে সে জানে না আজও৷ তবে যে গহ্বরে বোমা ফাটে বাইরে তার কতটা আওয়াজ পাওয়া যায়? ভাঙা ভাঙা কাঁচে যারা নিজেকে সহজ করে আকাশে উড়েছে... ডানা তুলে দেখো কত দাগ৷ এ দাগের সফরও সহজ নয় খুব৷ দেখতে বড়ো ভালো লাগে এটুকুই উপরি পাওনা৷ নাছোড়বান্দার মতো ভাঙা ...